অতি আদরে শাহিনুর'কে নিজ বক্ষে চেপে ধরলো প্রণয়৷ দীর্ঘ একটি নিঃশ্বাস ত্যাগ করে হাঁটা ধরলো নির্দিষ্ট একটি স্থানের উদ্দেশ্যে।
শাহিনুর চেয়ে আছে মা'য়ের দিকে। মা'য়ের মুখ দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায় তার। বক্ষঃস্থলে প্রশান্তি লাগে খুব৷
বিয়ে হয়ে যায় আমার এবং শাহিনের। আমি হয়ে যাই কারো ঘরনি, কারো অর্ধাঙ্গিনী। বিয়ের অনুষ্ঠানে অলিওরের পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।
বাইজি গৃহের সর্বোচ্চ বৃহৎ কক্ষের রঙ্গমঞ্চে নৃত্য প্রদর্শন করছে বাইজি'রা৷ দু'ভাই ডিভানে আধশোয়া হয়ে প্রমত্তকর রস পান করছে। তাদের কামনীয় দৃষ্টিজোড়া নিবদ্ধ বাইজি'দের উন্মুক্ত কোমড়ের ভাঁজে ভাঁজে।
শাড়ি, গয়না পছন্দ করে তিনজন মিলে হাসাহাসি, রসিকতা করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো। অবশেষে রোমানা প্রণয়ের বউ হতে যাচ্ছে।
তাই ভোরবেলায়ই রোমানা চা'য়ের ছুঁতোয় পা বাড়ালো প্রণয়ের কক্ষে। রুদ্ধ দ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে বারকয়েক ঢোক গিলে সাহস সঞ্চয় করে নিলো।
তোমরা আকাশ নিয়ে তর্ক শুরু করলে কেন? আকাশে চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র সবারই স্থান হয়। আকাশের হৃদয় বিশাল বুঝলে সে কাউকে নিরাশ করে না।
-' আমি আমার আম্মা'কে খুব ভালোবাসি বাঁশিওয়ালা। আমি আমার আম্মা'কে ঠকিয়ে খুব অন্যায় করছি৷ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও বাঁশিওয়ালা,আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু আমার আম্মা'কে আর ঠকাতে চাইনা।'
দু'হাতে নিজের চুল খামচে ধরে চিৎকার করে কথাগুলো বললো অঙ্গন। এ পর্যায়ে প্রণয় বিচলিত হয়ে প্রশ্ন করলো,
-' তুই কাল নেশা করেছিলি? '
মুনতাহা জ্ঞান হারিয়েছে। জেবার স্বভাব সম্পর্কে সবাই অবগত তাই স্বাভাবিক ঘটনা ভেবেই সকলে এগিয়ে এলো।