সিরিজ এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২১

জন্মদিন মানেই বিশেষ একটি দিন।সে দিন টা যদি আবার হয় প্রিয় জনের তাহলে সেই দিন টা বিশেষ এর থেকেও বিশেষ হয়।আজ রাত বারোটা বাজলেই বিহান ভাই এর জন্মদিন।কিন্তু উনি তো এলেন না।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২২

আজ বিহান ভাই আর আমার মাঝে কোনো দূরত্ব নেই।মনে হচ্ছে মনের খুব কাছাকাছি চলে এসছি আমরা।ছাদে সবার আড্ডার মাঝে বার বার চোখাচোখি হচ্ছে আমাদের।কাজিন রা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছিলাম আমরা।কিছুক্ষণ পরেই কেক কাটবো আমরা।নিচ থেকে বিভোর ভাই এর আম্মু ডাকলেন কারা যেনো এসছে বাড়িতে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৩

কাউকে ভীষণ ভালবেসে ফেলার পরে নিজের মন বোধ হয় আর নিজের কন্ট্রোলে থাকে না।নিজের অনিচ্ছায় মন অন্য কারো দখলে চলে যায়।মন একবার কারো দিকে ঘুরে গেলে তাকে আর ফেরানো যায় না।এই কিশোরী মন টা যে বিহান ভাই কেটে নিয়েছে শুধুই কি যাতনা দেওয়ার জন্য।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৪

“প্রিন্সেস ডায়নার একটা উক্তি এতদিন ধরে মনের মাঝে পুষে রেখেছিলাম আমি যাকে ভালবাসি সে আমি বাদে বিশ্বের সবাইকে ভালবাসে।” মন খারাপ হয়েছে, ভেঙে পড়েছি,কেঁদেছি ওই কঠিন মানুষ টার জন্য।এতদিন যাকে হৃদয়হীন ভেবেছি সেই মানুষ টা ও কাঁদতে জানে এতটা আবেগপ্রবন ভাবে সেটা আগে জানা ছিলো না।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৫

“সন্ধ্যার রেশ কেটে খানিক টা রাত হয়েছে, বৃষ্টি এখনো কমে নি,বাইরে প্রবল বেগে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।জানালার পর্দা ভেদ করে বৃষ্টির ফোঁটা রুমের এসে প্রবেশ করছে।বিহান ভাই জানালার পর্দা সরিয়ে বৃষ্টির হাওয়া লাগাচ্ছেন গায়ে আর হালকা শীতে কাঁপছেন।” “আমি রান্নাঘর থেকে খাবার এনে বিহান ভাই কে খাইয়ে দিলাম।লক্ষি ছেলের মতো আমার মুখের দিকে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৬

বিহান ভাই কে দেখে রিতীমতো ভড়কে গেলাম আমি।আশে পাশে তাকিয়ে দেখি রিয়া,তোহা আপু আর মেহু কেউ নেই।কোথায় ওরা?এক সাথেই তো নাচ গান করছিলাম।আমাকে এই রাক্ষস মানব এর সামনে রেখে কোথায় বেপাত্তা হয়ে গেলো ডায়নির দল।নিশ্চয়ই আগে থেকে ওরা বিহান ভাই কে দেখে পালিয়েছে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৭

জীবনে অনেক মানুষের বয়ফ্রেন্ড দেখেছি কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ড এর মতো দুনিয়াতে দেখি নি।মনে হয় ওই এক পিছ ই ওপরওয়ালা সৃষ্টি করেছেন।প্রেমিকা পানিতে পড়ে গিয়েছে কোথায় ঝাপ দিয়ে গিয়ে কোলে করে তুলবে সেটা নয় ক্ষিপ্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।উনার চাহনি দেখে হৃদপিন্ড কাঁপা শুরু হলো।আমি ভীতু ভীতু নয়নে উনার দিকে তাকালাম।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৮

ঠাসসস শব্দে কেঁপে উঠলো রুম।আম্মুর হাতের পাঁচ আঙুল আমার গালে লেগে গেলো।আম্মুর যথেষ্ট বকাবকিতেও মন ভরে নি।তার ধারণা তার মেয়ে অন্য জগতে প্রবেশ করেছে।তার মেয়ে এমন মানুষদের সাথে ফোনে কথা বলে তারা ভিডিও কলে অশালীন জিনিস দেখায়।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২৯

নিমিষেই মনে হলো খানিকটা থুতু আমার পেটে প্রবেশ করলো।ওয়াক থুঃনিজের থুতু তাই ফেলে দেই আমি।আর অন্য একজনের টা ভাবতেই কেমন বমি বমি পাচ্ছে আমার।দৌড়ে গিয়ে উনার জানালা দিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে থু ফেলছি আমি।বুঝলাম না ওই অসভ্য মানব টা কি অমৃত পান করেছে।উনার ঠোঁটের কোনায় যেনো মহা প্রশান্তি দুষ্টু হাসি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩০

মারাত্মক লজ্জা পেয়ে শুভ ভাইয়া অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ালো।আমি বিহান ভাই এর পিছনে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে না।লজ্জা আমার ও লাগছে কারণ নিজের আপণ ভাইয়ের প্রেম কাহিনী এভাবে সামনে আসলে ভাইয়া আর আমি দুজনের ই লজ্জা।