ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে আছে। আজ কত দিন পড়ে সামনের লোকটাকে দেখছে।সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে নাই তাই ছাপিয়ে পড়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছে।লোকটিও তাকে অতি যত্নে আগলে ধরে আছে।অনেকক্ষন ধরে ওয়াসেনাতকে না আসতে দেখে তার মা হাতরাতে হাতরাতে দরজার সামনে এসে থমকে যায়।সেই পরিচিত চিরচেনা ঘ্রাণ নাকে এসেছে বলে কথা।থমকে যাওয়ারই ব্যাপার।হুম ঠিক ধরেছেন ওয়াসেনাতের বাবা এসেছে। ৬মাস পরে আজ তাদের দেখা হয়েছে।ব্যাপারটা তাদের জন্যে কতটা আনন্দের তারা এটা ভালো করে বলে বুঝতে পাড়বে না।তানবির সাহেবের দুই ছেলেও এসে তাকে জড়িয়ে ধরে।শুরু হয় ওদের ভাই বোনে ঝগড়া। আলিফ একবার আসিফকে সরাতে ব্যস্ত তো একবার ওয়াসেনাতকে। ওয়াসেনাতেরও একই অবস্থা সাথে আসিফ ছোটো তো আছেই। তবে শেষ জিত ওয়াসেনাতেরই হয়।কারন একটাই তার বাবাই তো তার পক্ষে আছে।ওয়াসেনাত তার বাবাকে প্রান ভরে জড়িয়ে ধরে থাকে কিছুক্ষণ। ওয়াসেনাতের মা তাদের অবস্থা না দেখলেও বুঝতে পাড়ছে।তার চোখ জোড়া আপনা আপনি ভিজে আসে।কতদিন হয়ে গেছে তাদের কাউকেই সে দেখেনা🥺🥺।বাচ্চারা তাদের বাবাকে আসলেই সব চাইতে বেশি ভালোবাসে।মাঝে মাঝে তো মা এর চাইতেও বেশি।ওয়াসেনাতরা তাদের মাকে এভাবে কাদঁতে দেখে তার কাছে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে।আর তাদের বাবা তাদের সবাইকে নিজের হাতে আবদ্ধ করে জড়িয়ে ধরতে চেষ্টা করছে।এটাই একটা সুখি পরিবার।মানুষের আসলে ধন সম্পদ না একটা সুখি পরিবার প্রয়োজন। অরিএানের তো ডলারে ডলারে টাকার গোডাউন আছে কিন্তু সে কি সুখি। না। সে তো একটুখানি সুখের সন্ধানে আছে।
অরিএান সোফায় বসে আছে। আর তার সামনে আর একটা সোফায় তার দাদাজান বসে আছে।তিনি এবার মন্ত্রী পদে জিতেছেন।তাই এখন থেকে দেশে থাকবেন।আজই আমেরিকা থেকে এসেছে যদিও ভোটে জিতেই ওনি আমেরিকা চিকিৎসক +কিছু কাজের জন্যে গিয়ে ছিলেন।অরিএান তার দাদাকে খুব ভালোবাসে।আর তার দাদা তো অরিএান বলতেই অজ্ঞান।অরিএানের দাদা শারফারাজ খান বলে উঠে………
__দাদু ভাই শুনেছি তুমি নাকি গত তিন দিন বডি গার্ডস ছাড়া বাহিরে গেছো। (গম্ভীর সুরে)
__আসলে দাদাজান আমার বডি গার্ডসদের সাথে রাখতে ভালো লাগে না।আর ওয়াসেনাতের কথা তো তুমি যান।তাই বডি গার্ডস বিহিন চলতে হচ্ছে।
__দেখ আমি সব জানি কিন্তু তাও তোমার নিরাপত্তা আগে।আর তুমি তো যানো তোমার আশেপাশে শত্রুর অভাব নাই। so তোমাকে নিজেকে secures রাখতে হবে। আশাকরি তুমি বুঝতে পাড়ছ।
