“কি করছেন আপনি? অসভ্য লোক একটা!” শাওন ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বলল, হোয়াট! “বুঝতে পারছেন না! হোয়াট হোয়াট করছেন কেন? কি করতে যাচ্ছিলেন আপনি?” “ঠিক করছিলাম আমি ওটা।” শাওন ভ্রুকুচকে বলল। “মানে?” আমি প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
যখন চোখ খুললাম তখন সকাল হয়েছে। আমার গায়ে একটা কম্বল দেওয়া। যদিও আমি ঘামছি। মাথা হালকা ব্যথা এখনো। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকালাম। শাওন ফ্লোরে বসে থেকে বিছানায় দুই হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
আমি পিছন ফিরে তাকালাম। দরজার হুকের সাথে ওড়নাটা বেধে গেছে। শাওন আমার দিকে ঘুরে তাকালো। আমিও শাওনের দিকে তাকালাম তারপর চোখ নামিয়ে নিলাম। আর ওড়নাটা জলদি করে টান দিয়ে ছাড়িয়ে নিলাম। তারপর বের হয়ে এলাম। পিশামনি বলল, রেডি? আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম।
শাওন আমাকে বাহু ধরে ওর আরো কাছে নিয়ে এসে কড়া চোখে তাকিয়ে বলল, কে করেছে?
সাথে সাথে স্নোবেল আবার আমার দিকে তাকিয়ে ঘেউঘেউ করে উঠল। অর্থাৎ সেও জানতে চায় কে করেছে।
সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন বুঝলাম যে আমি শাওনের সাথে একই বালিশে শুয়ে শাওনকে জড়িয়ে ধরে আছি। সাথে সাথে চোখ বড়সড় করে মুখ তুলে শাওনের দিকে তাকালাম। উনিও আমার চোখের দিকে তাকালেন। আমি ফট করে ছেড়ে দিয়ে উঠে বসলাম আর অন্যদিকে তাকিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম,
শাওন আমার কাছে আরো এগিয়ে এসে বলল,”ওকে, আসো দেখাচ্ছি আমি কি?”
আমি এবার ভয়ে অনেক কাপতে লাগলাম। শাওন আমাকে এভাবে কাপতে দেখে আমার দুই বাহু ধরে বলল, Are you ok?
এটুকু বলেই আমি শাওনের পাশ কাটিয়ে চলে যেতে লাগলাম।আর সাথে সাথে শাওন আমার এক হাত ধরে টেনে ওর কাছে নিয়ে আসলো। আমি চোখ বড়সড় করে শাওনের দিকে তাকালাম। শাওন শক্ত চোখে তাকিয়ে বলল, আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছুই হয়নি। আর আমি এখানে তোমার জন্য আসিনি।
পাগলের মত হাসছ কেনো? শাওন ভ্রুকুচকে বলল। আমি কোনো কথা বললাম না। শাওন একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, তুমি আমার শার্ট ভিজাচ্ছ। অহ তাই ত। আমার এবার খেয়াল হলো। আমি তাড়াতাড়ি সরে দাড়িয়ে ওনার শার্টের দিকে তাকালাম। ভালই ভিজিয়ে দিয়েছি। শাওন বিরক্তির সাথে আমার দিকে তাকালো
গাড়িতে বসে আমি আড় চোখে শাওনের দিকে তাকালাম। উনি সামনের দিকে তাকিয়ে নিজের সীট বেল্ট পরে নিলেন। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলেন। আমি স্নোবেলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে জালানার বাহিরে তাকিয়ে রইলাম। গাড়ির মধ্যে বিরাজ করছে অনেক নিস্তব্ধতা। অনেকক্ষণ পর আমি নিস্তব্ধতা ভেঙে বলতে লাগলাম,”আপনি কি…”
দরজার কাছে তাকাতেই দেখলাম দরজা বন্ধ করা। এটার কি মানে?
আর উনি এত যে ঘুমাচ্ছেন! উনি কি আজ অফিস যাবেন না, নাকি?
আমি শাওনের কাধে হাত দিয়ে নাড়িয়ে বললাম, “এইযে শুনছেন! উঠুন এখন আর আমার ওড়নাটা দয়া করে ছাড়ুন।”