সিরিজ পাথরের বুকে ফুল

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২১

ওয়াসেনাতের চোখ ঝিম ঝিম করছে তবুও কেন যেন সামনের দৃশ্য দেখার ইচ্ছে জেগেছে তাই অতি কষ্টে চোখজোড়া খুলে সামনের দিকে তাকানোর চেস্টা করছে।ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে তেমন অবাক না হলেও তার দুইপাশে তাকিয়ে হতবাক। ওয়াসেনাত হস্পিটালের বেডে শুয়ে আছে।তার চারিপাশে ডাক্তার আর নার্সের অভাব নাই বলেই চলে।আর তার দূই পাশে

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২২

ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিস্মিত চোখে তার বাবার কথা শুনছে আর ভাবছে তার বাবার মাঝে হঠাৎ রণচণ্ডী রানী কিভাবে ভর করেছে? তার ধারনা মতে রণচণ্ডী মেয়ে তাই এটা মেয়েদের মধ্যে বেশি ভর করে কিন্তু তার বাবার মধ্যে যে কিভাবে এল সে বুঝে উঠতে পারছে না। ওয়াসেনাতের বাবা এবার রিতিমত ঘর কাপাঁনো চিৎকার

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৩

ওয়াসেনাত বেসামাল ভাবে দৌড়ে চলেছে। সে তার সর্ব শক্তি দিয়ে দৌরাতে চেষ্টা করছে।।হঠাৎ কারো পিঠের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায়।অরিএান তার এক ক্লাইন্ডের সাথে কথা বলছিল হঠাৎ ধাক্কা লাগায় তার হাতের সপ্ট ড্রিংস তার সামনের ব্যক্তির গায়ে পরে।ব্যাপারটায় সে কিন্চিত বিরক্ত নিয়ে পিছনে হাকাতেই সে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পরে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৪

ওয়াসেনাত অরিএানের হাতের উপড় মাথা দিয়ে গা এলিয়ে আছে।আর অরিএান একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।কিছুসময়ের ব্যবধানে কি হয়ে গেছে কিছুই তার মাথায় ডুকছে না। রিমন আচ্ছা মত লোকটাকে মেরেই চলেছে।পার্টির সবাই প্রায় উপড়ে চলে এসেছে।ওয়াসেনাতের বাবা তাকে এভাবে দেখে হতভম্ভ হয়ে বসে পরে।ওয়াসেনাতের মা বার বার জিগ্যেস করছে ওয়াসেনাত

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৫

এক গ্লাস পানি দিবেন?(ওয়াসেনাত করুন ভাঙা গলায় বলে উঠে) : : রিমন দৌড়ে পানি নিয়ে আসে।পানি হাতে নিতেই ওয়াসেনাতের হাত কাঁপতে শুরু করে।তবুও নিজেকে বহু কষ্টে সংযোত করার চেষ্টা করেও গ্লাসটি বাঁচাতে পারলোনা।ঠাসসসস করে পরে বিকট এক শব্দ হল।ওয়াসেনাত অরিএানের দিকে তাকিয়ে আহত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠে……. __সরি

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৬

আজ সকালটা সুন্দর কথাটা আসলে ঠিক মনে হয় না।পৃথিবীর সব সকালই সুন্দর হয়।সকালের প্রথম কিরণ মোহনিয় করে মানুষের জীবনকে।রাঙায় নতুন স্বপ্নের আলোতে।নতুন একটি কিরণ মানে নতুন স্বপ্ন বুনার শুরু।আজকের সকালও কারো নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনার শুরু।সকালের মিষ্টি হালকা রোদে অরিএানের ঘুম ভাঙে।ঘুম ঘুম চোখে তার মনে হচ্ছে সে নরম

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৭

ওয়াসেনাত একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে।চোখে মুখে তার প্রবল আগ্রহ। তার ঠিক সামনেই দুজন লোক বসে আছে।একজন তার বাবা আর একজন তার দাদাশ্বশুর।ওয়াসেনাতের চিৎকার শুনে তার বাবা তার কাছে আসলেই সে তার বাবাকে সব বলে আর তিনি অরিএানের দাদার সাথে দেখা করাতে নিয়ে আসে।ওয়াসেনাত অতি আগ্রহের সাথে বলে উঠে…… __আব্বু

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৮

ওয়াসেনাত তার মার কোলে মাথা দিয়ে বিগত দুইঘন্টা পর্যন্ত কেঁদে কেঁদে চোখমুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।ওয়াসেনাতের মা প্রচণ্ড চিন্তিত মুখে মেয়েকে সামলিয়েই চলেছে।ওয়াসেনাতের বাবা এবার প্রচণ্ড রেগে গেছে।এভাবে নিজের মেয়ের চোখের পানি তিনি সজ্জ করতে পারে না।তার উপড় মেয়েটা রিতিমত ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদেই চলেছে।এটা জাস্ট ওনি মেনে নিতে পারছে না।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ২৯

রোদের আলো ওয়াসেনাতের চোখে মুখে পড়তেই ওয়াসেনাতের ঘুম ভেঙে যায়।চোখ খুলে ওয়াসেনাত নিজেকে নিজের রুমের খাটে আবিষ্কার করে।রোদটা তার রুমের জানালা দিয়ে আসছে।ওয়াসেনাত ধড়পড়িয়ে উঠে বসে।আর ভাবে অরিএান গেল কই?তবে কি সে স্বপ্ন দেখেছে?কিন্তু তার তো মনে হয়েছিল বাস্তবে।তবে তো সে ছাদে ছিল বিছানায় কিভাবে, কখন এল?ওয়াসেনাতের মাথা ঘুড়ছে।

পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ৩০

অরিএান আর রিমন হতভম্ভ হয়ে একজন আর একজনের মুখ চাওয়া চাই করছে।তাদের অবস্থা দেখে মনে হয় ভয়ঙ্কর কিছু দেখেছে।তবে তারা যা দেখছে এক কথায় এটা মেয়েদের জন্যে একদম সাধারন একটা ব্যাপার।অরিএান আর রিমনের সামনে ওয়াসেনাত আর রিমি ঝগড়া করছে।আসলে ঝগড়া করছে বললে ভুল হবে মারা মারি করছে।যাকে বলে চুল