__জি দাদাজান।
__অরিএান কথাটা কি সত্যি???
__কোন কথা দাদাজান?? (অবাক হয়ে)
__তুমি নাকি প্রেমে পড়েছ।
__রিমন বলেছে না।ওকে তো আমি….
__ও বলতে হবে কেনো। তোমার মুখে মেয়েটার বর্ণনা শুনেই বুঝতে পেরেছি। যে তুমি তার প্রেমে পড়েছ।
__কথাটা ঠিক না।আমার শুধু তাকে ভালো লাগে এছাড়া তেমন কিছুই না(কথাটা বলেই রুম থেকে বাহিরে চলে যায়)
অরিএানের দাদা হাসছে তার কান্ড দেখে সাথে রিমন ও হাসছে।তার দাদার কথা ছেলেটা কেনো মানতে চাচ্ছে না সে প্রেমে পড়েছে।আসলে অরিএান খানের সাথে প্রেমে জিনিসটা যায় না তাই সে প্রেমের ব্যাপারটা মানতে পারছেনা।তবে তাকে বুঝাতে হবে সে কতটা পছন্দ করে মেয়েটাকে।আধোও ব্যাপারটা শুধু পছন্দে সীমাবদ্ধ আছে নাকি ভালোবাসার রুপ নিচ্ছে এটা অরিএানের দাদারও অজানা।
ওয়াসেনাতদের বাসায় এখন উৎসমুখর পরিবেশ। কারন তার বাবা এখন থেকে ঢাকায় থাকবে।ওয়াসেনাত আজ সারাদিন বাসায় থাকবে।আজ তার বাবারও অফিস ছুটি।তাই সাবাই বাসায় থাকার প্লানিং করেছে।ওয়াসেনাত তার বাবার কোলে মাথা দিয়ে চিপস খাচ্ছে। আর ননস্টপ বকবক করছে। তার বাবা টিভি দেখছে আর হুম হ্যাঁ করে জবাব দিচ্ছে। ওয়াসেনাত বলে উঠে…………
__আব্বু তোমার পরিএান বসের মনে এত দয়া হল কি করে। তোমাকে পুস্টিং দিয়ে দিলো যে??
__জানিনা আম্মুুুুসোনা।তবে আমাকে স্পেশাল ভাবে বদলি দেওয়া হয়েছে।
__যে ভাবেই দেক শালা জীবনে একটা ভালো কাজ তো করেছে।
__আম্মুুুুসোনা এগুলো কেমন কথা।এভাবে কারো সম্পর্কে বলতে মানা করেছি না
__sorry 🙊🙊
অরিএান আজ সকাল থেকে ওয়াসেনাতদের বাড়ির সামনে গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।উদ্যেশে একনজর দেখবে ওয়াসেনাতকে কিন্তু ওয়াসেনাত তো আজ বের হচ্ছে না।এটা ভেবে তার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। অন্যকারো বাসা হলে এতক্ষণে সে বাসার ভিতরে চলে যেতো তবে এটা ওয়াসেনাতদের বাসা তাই যাওয়া যাবে না।সে কোনো ভাবেই ওয়াসেনাতকে কষ্ট দিতে চায় না।
ওয়াসেনাত ছাদে তার লাগানো টবে পানি দিতে গিয়েছে।গাছ লাগানো তার এক প্রকার নেশা।সম্পূর্ণ ছাদ ফুল গাছে ভরিয়ে তুলেছে।ওয়াসেনাত এক মনে গাছে পানি দিচ্ছে। আর অরিএান নিচে থেকে তাকে দেখছে।রোদের প্রথম কিরনে ওয়াসেনাতের মুখশ্রী হলুদ আর লালের মিশ্রণ কমলা লাগছে।ছাদেও মেয়েটা ওড়না পেঁচিয়ে চুলগুলোকে আড়াল করে রেখেছে। ঠোঁটে একপশলা বৃষ্টির নেয় অসাধারন হাসি।যা দূর থেকেও অরিএানকে ক্রমশো দেওয়ানা বানিয়ে দিচ্ছে। অরিএানের মন চাচ্ছে এই একপশলা হাসিতে নিজের রুক্ষ ঠোঁট জোড়া ভিঁজাতে। তবে কি করার চাইলেই তো হবে না। কিছু মহা মুল্যবান বস্তু থাকে যা ধরা ভয়ংকর রকমের কষ্ট।তবে কেনো যেনো এই কষ্টটা অরিএান করতে চায়।হাজার বার না লক্ষ কোটি বার করতে চায়।
ওয়াসেনাত গাছে পানি দিতে দিতে কালো রং এর অরিএানের গাড়িটা দেখতে পায়।ওয়াসেনাত তো এটা দেখে ভায়াবহ ভাবে অবাক হয়।তার মাথায় এটাই ডুকছে না এই লোক এখানে কি করে।চোখ বড় বড় করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ওয়াসেনাত নিচে নেমে আসে।গেট খুলে সোজা অরিএানের গাড়ির গ্লাসে টোকা মারে।অরিএান সাথে সাথে গ্লাস খুলে দেয়।ওয়াসেনাত অরিএানকে দেখা মাএ বলে উঠে………….
