চামেলি যেন আকাশ থেকে পড়ল। মাথায় হাত দিয়ে বলল,'আল্লাহ গো!!হেরে চিনো না তুমি? সালমান শাহ,অনেক বড় নায়ক হেয়।'
পরীর হাত ধরে টেনে কাছে এনে দুজনের দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলে শায়ের। কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলে,'ক্ষমা তো চাইলাম পরীজান। আবারো চাইবো??'
পরী কথা বলল না। ওভাবেই রইল। কিছুক্ষণ পর পরী বলল,'শুনেছি সত্যিকারের ভালোবাসা নাকি কাঁদায়!! ভালোবাসায় চোখের পানি না ঝরলে সেই ভালোালোবাসা পরিপূর্ণ হয় না??'
পাঞ্জাবির পকেট থেকে ফুলগুচ্ছ বের করে পরীর হাতে দিলো। আবারও সেই বেলিফুল। সাদা রঙের এই ফুলটিতে মন মাতানো সুবাস থাকে। কেমন যেন নেশা ধরে যায় পরীর। নাকের কাছে ফুল নিয়ে ঘ্রাণ নিতেই মন ভাল হয়ে যায়।
-'আমার থেকে তা আপনি ভালো জানেন। আপনার থেকেই তো ভালোবাসা শিখছি আমি। প্রতিদিন আপনার ভালোবাসার নতুন রূপের সাথে পরিচিত হই আমি। আপনিই বলুন।'
পরী জবাব দিলো,'আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এই জমিদার বাড়িতে কিছু একটা হচ্ছে। যা আমার অজানা। কিন্ত আম্মা,আপা,কুসুম,শেফালি,দাদি এবং জুম্মান জানে। কি এমন হয়েছে সবার??'
পরী তৎক্ষণাৎ শায়েরের হাত মুঠোয় নিয়ে বলে, 'আপনি ছাড়া আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির কাছেও সুখি থাকতে পারবো না। তাই এই প্রশ্ন আপনি কখনোই করবেন না।'
পরী চোখ তুলে তাকালো শায়েরের দিকে। মুখটা কেমন মলিন হয়ে গেছে।
-'চম্পা শুধু এই কাজটাই করেনি। আরো একটা জঘন্য কাজ করেছে জানেন কি?'
ঘর থেকে বের হওয়ার আগে শায়ের চম্পাকে উদ্দেশ্য করে বলে,'যে মানুষ টা তোকে এতো কাছে টানলো তার এতোবড় ক্ষতি করতে তোর বুক কাঁপলো না? তোর মুখ যেন দ্বিতীয়বার আমি না দেখি।'
থমথমে গলায় জুম্মান বলে,'বড় আম্মার অসুখ করছে আপা। ডাক্তার কইছে বাঁচবো না। তোমারে নিয়া যাইতে কইছে। তুমি যাইবা না?'