লেখক ইরিন নাজ

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ১

“আমি আপনাকে ভালোবাসি ফারান। বিশ্বাস করুন আপনার গায়ের রং নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি আপনাকে এই রূপেই ভালোবাসি।” আ’কু’ল কণ্ঠে বলে উঠলো হুর। -“পাগ’লামি বন্ধ করো হুর। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। কেনো আমার পিছনে পড়ে থেকে সময় ন’ষ্ট করছো।” গ’ম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো ফারান। -“কেনো ভালোবাসেন না আমায়?

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ২

ডাইনিং টেবিলে বসে আছে হুর। মিসেস হেনা হুরকে খাবার সার্ভ করছেন। হুরের একটুও খাওয়ার ইচ্ছে নেই। কিন্তু এখন না খেলে মিসেস হেনা উ’ল্টা’পা’ল্টা চিন্তা শুরু করবেন। এমনিতেই তাকে অনেক ক’ষ্টে বুঝিয়েছে হুর যে সে ঠিক আছে এখন।হুর জো’ড় করে খাওয়া শুরু করলো। যতো না খাচ্ছে তারচেয়ে বেশি নাড়ছে।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৩

ঘুমের মাঝে মুখের উপর অনবরত গরম নিঃশ্বাস আ’ছড়ে পড়ায় ভীষণ অ’সস্তি হচ্ছে হুরের। তার মনে হচ্ছে কেউ একধ্যানে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু চেয়েও চোখ খুলতে পারছেনা হুর। ঘুমটা যে গভীর তার।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৪

বাড়ির সামনে চলে এসেছে হুর। সে জানে বাড়িতে ঢো’কা মাত্র মিসেস হেনা তার উপর এ’টাক করবে। কিন্ত কিছু করার নেই। হুর চিন্তা করলো যদি সুযোগ পাওয়া যায় তবে এক দৌড়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিবে। চো’রের মতো পা টিপে টিপে ঘরে ঢুকলো হুর।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৫

দুই দিন যাবৎ ভার্সিটি যায় না হুর। এই দুই দিনে অ’জস্র বার ফারানের কথা মনে পড়েছে হুরের। কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে সামলে নিয়েছে। হুর ঠিক করেছে আজকে দু ঘন্টা আগে যাবে ভার্সিটি তে। ফারানের সামনে না যাক দূর থেকে তো দেখতেই পারে প্রিয় মানুষটাকে।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৬

ফারানের সাথে হুরের পরিচয় প্রায় ছয় মাসের। এই ছয় মাসে হুরের পাগ’লামির শেষ ছিলো না। সেইদিন এর ঘটনার পর হুর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে ফারানের পুরো নাম ফারান আহমেদ। সে পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তাদের ভার্সিটির নতুন দালান তৈরির কাজে সে প্রায় প্রায় ভার্সিটি তে আসে।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৭

এক মাস পার হয়ে গিয়েছে। হুর নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়েছে। আগে যেমন সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতো, এখনো ঠিক সেই ভাবেই সবাইকে মাতিয়ে রাখে। হৃদ আর লিয়ার সাথে দু’ষ্টুমি, মায়ের ব’কা, বাবার আদর সব নিয়ে স্বাভাবিক আছে সে। তবুও একা যখন থাকে তখন মনে পড়ে প্রিয় মানুষটার কথা।

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৮

হুর বাদে সবাই খেতে বসেছে।মিস্টার ফরিদ তা লক্ষ্য করে বললেন, -“হুর মামুনী কোথায়! ও খাবে না?” -“না আঙ্কেল আমি ঐ সময় খেয়েছি। আর খাবো না। পেট ভরা আমার। ” হুর পিছন থেকে এসে বললো। ফাইয়াজ হুরের কথা শুনে বিড়বিড় করে বললো, -“একবারেই যেই রা’ক্ষসীর মতো খেয়েছে আর খাবে কি করে!”

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ৯

পুরো বাড়ি ঘুরে দেখছিলো হুর, লিয়া আর হৃদ। বড়োরা বসার রুমে কথা বলছে। মিস্টার ফরিদ তাদের কে বললো বাড়ি ঘুরে দেখতে। বড়ো দের কথার মাঝে তারা বসে বসে বোর হচ্ছিলো বুঝতে পেরে ফরিদ সাহেব তাদের বাড়ি ঘুরে দেখতে বলেছে। বাড়ির বাইরের অংশ যতটা না বড় ভেতরের অংশ তার দ্বিগুন বড় বলে

ভালোবাসি তোমায় | পর্ব – ১০

রুম থেকে এক দৌড়ে সিঁড়ির কাছে এসে থামলো হুর। -“বাব্বাহ কি বাঁচা বাঁচলাম! মনে হচ্ছিলো এতক্ষন বা’ঘের খাঁচায় ছিলাম। ধুরু ভাল্লাগেনা ছাই! আমার চাল আমার উপরে উল্টো পড়লো! ” -“কিরে আপাই তুই এখানে দাঁড়িয়ে একা একা কি বিড়বিড় করছিস! আর এই দিকে আমরা তোকে খুঁজতে খুঁজতে হয়’রান হয়ে গেলাম। ”