বিভোর ভাই কে জ্বলানোর জন্য রিয়া যে এমন করছে সেটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। আমি তো ভাবতাম ওরা ফান ই করে কিন্তু বিভোর ভাই এর হাব ভাবে এটা ক্লিয়ার যে উনি রিয়ার প্রতি সিরিয়াস।রিয়ার ভাব দেখেও তাই মনে হচ্ছে।বিভোর ভাই নিয়াজের দিকে তাকিয়ে বললেন নিয়াজ তুমি না রহমান কাকার ছেলে।
আম্মুর ভীষণ গুরুগম্ভীর ভাবে ভাইয়া চিন্তিত।ভাইয়া একটু ভয় ও পাচ্ছে।ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া আম্মু সব টা জেনে গিয়েছে তুমি আম্মুকে জানিয়ে দাও সব কিছু।আজ মেজ কাকি এসে বাজে কথা শুনিয়ে গিয়েছে।ভাইয়া কথাটা শুনেই রেগে গেলো।দিয়া ওই মহিলার সমস্যা কি?এমনিতেও সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই উনার।
বাইরে উত্তপ্ত সূর্য প্রকৃতির পরিবেশ আগুনময় করে তুলেছে।সূর্য নিজ তেজ নিয়ে আস্তে সস্তে আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।এই শরৎকাল টা বড্ড ভালো লাগে আমার অবেলায় হুট করে বৃষ্টি আসে,ভ্যাপসা গরম আবার রাত শেষে একটু ঠান্ডা পড়ে ফ্যান ছেড়ে পাতলা কাঁথার নিচে শেষ রাতে আরামদায়ক একটা ঘুম দিয়েছি।কাল রাতে আম্মু আমার পাশে ঘুমিয়েছিলো।
জোসনা মাখা চাঁদ সেদিন ও সাক্ষি ছিলো আমাদের ভালবাসার আজ ও সাক্ষী আমাদের ভালবাসার।এইজন্যই বুঝি চাঁদের সাথে আমার এত ভাব।এই সেই দিনটা যেদিন সবার আড়ালে বিহান ভাই এর সাথে আমার বিয়ে হয়েছিলো।এই দিন টা আমার জীবনের সব থেকে দামি একটা দিন।
নিস্তব্ধতা চারদিকে,কোথাও কেউ নেই যতদূর চোখ যায় শুধু সাদা সাদা কাশফুল দেখা যাচ্ছে।ওর কি প্রেমিক প্রেমিকাদের ভালবাসার সাক্ষী হওয়ার জন্য জন্ম নিয়েছে।না জানি কত প্রিয় দের প্রিয় তম মুহুর্তের সাক্ষী ওরা। চাঁদের সোনালি আলোতে জোসনা বিলাস প্রিয় মানুষ টার সাথে করার মতো সৌভাগ্য সবার থাকে না।
মাথায় পেইন হয়েছে এমন একটা ভাব ধরে সুয়ে আছি কেননা বিহান ভাই আবার আগের রুপে অবতরণ করেছেন।এখন উনার মাঝে বর বর কোনো ভাব নেই।এখন মামাবাড়িতে যাওয়া মানেই রিস্ক বিহান ভাই সারাক্ষণ বই পড়াবেন না পারলে অনেক অপমান করবেন।
এক্সকিউজ মি!আপনি আমার ওড়ণা দিয়ে আপনার ওই জেল ফেল লাগানো চুল মুছতেছেন।আমার ওড়না ছাড়ুন, ছাড়ুন বলছি।কথাটা বলেই উনার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালাম। “উনি আমার মুখের উপর ঝুঁকে এসে বললেন, হোয়াট ইজ ইওর প্রব্লেম মিসেস বিহান।বউ আমার,ওড়না আমার বউ এর, আপনি এত রিয়্যাক্ট করছেন কেনো?আমি তো আপনাকে কিছু করছিনা।
সবুজ মেরুর দেশে শুধুই সবুজের সমারোহ।চারদিকে সবুজ ধান ক্ষেত হয়তো পনেরো দিনের মাঝেই ফুল আসবে গাছে।প্রসস্ত বিলের মাঝে চিকন একটা পিজঢালা রাস্তা যার চারদিকের কুল কিনারা দেখা যাচ্ছে না।বাতাসে ধানক্ষেতের ধানের পাতা গুলো দোল খাচ্ছে যেনো স্রোত বয়ে যাচ্ছে ধানের পাতায়।মাঝে মাঝে কাক তাড়ুয়া ও আছে।কৃষক রা ধান হওয়ার আগেই কাকতাড়ুয়া লাগিয়ে
আমার সাথে কথা না বলার কারণ কি দিয়া বেশ শান্ত কন্ঠে বলে দুই প্যান্টের পকেটে হাত গুজে ক্ষুদ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলেন বিহান ভাই।ইগনোর জিনিস টা উনি নিতে পারেন না। বিভোর ভাই এর মামাবাড়ি থেকে বেশী কিছু খান ও নি উনি।
কোনো কাজ ই ছোট নয়,তাই কাজ কে ছোট করে দেখা উচিত নয় এমন বুলি আউড়িয়ে বিহান ভাই উনার একটা বাতিল গেঞ্জি দিয়ে ফ্লোরের পানি মুছতে শুরু করলেন।আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি বিহান ভাই ফ্লোর মুছছেন এটা ইতিহাসে নবম আশ্চর্য।