সিরিজ প্রেমাতাল

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫১

হসপিটালে কেবিনের সামনেই তান্নাকে দেখা গেল। তিতিরের পেছন পেছন মুগ্ধও কেবিনে ঢুকতে নিতেই তান্না ওকে আটকে বলে, -“তোর ভাগ্য ভাল যে আমার বাবা অসুস্থ নাহলে তোকে এখানেই মেরে পুঁতে দিতাম।” একথা শুনে তিতির চমকে পেছনে তাকালো। মুগ্ধ চোখের ইশারায় ওকে ভেতরে যেতে বলল। তিতির ভেতরে গেল।

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫২

দুই সপ্তাহ পর তিতিরের বাবাকে বাসায় আনা হলো। তারপর তিতির একটু নিশ্চিন্ত হলো। ডাক্তার বলে দিয়েছে বাবাকে এখন থেকে খুব সাবধানে রাখতে হবে, উনি আর কোন ভারী কাজ করতে পারবেন না। এমনকি ওনাকে বাজার করতেও দেয়া যাবে না। ফুল বেডরেস্টে থাকতে হবে, নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫৩

এলার্ম বেজে উঠতেই তিতির হাত বাড়িয়ে সেটাকে বন্ধ করলো। রাতে ঘুম আসেনা, ইনসমনিয়া হয়ে গিয়েছে বোধহয়। ঘুমাতে ঘুমাতেই ২/৩ টা বেজে যায়। তাই এলার্ম দিয়ে রেখেছিল, যাতে ভোর ৫ টায় উঠতে কোন প্রব্লেম না হয়। তিতির আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো। বাইরে তাকিয়ে দেখলো এখনো আলো ফোটেনি।

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫৪

ঘুম ভাঙার পরও শুয়ে রইলো মুগ্ধ তিতির যদি আসে! যদি আগের মত এসে ওর ঘুম ভাঙায়! আজকের দিনটা কি ও না এসে পারবে? অবশ্য নাও আসতে পারে, এখন তো ওর এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে। এখন তো চাইলেও এত সহজে আসতে পারবে না।

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫৫

মুগ্ধ বাসায় ফিরতেই দেখলো পিউরা মাত্রই এসেছে, যাক বেশি দেরী হয়নি তাহলে। সবার সাথে গল্পগুজব, হইচই, খাওয়াদাওয়ার পর রাত ১২ টার দিকে পিউরা চলে গেল। মুগ্ধ নিজের ঘরে গিয়ে শুয়েছে কেবল। এমনসময় মা এসে দরজায় নক করলো, -“ঘুমিয়ে পড়েছিস বাবা?” -“না, মা.. খুলছি দাঁড়াও।” দরজা খুলতেই মা বলল, -“ঢুকবো না

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫৬

প্রেমাতাল পর্ব ৫৬ মৌরি মরিয়ম মুগ্ধর মা ফোন রাখার কিছুক্ষণ পরই মুগ্ধ ফোন করলো। -“তিতির, আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই। একটু সময় দিতে পারবে?” কি করবে তিতির? মাত্রই ওর মা ফোন করে বলল যাতে দেখা না করে আর এক্ষুনি ও দেখা করতে চাইছে! আল্লাহ কেন এমন পরিস্থিতিতে ফেলে? তিতির বলল, -“কবে?” -“আজ। সন্ধ্যার পর।”

প্রেমাতাল | পর্ব – ৫৭ | সর্বশেষ পর্ব

ড্রইং রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে তিতির দেখলো বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। তিতির বাবার সামনে গিয়ে ফ্লোরে বসলো। বাবা কাগজ থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, -“কিছু বলবি মা?” তিতির কখনো এভাবে একা বাবার সামনে বসে সরাসরি মুগ্ধর ব্যাপারে কথা বলেনি। কিভাবে বলবে? লজ্জা লাগছে, আর ভয়ও করছে।