আকাশ গম্ভির গলায় বলল আমাকে কি জোকার মনে হয় তোর?আমার কথার কোন দাম নেই? তোকে লায় দিচ্ছি বলে মাথায় উঠে বসতে চাইছিস? একটা কথা কান খুলে শুনে নে এত লুতুপুতু প্রেম করার সময় আমার নেই।
মেঘলাঃ এই পৃথিবীতে আমার কোন আপনজন নেই সবাই পর এমন কি নাবিল ভাইও। কপালে কত দুঃখ লিখা আছে কে জানে? এই নিরব তো আমাকেই নিরব স্তব্ধ করে দিবে মনে হয়।৷ আর আকাশ তুমিও সত্যিই একটা ভিলেন।
নিরব যাওয়ার সাথে সাথেই মেঘলা বিছানার উপড়ে দাঁড়িয়ে বলল এই যে জল্লাদ টাইপের লোকজন সবাই শোন এখানে এখন থেকে কোন রকম মারামারি হবে না সবাই সবাইকে ভালবাসবে।আমি খুবি লক্ষি মেয়ে তাই এসব মারামারি পছন্দ করি না।
নাবিলের মাঃ বাড়াবাড়ির একটা লিমিট আছে নাবিল কাল অনেক বাড়াবাড়ি করেছো আমরা কিছু বলি নি এখন আবার শুরু করেছো ভুলে যেও না ওই বাড়িটা শুধু তোমার নয় মেঘলারো যাক গে পাগলের সাথে কথা বলে লাভ নেই।
আকাশঃ জানি তবে যদি ভালবাসিস তাহলে কথা দে আর কখনো আমাকে ভুল বুঝবি না...
মেঘলাঃ আচ্ছা কথা দিলাম....
আকাশঃ তুই কি বলিস কোনটা ভাল হবে এখানে পড়া নাকি বিদেশে?
নাবিলঃ আমি ইচ্ছা মেঘলার পরিক্ষার পরে আমি মামা হব।
নাবিলের এমন উত্তরে আকাশ মেঘলা ২ জনেই অবাক হল আকাশ হেসে দিল আর মেঘলা লজ্জা পেল।
সেদিনি নাবিল আকাশ আর মেঘলার মিল করিয়ে দিলেও মেঘলার মন থেকে এই সন্দেহ দূর করা সম্ভব হয় নি।
মেঘলা আকাশ কে প্রায়েই এটা ওটা বলতেই থাকে।
আকাশ চিন্তা করতে শুরু করল ফোনে কি এমন ছিল...??যার জন্য মেঘলা ফোনটা ভাংগল আর আমি একটা থাপ্পড় দিয়েছি বলে সোসাইড করার সিধান্ত নেওয়ার মত মাথা খারাপ তো মেঘলা নয়।
নাবিলঃ আছে একটা পাগলি একদিন না হয় পরিচয় করিয়ে দিব।
আবিরঃআকাশ ভাইয়ের ভালবাসা দেখে খুব হিংসা হচ্ছে তারউপর। সেই ভাগ্যবতীকে তো দেখতেই হবে।
নাবিলঃ সত্যিই সে ভাগ্যবতী...!!!
নাবিল চিৎকার করে উঠল
না এটা হতে পারে না কিছুতেই হতে পারে না আমি মানি না আকাশের কিছু হতে পারে না। আকাশ উঠ আকাশ.... তোর কিছু হতে পারে না।