লেখক অহর্নিশা

হৃদ রোগ | পর্ব ১১

বেলা গড়িয়ে ঘড়িতে তিনটে বাজে তখন , মেইন ক্যামপাস একদম শান্ত হয়ে আছে । শুধুমাত্র গানের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ক্যামপাসে উপস্থিত সবাই , এমনকি হিমাদ্রও হা’ করে স্টেজের দিকে চেয়ে আছে । স্টেজে তখন এক কেশবতী “ ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় ” গানে নাচতে ব্যস্ত । সে কারোর দিকে তাকাচ্ছে না

হৃদ রোগ | পর্ব ১২

সময় প্রবহমান, সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের পর কেটে গেছে বেশ কয়েক দিন, এই কয়েক দিন সুদেষ্ণারা কেউ কলেজ যায়নি । তার অব্শ্য কারন আছে , চনন্দননগর কলেজে সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পরীক্ষা চলছিলো তাই সুদেষ্ণাদের ছুটি ছিলো কাল থেকে আবার কলেজ যাবে। সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পর সুদেষ্ণাদের

হৃদ রোগ | পর্ব ১৩

আজকে মঙ্গলবার, দীর্ঘ দিন পর আবার কলেজ শুরু হয়েছে। এখন শীতকালের শুরুর দিকে তাই গরম ভাব নেই বললেই চলে। স্ট্যান্ডের ওপর দন্ডায়মান গাছ গুলোতে দেখা যাচ্ছে কয়েকটা সুন্দর পাখি বসে আছে , সম্ভবত অন্য দেশ থেকে আসা পরিযান পাখি। আজকের রোদটা তেমন বিরক্তিকর লাগছে না বরং ভালো লাগছে। সুদেষ্ণা হাত

হৃদ রোগ | পর্ব ১৪

সময়টা দুপুরের মাঝামাঝি হবে হয়তো , রাস্তায় তেমন একটা ভিড় নেই বললেই চলে। নিস্তব্ধ রাস্তা,,,, সুদেষ্ণার কানে কোনো আওয়াজ যাচ্ছে না , ও মনে হচ্ছে কোনো ঘোরের মধ্যে আছে । সুদেষ্ণা নিষ্পলক চেয়ে আছে সুদর্শন পুরুষটির দিকে,,,,,, অষ্টাদশীর নেই কোনো তাড়া নেই কোনো ব্যস্ততা শুধুমাত্র তাকিয়ে থাকাই হচ্ছে তার মুখ্য

হৃদ রোগ | পর্ব ১৫

কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সুন্দর সকাল, পুরো রাস্তাঘাট ফাঁকা। এখন চলছে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে তাই হাড় কাঁপানো শীত এখনো পড়েনি তবে ঘুমানোর সময় লেপ তো লাগেই। এখন ঘড়িতে সকাল ৫ টা’ বেজে ৩০ মিনিট , এই সময় সুদেষ্ণার বাড়ির সবাই ঘুমে কাদা একমাত্র সুদেষ্ণা বাদে । আজকে সুদেষ্ণার ইকোনমিকস পরীক্ষা

হৃদ রোগ | পর্ব ১৬

পড়ন্ত বিকেল বেলা, সূর্য ধীরে ধীরে অস্ত যাচ্ছে। আকাশটা কেমন লাল আর কমলার মিশ্রন দেখাচ্ছে । পাখিরা উড়ে যাচ্ছে নিজস্ব ঠিকানায় । হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে, সুদেষ্ণা ছাদের রেলিং ধরে এক ভাবে আকাশের দিকে চেয়ে আছে ।

হৃদ রোগ | পর্ব – ১৭

সোনালী রোদ্দুর জানলার ফাঁক দিয়ে এসে সুদেষ্ণার চোখে, মুখে পড়ছে,,,,, বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে গেলো সুদেষ্ণার। চোখ পিট পিট করে তাকালো জানলার দিকে, জানলা খোলা আছে। অথচ স্পষ্ট মনে আছে রাতে জানলা বন্ধ করে ঘুমিয়েছিলো সুদেষ্ণা। এটা নিশ্চয়ই তার মা জননীর কাজ। সুদেষ্ণা বড্ড ঘুম কাতুরে , সে একবার ঘুমালে বাড়িতে

হৃদ রোগ | পর্ব – ১৮

দুপুর আড়াইটে তখন , সূর্যের আলোর প্রখরতা খুব একটা নেই বললেই চলে। শীতকালে সূর্যের আলো গায়ে মাখতে বেশ ভালোই লাগছে । সুদেষ্ণারা বসে এখন আড্ডা দিচ্ছে আর মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের দৌড়-ঝাঁপ দেখছে । বাচ্চাগুলোর তো খেয়াল রাখতে হবে , বড়োরা কয়দিকেই বা সামলাবে । সুদেষ্ণাদের একটু আগেই খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ

হৃদ রোগ | পর্ব – ১৯

ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক দিন কেটে গেছে আরও কয়েকদিন পরই নতুন বছরের শুরু । আগে নতুন বছর নিয়ে বেশ আনন্দ থাকতো সুদেষ্ণার মনে কিন্তু বড়ো হওয়ার পর ব্যাপারটা আর নেই। এখনকার ডিসেম্বর আগের মতো সুন্দর নেই। আগে ডিসেম্বর মানেই ছুটি, ঘোরাঘুরি আর এখন ডিসেম্বর মানেই পরীক্ষা। আগে নতুন বছর মানে নতুন

হৃদ রোগ | পর্ব – ২০

নিস্তব্ধ পরিবেশ, চারিদিক থেকে পাখির “কিচিরমিচির” এর শব্দ শোনা যাচ্ছে। হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস বইছে,,,,,,,, সুদেষ্ণা গায়ের চাদরটাকে আর একটু জরিয়ে নিয়ে তাকালো বেলকোনি থেকে রাস্তার দিকে , গাড়ি গুলো শো’ শো’ শব্দ করে তীব্র বেগে ছুটছে। সুদেষ্ণা এক ভাবে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলো, ভুলেও পাশে দাঁড়ানো মানবটার দিকে তাকালো