আশিয়ানের সামনে মিটমিট করে হাসছে লারা। লারার বাবার মুখেও ক্রুর হাসি। আশিয়ান ভ্রু কুচকে বিরক্ত চোখে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। আশমিনের নিষেধ না থাকলে এতক্ষণে এদের লীলাখেলা সাঙ্গ হয়ে যেতো। আশিয়ান দু দিকে মাথা ঝাকিয়ে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলো।
আশমিন সত্যি সত্যি ই অক্সিজেন মাক্স খুলে নূরের ঠোঁটে চুমু খেলো। নূর হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো আশমিনের দিকে। আশমিন সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মাক্সটা আবার ঠিকঠাক লাগিয়ে দিলো। নূরের কপালে চুমু খেয়ে মুচকি হেসে বললো, — চিন্তা করো না।
হসপিটালে এসে সবার আগে মর্গে গেল আশমিন। ফ্রিজারের ড্রয়ার খুলে মায়া বেগমের বডি টা বের করে দেখালো মর্গে কর্মরত থাকা লোকটি। আশমিন একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। সাদা ফ্যাকাসে মুখটায় হাত বুলিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গোলাম ইশতিয়াক ভিতু চোখে তাকিয়ে আছে আশমিনের দিকে। একটা চেয়ারে হাত পা বেধে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। পড়নে একটা সাদা ট্রাউজার আর সেন্ডো গেঞ্জি। এসির মধ্যেও দরদর করে ঘেমে যাচ্ছে সে। রুমের মধ্য বিশ জন অ*স্রধারি লোক দাঁড়িয়ে আছে।
রাতের শেষে হসপিটালে পা রাখলো আশমিন। কাপড়ে কাদা মাটি লেগে আছে। রক্তিম চোখ দুটো হালকা ফুলে আছে। হসপিটালে উপস্থিত হতেই সানভি সহ বাকি গার্ডরা ঘিরে ধরলো আশমিন কে। বাহাদুর আর রফিক নিজের জায়গা ছেড়ে দৌড়ে এলো আশমিনের দিকে। আশমিন হাত ইশারার থামিয়ে দিল তাদের।
নূর কে আজ বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।শারীরিক ভাবে সম্পুর্ন সুস্থ হয়নি নূর৷ আশমিন একজন নার্স কে ও নিয়ে এসেছে সাথে। লুবানা যদিও মানা করেছিল। আশমিন শোনে নি। এখন মায়া বেগম ও নেই।লুবানা অফিস সামলে কোন ভাবেই নূরের খেয়াল রাখতে পারবে না।
সানজিদা বিনতে সফি আজ সানভি আর লুবানার বিয়ে। আশমিন আর নূর লুবানা কে প্রস্তাব দিতেই লুবানা ইতস্তত করতে থাকে। সরাসরি না বলতে পারছিল না সে। কারণ লাবিব এখনো ছোট। তার ভাইকে রেখে সে এখনই বিয়ে করতে চায় না। তবে আশমিন আর নূর তাকে আস্বস্ত করেছে।
আজ সানভি আর লুবানার বিয়ে। আশমিন আর নূর লুবানা কে প্রস্তাব দিতেই লুবানা ইতস্তত করতে থাকে। সরাসরি না বলতে পারছিল না সে। কারণ লাবিব এখনো ছোট। তার ভাইকে রেখে সে এখনই বিয়ে করতে চায় না। তবে আশমিন আর নূর তাকে আস্বস্ত করেছে।