__এই আপনার সমস্যা কি বলেন তো???
__তুমিই আমার সমস্যা।(আনমনে বলে উঠে)
__মানে কি??(রাগি চোখে তাকিয়ে)
__না না।আসলে তুমি আজকে ভার্সিটি যাবে না।(নিজেকে সামলিয়ে নিতে নিতে)
__এই সামান্য একটা প্রশ্ন করার জন্যে আপনি এখানে এসেছেন।(অবাক হয়ে)
__না তো।আমি তো তোমাকে দেখতে এসেছি।
__কিকককককক
__সব গুলিয়ে যাচ্ছে। (হতাশ হয়ে)
__কি যাতা বলছেন।
ওয়াসেনাত সামনে আসলেই অরিএানের সব গোলমাল হয়ে যায়।আসলে ওয়াসেনাতের মুখ দেখলে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে।তখন তা মোটেই কথা বলতে হচ্ছে হয় না।অরিএান কিছুক্ষণ চোখ বুজে আবার খুলে বলে উঠে……………….
__আমি কথা শর্টকাটে বলতে পছন্দ করি। আসলে আমি তোমাকে দেখতে এসেছি।কারন একটাই তোমার company আমার ভালো লাগে তাই তুমি ভার্সিটি যাবে কি না দেখতে এসেছি।(গম্ভীর গলায়)
__ওও এই কথা।ভালো লাগতেই পারে। এতে এত হাপানোর বা ভয় পাওয়ার কি আছে।পৃথিবীতে সবার মত প্রকাশের অধিকার আছে।আমি তো ভেবেছি আপনি আমাদের বাসায় চুরিটুরি করতে এসেছেন🙄🙄।যাই হোক দেখেন আমরা অতো বড়লোক না হুম যদি চুরি করার হয় তবে পরিএান মানে আপনার বসের বাসায় করেন হালার অনেক টাকা।আর আমি আজ ভার্সিটি যাবো না।
অরিএান হাবার মত তাকিয়ে আছে।সে ভাবছে এ মেয়ে তাকে চোর বানিয়ে দিল।আবার বুদ্ধি দিচ্ছে চুরি করার তাও তার নিজের বাসায়।কি ভয়াবহ মেয়ে ভাবা যায়।অরিএানের এখন কচু গাছে ফাঁসি খাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি 😂😂ওয়াসেনাত আবার বলে উঠে……….
__এই আপনি লেখাপড়া পাড়েন🙄
__what 😒😒
__না মানে sorry আমিও কেমন আবাল পড়ালেখা না পড়লে তো আর আপনি পরিএানের অফিসে চাকরি করতে পারতেন না।🤭🤭আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে অধিক দক্ষ।মানে কোনsubject বেশি পাড়েন। না কি কোনো বিষয়েই আপনি ভালো না টেনেটুনে পাস করছেন😜😜
__what nonsense 😡😡আমি Harvard university স্টুডেন্ট।
__ what (আবাক হয়ে)
__হুম এভাবে তাকানের কি আছে।
__ডপদিচ্ছেন ব্যাপার না।আগে বলেন কি subject বেশি বুঝেন।(ওয়াসেনাত বিশ্বাস করে নাই অরিএানের কথা।)
অরিএান হতবাক। ব্যাচারার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও ওয়াসেনাতের সমস্যা।যাই হোক অরিএান জবাব দেয়……
__English
__ভালো। আমি তো ইংলিশে কাঁচা।শালার grammar কে যে আবিষ্কার করছে।পাইলে খুন করতাম।😡😡।যাই হোক আপনার আমার company ভালো লাগে তাই না।
