লেখক ইরিন নাজ

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২১

রিসেপশন এর ব্যবস্থা কর বাবাই। আমি যতো দ্রুত সম্ভব আমার শ্বশুর বাড়িতে যেতে চাই। ব্রেকফাস্ট করে ড্রয়িং রুমে খোশ গল্পে মেতে ছিলো সবাই। হুরের এই একটা কথা যেনো বো’মে’র মতো ফা’ট’লো। সবাই তব্দা খেয়ে হুরের দিকে তাকিয়ে রইলো। হুরের কাছ থেকে এই কথা কেউই আশা করে নি। বেচারা ফাইয়াজ জুস খাচ্ছিলো।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২২ (হলুদ স্পেশাল)

হুর কে নিজের খুব কাছে টে’নে দাঁড়িয়ে আছে ফাইয়াজ। হুর চোখ বড় বড় করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ফাইয়াজের দিকে। এই মুহূর্তে ফাইয়াজ কে এখানে মোটেও আশা করেনি সে। ফাইয়াজ এক ধ্যানে মোহনীয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হুরের দিক। যেনো চোঁখের পলক পড়ছে না।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৩

ফ্রেস হয়ে একটু বসেছিল হুর এমন সময় ফোনের মেসেজ টোন বেজে উঠলো। ফোন টা হাতে নিতেই বুঝতে পারলো ফাইয়াজের মেসেজ। হালকা হেসে মেসেজ ওপেন করতেই একটা শুকনো ঢোক গিললো হুর। মেসেজে লেখা ছিলো, ~ আর মাত্র কিছু সময় মাই ডিয়ার মিসেস। তারপর সারাজীবনের জন্য আমার ব’ন্দি’নী হয়ে যাবে। প্রস্তুত থেকো।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৪

এক হাত সমান ঘোমটা টেনে বসে আছে হুর। কিছুক্ষন আগে লিয়া তাকে ফাইয়াজের রুমে বসিয়ে দিয়ে গেছে। ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট রোজের কম্বিনেশন এ সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ রুম টাকে। সাদা কালোর মিশ্রনে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে রুম টা। হুরের কিছুটা ভ’য় লাগলেও মনের ভিতর অন্যরকম প্রশান্তি, ভালো লাগা কাজ করছে।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৫

আজ ১৫ দিন হতে চললো হুর ফাইয়াজদের বাড়িতে আছে। এর মাঝে কয়েকবার নিজের বাড়ি থেকে ঘুরে এসেছে সে। ভালোই সময় কাটছে তার। ফরিদ সাহেব অফিসে যাওয়া একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। সব দায়িত্ব ফাইয়াজ কে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তার মতে তার এখন বয়স হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া তিনি অফিসে যান না।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৬

অফিসের একটা মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলো ফাইয়াজ। মিটিং রুমে যাওয়ার আগে ভু’লবশত ফোন টা নিজের কেবিনেই ফেলে চলে গিয়েছিল। মিটিং এর সময় হয়ে যাওয়ায় আর ফোন নিতে আসা হয় নি। মিটিং শেষে নিজ কেবিনে প্রবেশ করে চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো ফাইয়াজ। আজ কেমন যেনো অ’স্থি’র অ’স্থি’র লাগছে তার।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৭

ফাইয়াজ ফোনে মেসেজ করা লোকেশনে পৌঁছাতেই দেখলো অনেকগুলো লোক গা’ন হাতে গোডাউন ঘেরাও করে দাঁড়িয়ে আছে। ফাইয়াজ গাড়ি থেকে বেরিয়ে ধীর পায়ে গোডাউনের দিকে এগোতে লাগলো। দরজার সামনে পৌঁছতেই দুইজন মিলে তার শরীরে ত’ল্লা’শি চালালো। কোনো রকমের অ’স্ত্র না পেয়ে তারা প্রবেশ পথ খুলে দিলো।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৮

জ্ঞান ফিরতে নিজেকে ফাইয়াজের রুমের বেডে আবিষ্কার করলো হুর। ধ’র’ফ’ড়ি’য়ে উঠে বসতে চাইলে মাথা ব্য’থা টা চা’রা দিয়ে উঠলো। হুর মাথা টা চে’পে ধরে ধীরে সুস্থে উঠে বসলো। মাথায় হাত ছোঁয়াতেই বুঝতে পারলো ব্যা’ন্ডে’জ করা হয়েছে। এমন সময় শুনতে পেলো, — এতো তাড়াহুড়ো কিসের!

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২৯ (সর্বশেষ পর্ব)

কে বলে ছেলেরা কাঁ’দে না! এই যে ফাইয়াজ কাঁ’দ’ছে। অ’ঝো’র ধারায় কাঁ’দ’ছে। ফাইয়াজের চোঁখের পানি হুরের নাক মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে। হুরের নিজেরও চোখ থেকে একধারে পানি পড়ছে। এতক্ষন তার মনে হচ্ছিলো সব টা তার চোঁখের সামনে ঘটছে। ফাইয়াজের জীবনে যে এমন কোনো ঘটনা থাকতে পারে তার ধারণাও ছিলো না হুরের।