লেখক মাহা আরাত

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ১

হাফসা পড়ালেখা করেছে আ্যারাবিক লাইনে।চাচার কাছেই কুরআন হিফয শেষ করেছে অল্প বয়সেই।তবে ফিকহ সহ অ্যারাবিক বইয়ের পাশাপাশি পড়ছে সাইকোলজি নিয়ে।সাইন্সের বিভিন্ন বিষয়ের বইয়েও চরম আগ্রহ ওর।ইসলামিক বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সায়েন্স ফিকশনের বইও সংগ্রহে আছে ওর নিজের লাইব্রেরীতে।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ২

কেটে গেলো আরো দূটি বসন্ত।ষোড়শী কিশোরী পা দিলো অষ্টাদশে। মামা সায়িদ আনসারের ছেলে রাদ আনসার দেশে এসেছে।পেশায় সে একজন সাইন্টিস্ট।ভালো এপার্টে জব করছে।মামার ইচ্ছা হাফসাকে উনার ছেলের স্ত্রী বানানোর।উনার জানামতে এখনকার জেনারেশনে হাফসার মতো মেয়ে পাওয়া দূষ্কর।রাদ খুব ছোটোবেলা ওকে দেখেছিলো।মামা হাফসার সাথে তার বিয়ের কথা উঠালে রাদ জানায় তার কোনো আপত্তি নেই।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৩

আরহাম তাজওয়ার প্রথম বার্তাতেই বললেন, 'আপনি কি আমার মাসনা হবেন?' মাসনার কথা শ্রবণ হতেই হাফসা যেন পাথরে পরিণত হলো।মস্তিষ্ক কিছুক্ষণের জন্য কাজ করা যেনো বন্ধ করে দিলো।কোনোদিন যা কল্পনাও করেনি সেটাও সত্যি হতে পারে?কয়েক মিনিট স্থির থেকে নিজেকে সামলে কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলো,

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৪

হাফসা ঘুম ভাঙ্গতেই দেখে অন্ধকার রুম।ড্রীম লাইটে চারপাশ আধো আলোয় দৃশ্যমান।উঠতে গেলেই নিজেকে খুব ভারী মনে হয়।হাফসার নড়াচড়া পেয়ে তিনি লাইট অন করলেন।হাফসা চোখ কুঁচকে তাকালো লাইটের তীব্র আলোয়।নিজেকে আপাদমস্তক দর্শন করে দেখলো এখনো আগের অবস্থায়'ই আছে।সাজসজ্জা,ভারী ল্যাহেঙ্গা!

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৫

আরহাম তাজওয়ার একবার আহমাদের দিকে তাকালেন। অতপর রাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, 'নেভার এভার।নাউ সি ইজ মাই ওয়াইফ।আমার অনুমতি ব্যতীত আপনি তাকে পাওয়া তো দূরের কথা উনার ছায়াটুকুও দেখতে পারবেন না।ঝামেলা আমার মোটেও পছন্দ নয়।আই রিকুয়েস্ট ইউ আপনি উনাকে ভুলে যান।উনি আপনাকে চান না।উনি খুশি থেকেই স্বইচ্ছায় আমাকে বিয়ে করেছেন।'

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৬

ড্রিম লাইটের আবছা আলোয় রুমটা হালকা আলোকিত। আরহাম দরজায় নক করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আস্তে আস্তে দরজা ঠেলে ভেতরে ডুকলেন।শেলফের পাশে হুইল চেয়ারে মাথা লাগিয়ে ঘুমিয়ে আছেন মাইমুনা।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৭

'ভালো যেমন বাসবো শাসন ও করবো।আপনি যদি উনার প্রতি জেলাস হোন আমি আপনাকে শাসন করবো।আর উনি হলে উনাকে।দূজন আপন হয়ে থাকবেন।হিংসা,ঈর্ষা এ দূটো জিনিস কখনোই যেনো আমার প্রিয়তম স্ত্রীদের মধ্যে না দেখি।''ভালো যেমন বাসবো শাসন ও করবো।আপনি যদি উনার প্রতি জেলাস হোন আমি আপনাকে শাসন করবো।আর উনি হলে উনাকে।দূজন আপন হয়ে থাকবেন।হিংসা,ঈর্ষা এ দূটো জিনিস কখনোই যেনো আমার প্রিয়তম স্ত্রীদের মধ্যে না দেখি।'

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৮

তখনি হঠাৎ কপালে কারো উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে হৃৎপিণ্ড ধক করে ওঠলো।বুকের ভেতরটা দ্রীম দ্রীম শব্দে বেজে উঠলো।আরহাম পরম আবেশে চোখ বুজে নিলেন।এ যেনো উমায়েরের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার।হাফসা সাথে সাথে সরে গিয়ে গুটিসুটি মেরে রয়।আরহাম কিছুক্ষণ মুচকি হেসে তাকে আবারো কাছে টেনে নিলেন।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৯

ডিনারেও হাফসা চুপচাপ ছিলো।আরহাম মাছের কাটা বেছে বেছে দূপাশে দূজনকে খাইয়ে দিচ্ছেন।দূই লোকমা খাওয়ার পর হাফসা আরহামকে বাঁধা দিয়ে বলল, 'এবার আপনি খান।' উনি আবার দিতে চাইলে হাফসা উনাকে রিপিট করে।অথচ মাইমুনা একবারও উনাকে খাওয়ার কথা বলেননি।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ১০

উনার খালি বুকে তাকাতে হাফসা লজ্জায় মিইয়ে যাচ্ছিলো।উনি চিবুক ধরে বললেন, 'লজ্জাবতী লাজুকলতা এত সাইনেস কই থাকে?এত্তো সাইনেস নিয়ে পিচ্চি হয়ে এত বড় মানুষকে বিয়ের চিঠি দিয়েছিলেন কীভাবে হুমম?' : 'জ্ জানিনা।আবেগ ছিলো।' : 'আবেগ ছিলো মানে?আমাকে ভালোবাসেন না?'