সিরিজ এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫১

“আপনি আমাকে খাসি বললেন কেনো বিহান ভাই?আমি কি পুরুষ মানুষ যে খাসি হতে যাবো।” “তোর যে কানেও সমস্যা আছে এটা তো জানতাম না দিয়া।আচ্ছা তুই মানে কি সমস্যার গোডাউন।এত সমস্যা তোর কি হবে তোর জামাইয়ের।বেচারার জীবন টাই ত্যানা ত্যানা হয়ে যাবে।” “আমার কানে সমস্যা মানে।আমার কানে কবে সমস্যা ছিলো বিহান ভাই।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫২

নীল আর কালো রং মানেই আমার কাছে শুভ্র প্রেমের রং।যে রং আমার মন ভালো করে দেয়,যে রং মনের কোনে সুপ্ত অনুভূতির সংমিশ্রণ সৃষ্টি করে।।এই দুইটা রং এ আমার বেশীর ভাগ ড্রেস আর জিনিস পত্র।যেখানেই যায় পছন্দ হিসাবে এই রং দুইটা পছন্দ করি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৩

মানুষ মানুষকে মাত্র(.৫০)পয়সা কিভাবে দিতে পারে ভাবা যায়।এটা এক মাত্র ওই আধ্যাতিক মানুষ টার পক্ষেই সম্ভব।উনার জন্য গেম টা নিশ্চিত হেরে গেলাম আমি।আসলে উনাকে বোকা বানানো এতটা সোজা নয়।এর পর বিভোর ভাই বিহান ভাই কে ডেয়ার দিলেন যে কাউকে খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারতে হবে?মেহু আপু জিজ্ঞেস করলো বিহান ভাই থাপ্পড় মারলে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৪

সময় টা শীত কাল।কচুপাতার নিচে শীতের আগমণ মাত্রই শুরু হয়েছে।কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে শীত একটু একটু করে প্রবেশ করছে শহরে।সকালে দূর্বাঘাসের উপরশিশিরের বিন্দু বিন্দু জল জমতে শুরু শুরু হয়েছে, রোজ সকালে প্রকৃতি কুয়াশার স্রোতে গোসল করে স্নিগ্ধ হচ্ছে।সময় টা বড্ড ই মিষ্টি।ছয়তলাবিশিষ্ট বাড়িটার তিনতলার পশ্চিমপাশের ফ্যাট টা ভাড়া নিয়েছি আমরা।নিজের স্বপ্ন সত্যি করতে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৫

“ক্লাসে স্যার আসলে বা স্যারের সাথে কথা বলার সময় উঠে দাঁড়াতে হয় জানেন না।” “আমিতো দাঁড়িয়েই আছি বিহান ভাই সরি স্যার।” “বিহান ভাই চারদিকে তাকিয়ে দেখেন সবাই মুখ চেপে হাসছে।আমার তো খেয়াল ই নেই এটা কলেজ এখানে ভাই টাই বলা যাবে না।স্যার বলতে হবে।কি একটা অবস্থা চারদিকে সবাই হাসাহাসি করছে তারা

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৬

“নির্বাণ স্যারের ক্লাস টা সত্যি সুন্দর ছিলো বিহান ভাই।” “স্যারের পড়া বুঝতে অসুবিধা হয়নি তো।ক্লাসে যা পড়িয়েছে তাকি বুঝেছিস। ” “হ্যাঁ অসাধারণ ছিলো বুঝবো না ক্যানো?” “স্যারের পড়ানো টা অসাধারণ ছিলো নাকি নাকি স্যারের চেহারা দেখে বলছিস কোনটা।” “দুটোই নির্বাণ স্যারের থেকে কম বয়স স্যার এর আগে দেখি নি।”

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৭

একটা ছেলে একটা মেয়েকে এতটা ভালবাসে কিভাবে দিয়া? আমি ফিল্মে যা দেখেছি বাস্তবে সেটা বিহানের মাঝে দেখেছি।তাকিয়ে দেখো আমার দিকে দিয়া আমি চাইলে এই শহরে অর্ধেক কিনে ফেলতে পারি আমার বাবার এতটাই সম্পত্তি আছে।টাকার অভাব নেই আমার দিয়া।লুক এট মি তোমার থেকে সুন্দরে আমার কমতি নেই কোনোকিছু আমার গায়ের রং তোমার থেকে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৮

সামনে তিন কেজি ছোট মাছ আর হাতে বটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি।কয়েক হাজার মাথা হবে এই মাছের যদি বিহান ভাই এর একটা মাথা কাটতে পারতাম তাহলে আর এত গুলো মাছের মাথা আমার আর কাটা লাগতো না।উনার এই একটা মাথা কেটে কুচি কুচি করে মুড়িঘন্ট করে উনার গোরস্হানে রেখে আসলেই শান্তি পেতাম।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৯

প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে আজ কলেজে গেলাম মুখে হাসি নেই মনের মাঝে গুমট কালো মেঘ জমেছে।ভাইয়াকে ভীষন মিস করছি ছোট বেলা থেকেই ভাইয়া ছাড়া কোথাও গিয়ে থাকিনি।আজ তিনটা মাস ভাইয়া ছাড়া আছি।এই শহরের অলি গলিতে ভাইয়াকে খুজে চলেছি কিন্তু কোথাও ভাইয়ার দেখা পাই নি আমি।আর কোনদিন কি দেখা হবে না আমাদের।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬০

বাড়িতে ক্রমশ আত্মীয়ের সংখ্যা বেড়েই চলেছে সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।আমাকে কি সবাই নতুন দেখছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না।গতকাল কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে ঘুমিয়ে গেছিলাম।ঘড়িতে দুপুর বারোটা দুইদিন হয়ে গিয়েছে বিহান ভাই এর ফোন আসে নি। ফোন হাতে নিলেই ওনার একটা না একটা মেসেজ আমার ফোনে দেখতে পাই।