আরহামের চোখের অবাধ্য জলগুলো আর বাঁধা মানলো না।অশ্রুসিক্ত নয়নে বাবার দিকে তাকাতে তিনি বললেন, 'আমার একটা অংশ ভালো নেই।এত অশান্তি নিয়ে কি করে যেতাম।'
আরহাম বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন তৎক্ষনাৎ।নি:শব্দে আঁখিদ্বয় ভিজে উঠলো।বাবার ফিরে আসায়,একটুও আফসোস হলো না।বরং খুশি হলেন।
আরহাম হেসে ফেললেন।সন্তুষ্টচিত্তে বললেন, 'আলহামদুলিল্লাহ।দিস ইজ ফার্স্ট টাইম,হুয়েন আই এ্যাম স্যাটিসফাইড অন ইউর রিপ্লাই।'
হাফসাকে খাইয়ে দিয়ে যখন রুমে আসলেন আদওয়া বলল, 'আর কতদিন অপেক্ষা করলে ছোটু টাকে দেখতে পাবো?সময় যেনো শেষ হচ্ছেই না।'
এ মুহুর্ত গ্লাসের বাইরে দৃষ্টি আদওয়ার।দূর আকাশের তেজি তারকা এতই ঝলমল করছে যে তাদের বড় এক অংশ এখান থেকেই গুণা যায়।একটা তারা হুট করেই মিলিয়ে গেলো।দৃষ্টি ঘুরিয়ে আরহামের দিকে তাকালো আদওয়া।আরহাম পাশে বসলে বুঝালো,তারাগুলো গুনে দিতে।সে তাঁরা গুনলো,আরহাম ঠায় তাকিয়েই রইলেন।
আরহামের অগোছালো মস্তিষ্ক একেবারেই হ্যাং হয়ে গেল।আব্বু ছুটে গেলেন ব্লাডব্যাংকের দিকে।আরহামের পাশ দিয়েই তোয়ালে জড়ানো ছোট দেহটা বিশেষ গ্লাসে ভরে এনআইসিওর কক্ষে নেওয়া হলো।আরহাম শুধু তাকিয়ে রইলেন তাঁর সদ্য পৃথিবীতে আসা ফুলটার দিকে!উনার রক্ত!উনার অংশের দিকে!
চোখাচোখি হলো কেবল কয়েক সেকেন্ডের জন্য।আরহাম দৃষ্টি সরিয়ে নিলেন সাথে সাথে।মাইমুনা খুশিতে কাঁদবে না হাসবে বুঝতেই পারছে না।দাদূ উনার সাথে খোশালাপে ব্যস্ত ছিলেন তখন ড্রয়িংরুমে আসলেন আয়মান।মাও আসলেন।
আরহাম উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দিলেন।মা, ইমরানা, তার হাজবেন্ড প্রথম থেকে সবকিছুর জন্য করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন।আরহাম কেবল শুনে গেলেন।
একজন স্ত্রী ঠিক ততটাই সুন্দর
যতোটা তার স্বামীর দৃষ্টি সুন্দর!
ইসস উমায়ের আপনি যদি আমার চোখ দিয়ে আপনার সৌন্দর্য দেখতে পারতেন, তাহলে....