হিডেন ক্যামেরা তেমনি একটি প্রযুক্তি। এটি গোপন আলোকচিত্রগ্রাহী যন্ত্র। এর সহায়তায় গোপনীয় ভাবে যেমন বিভিন্ন অন্যায়,অনৈতিক কাজ ধরে ফেলা যায়, তেমনি বিভিন্ন অন্যায় কাজ হাসিল করাও যায়।
এমন নৃশংস খু/ন পলাশ ব্যতিত আর কে করতে পারে? এই একটি প্রশ্নই পাগল করে দিচ্ছে তাকে। এমন সময় প্রণয় এলো। তাকে দেখে আঁতকে ওঠল সে।
চোখ খুলতেই রাশভারী পুরুষটিকে দেখে অধর কোণে হাসি ফুটে ওঠল। সে হাসির রেখা দীর্ঘস্থায়ী হলো না, নিমিষেই দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে গেল৷ ছলছল দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মুখ উঁচিয়ে কপালে চুমু খেল।
শুধু নির্লজ্জের মত ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদল আর বলল,
-'বিশ্বাস করেন বড়ো ভাবি, বিশ্বাস করেন নতুন ভাবি আমি কিছু করি নাই। আমারে ছাইড়া দেন আমনেগো পায়ে পইড়া কই, আমারে ছাইড়া দেন।'
-'যে পরিস্থিতি তৈরি হলে আপনার ছেলেকে আপনি সামলাতে পারবেন না। সে পরিস্থিতি'তে তার স্ত্রী সামলাতে পারবে এই ধারণা কেন হলো!'
সহসা তিনটে প্রাণই আতঙ্কিত হয়ে ওঠল।
গম্ভীরচিত্তেই ভারি নিঃশ্বাস ফেলে মৃদু পায়ে ঘরে এসে বিছানায় শুইয়ে দিল শাহিনুর'কে। শাহিনুর অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। প্রণয় একটি কথাও বলল না আর। পাশফিরে শুয়ে পড়ল৷ শাহিনুর হাত বাড়িয়ে তার পিঠ স্পর্শ করল।
মধ্যরাতে মেজো ভাই মাতাল অবস্থায় ঘরে ফিরলেন। এই নিয়ে আব্বা, আম্মার সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর আব্বা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন।
মানুষ'কে বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত। যার অর্থ মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বা সৃষ্টির সেরা৷ বইয়ের পাতায় এই দু'টো লাইন দেখে শাহিনুরের অধর কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে ওঠল৷ মনটা একদম ভালো নেই তার।
পঁচিশ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। প্রণয় নুর একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। সবসময় প্রণয় নিজ থেকে শাহিনুরের রাগ, অভিমান ভাঙায়। কিন্তু এবার আর সে নিজে থেকে শাহিনুরের কাছে যায়নি।
প্রণয় এলো রাত এগারোটার পর৷ আসা মাত্রই এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি সামনে ধরল শাহিনুর। প্রণয় অবাক হয়ে প্রগাঢ় চাহনিতে তাকাল। প্রণয়ের সুগভীর দৃষ্টিজোড়ায় নম্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করল শাহিনুর। ইশারায় পানির গ্লাস নিতে বলল৷