মেয়েটা ওভাবে কেন বলল? কোন অপরা*ধে? জেনে-বুঝে ওর কোনও ক্ষ*তি আদৌ কি করেছে? আর কেনই বা ওমন ফুটফুটে মেয়েটা আত্মহ*ত্যা করতে যাচ্ছিল? আচ্ছা, ধূসর ভাইয়ের সাথে কিছু হয়েছে কী!
পিউয়ের ওষ্ঠযূগল ঠকঠক করে কাঁ*পছে। ভ*য়ার্ত দুটি আঁখি ধূসরের র*ক্তাভ চেহারায়। ফর্সা মানুষ কাঁ*দলে, হাসলে,লাল হতে দেখেছে সে। কিন্তু শ্যামলা বর্নেও ধূসর লালিত হয়, অতিরিক্ত ক্ষো*ভে। নিঃশ্বাসে পায় হিঁসহিঁস শব্দ।
পিউ ঘুরিয়ে পেচিয়ে আগের প্রসঙ্গে ফিরে এলো। কণ্ঠ নরম করে বলল ' আপনাকে দেখে কখনও মনে হয়নি আপনি সব জানতেন। '
ধূসর বক্র হাসে। যেন কৌতুক শুনল কেবল। হাসিটা পিউকে বিভ্রমে ভোগাতে যথেষ্ট।
ইকবাল চলে এলো। ব্য*র্থ হয়ে বেঞ্চে বসল। পুষ্প কী রা*গ করবে সে ফুল না দিলে? তার ভাবনার মধ্যে কেউ একজন চে*পে ধরে দুই চোখ। খানিকটা হকচকাল সে। পরপর মুচকি হেসে হাতদুখানি আক*ড়ে ধরল।
পিউ হাঁস*ফাঁস, হাঁস*ফাঁস করে। অস্থির চিত্তেও শান্ত হয়ে বসে থাকে। লাজুকলতার ন্যায় গুটিয়ে রয় দেহ। বক্ষে তখন উথাল-পাতাল। ধড়াস ধড়াস লাফাচ্ছে হৃদপদ্মের ছোট্ট অবাধ্য খাঁচা।
বিভ্রান্ত নজর একবার স্ত্রীর চেহারায় বোলালেন। তাকেও চিন্তিত দেখাচ্ছে। আজমল দৃষ্টি ফিরিয়ে আবার ভাইয়ের পানে তাকালেন। ইতস্তত করে বললেন,
' ইয়ে,আমি কি কোনও ভুল কিছু চেয়ে বসলাম ভাইজান?'
পুষ্প বহু ক*ষ্টে ঘর অবধি এলো। তার পা চলছে না। এতটা ভারি হয়ত পাথরখন্ড ও হয়না। গলবিলে দলা পাঁকানো কা*ন্নার পরিমান হুহু করে বাড়ছে। কত ক*ষ্টে এতটা সময় চে*পে রেখেছে কেউ জানেনা।
পিউ খুব বির*ক্ত হলো। কপাল কুঁচকে বলল,
' সাদিফ ভাইয়ের কাছে কেন যাবি? উনি যে কিছু করবেন না সেতো জানা কথা।'
পুষ্পর দিয়ে যাওয়া বিশেষণ' তুমি স্বার্থ*পর!' কানে বাজছে নিরন্তর। সে কী আসলেই স্বার্থ*পর? এই পরিবারের জন্য সত্যিই বিষা*ক্ত? কেন? কেন সে স্বার্থ*পর হবে? পুষ্পটা তো জানেনা,পরিবারের সবার ওপর সেও না বলতে পারেনি। মেয়েটা দুবছর ধরে ভালোবেসে কেঁ*দে ব্যকুল।
ইকবাল আপ্লুত চোখে বন্ধুর দিক চেয়ে থাকল। সেই চোখ জ্ব*লে উঠল পরপর৷ কোটর ছড়িয়ে পল্লব ছুঁলো। বদনের ঘাম মোছার ভাণ করে মাথা নীচু করে শার্টের হাতা দিয়ে মুছে নিলো জল।