নাবিলের চাল চলন দেখে সামিরা ইতিমধ্যে নাবিলের উপড় ক্রাশ খেয়েছে।
আজ সারাদিন ধরে নাবিল তার সাথে ছিল।সামিরা যতবার উল্টা পাল্টা কিছু করতে চেয়েছে নাবিল সামিরাকে আটকে দিয়েছে।
আকাশ দৌড়ে গিয়ে মেঘলাকে ধরে বলল কি করছিস এসব? একটুও বাড়াবাড়ি করলে মেরে হাত পা ভেংগে ঘরে ফেলে রাখব বুঝেছিস খুব সাহস বেড়েছে তাই না?
নাবিল সামিরাকে মন প্রানে ভালবেসে ফেলেছে। নাবিলের ধারনা বিয়ের পর সে ফিরে এলে সব আবার আগের মত ঠিক হয়ে যাবে।
আকাশঃ কেন বাঁচাবি আমায় আমি তো একটা বেইমান....!!! আমি আর বাঁচতে চাই না কার জন্য বাঁচব? বুকের একপাশ তোর নামে অনেক আগেই লিখে দিয়েছিলাম কিন্তু আজ তুই তা শুন্য করে দিলি। মেঘলা নাহয় বোকা কিন্তু তুই আমায় কি করে ভুল বুঝলি নাবিল? তুই না আমার না বলা কথা বুঝতি।
নাবিল যখন আকাশ কে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত ঠিক তখন ইরা আর কিছু গুন্ডা এসে নাবিল আর আকাশ কে ঘিরে ধরল।
ইরাঃ তোদের কারোরি আজ আর এখান থেকে ফিরা হবে না।
নাবিলো পাগলের মত আবল তাবল বলছে।
নাবিলঃ আ আ আমি এই ভালবাসা চাই নি মেঘলা তোর বিনিময়ে ভালবাসা আমি কখনই চাইনি....তুই এটা কি করলি।
আবিরঃ হ্যা আমি জানি আমি কখনো মেঘলার মন থেকে আকাশ নামটা মুছতে পারব না আমি কখনো ওর মনে জায়গা পাব কিনা জানি না তবুও সব জেনেও আমি মেঘলাকে বিয়ে করতে চাই।
মেঘলা আকাশের প্রতি অনেক রেগে গেছে তাই সেও মানা করল না।
নাবিল মেঘলার রুম দেখিয়ে দিল। মেঘলা নিজের ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতে যাচ্ছিল খাবার খাওয়ার জন্য তখনি দেখল আকাশ নাবিল আবির সামিরা সবাই দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।
মেঘলা আকাশকে জ মড়িয়ে ধরে আকাশের গাঁয়ে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবছে কেউ কি কখনো আমাকে আকাশের মত করে বুঝবে কেউ কি আমাকে এত কেয়ার করবে...??
আকাশ তোমার আচারন তো বলছে তুমি আমায় ভালবাসো তাহলে কেন অবনীকে বিয়ে করছো..???
মেঘলাকে কাঁদতে দেখে আকাশ আরো ভেংগে পড়ল সে ছাদ থেকে নেমে নিজের ঘরে চলে গেল
আর ভাবতে লাগল কি করা যায়। কারন অবনীকে এখন না করাটাও একটা বিশ্রি ব্যাপার অবনী লোভি মেয়ে না যে টাকা দিয়ে সরিয়ে দেয়া যাবে আর নাবিলও একবার যা বলে তাই করে...