__হুম।
__তাহলে আজকে ৫টা বাজে চলে আসবেন।আমার বাচ্চাদেরকে একদিন একটু ইংলিশ শিখাবেন।ok
অরিএান আবার হা করে তাকিয়ে আছে। কি বলবে বুঝতে পাড়ছেনা।
__তোমার বাচ্চা মানে
__আরে ওই দিন আমার জন্মদিনের পার্টিতে ছিল না ওরা।
__ওওও আচ্ছা। আমি আসবো??
__হুম আসবেন।এখন যাই(সামনে গিয়ে আবার এসে)ওওওই আপনার পরিএান বসের মনে দয়া রানী ভর করেছে তাই আমার আব্বুকে ঢাকায় পুস্টিং দিয়েছে।(হাসি হাসি মুখ করে কথাটা বলে চলে যায়)
অরিএান বলে উঠে…..দয়া রানী না।মায়ারানী তুমি ভর করেছ।যানি না আমি কি সত্যি তোমার প্রেমে পড়েছি কি না যদি পড়ে থাকি তবে বেশ করেছি।আমি এত কিছু যানি না বুঝিনা।সুধু যানি তোমাকে চাই। অনেক করে চাই।এই পাথরের বুকে তোমার মত ফুলপরীর খুব প্রয়োজন।
ওয়াসেনাত রেডি হচ্ছে তাকে পড়াতে যেতে হবে।আজ সে হলুদ থ্রিপিস পরেছে সাথে হলুদ হিজাব হাতে কিছু কাঁচের হলুদ চুড়ি।
অরিএান দাড়িয়ে আছে।ভিতরে ডুকতে তার কেমন যেনো অসস্তি হচ্ছে। এ রকম জায়গায় আগে কখনো আশা হয় নাই তাই ভাবছে যাবে কি যাবে না।হঠাৎ কারো মিষ্টি voice ভেসে আশে…………
__আরে এত কি ভাবছেন চলেন ভিতরে।(হাতে কিছু বই আর মাড়কাড় নিয়ে আসতে আসতে)
অরিএান হা করে তাকিয়ে আছে।আজ তার ফেড়িপরীকে হলুদ ফেড়িপরী লাগছে।মেয়েটা প্রতিদিন নতুন রূপে তার চোখে ধরা পড়ে।প্রতিদিন নতুন করে তাকে ঘায়েল করছে।ব্যাপারটা তার মাথায় ডুকছু না।কেনো মেয়েটা নতুন নতুন রূপে আসে এভাবে চলতে থাকলে অরিএান খানের পাগল হতে সময় লাগবে না।চুড়ির রিমিঝিমি আউয়াজে অরিএানের ঘোড় কাটে।ওয়াসেনাত চুড়ি নাচাতে নাচাতে বলে উঠে……………..
__এই আপনি সব সময় এমন ভেটকিমাছের মত ভেটকাই থাকেন কেন😂😂😂😂😂😂(হাসতে হাসতে)
অরিএান জবাবে কিছু বলল না।সে ওয়াসেনাতের প্রতিটি হাসিতে ডুব দিতে চায় যা তার জন্যে জায়েজ না।তবুও সে ডুব দিতে চায়।ওয়াসেনাত হাটছে আর অরিএান তার পিছনে পিছনে।বস্তিটা অনেক বড় দেখে মনে হয় ১০০ + পরিবারের বসবাস।ওয়াসেনাত অরিএানকে অনেকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।অরিএান হাবার মত ওয়াসেনাতকে দেখছে। মেয়েটা কেমন যেনো।মনে হয় কাঁদা মাটি যেভাবে খুশি রূপ দেওয়া যাবে।সে সব শ্রেণির মানুষের সাথে কিভাবে এত ভালো ভাবে মিশতে পারে??এই প্রশ্নটা অরিএানের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ওয়াসেনাত একটা বড় বট গাছের নিচে অরিএানকে নিয়ে যায়। বস্তির পিছনের দিকে এই জায়গাটা। বেশ বড় সড় জায়গা।অনেক বাচ্চা বসে আছে।আর সবার সামনে একটা হোয়াইট বোর্ড রয়েছে।ওয়াসেনাত সবার সাথে অরিএানের পরিচয় করিয়ে দেয় তাদের একদিনের ইংলিশ টিচার হিসাবে।বাচ্চাগুলো আগেও অরিএানকে দেখেছে। তাই তারা অরিএানের সাথে তাদের গল্পের ঝুড়ি নিয়ে বসে।
ওয়াসেনাত বাচ্চাদেরকে পড়াছে।আর অরিএান তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।মেয়েটা এত হাসি কই পায় আল্লাহ যানে। সারাদিন হাসতে পারে আর বকবক করতে পাড়ে সাথে আবার নাকের ডগায় রাগটাও যথেষ্ট পরিমাণে বেশি আছে।তবে রাগলে আরো ভালো লাগে।কিউটের ডিব্বা যাকে বলে আরকি।অরিএান ওয়াসেনাতের কান্ডগুলো দেখে অবাক হয়।কেমন করে সে এত গুলো বাচ্চাকে সামলায়।আর বাচ্চাগুলো তো তাকে সেই লেভেলের ভালোবাসে।এদের মাঝে ভালোবাসার কমতি নেই।অরিএানও বাচ্চাদেরকে পাড়ায়।তার কাছে ব্যাপারটা অসম্ভব ভালো লেগেছে।
অরিএান সাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওয়াসেনাতের বাসায় তাকে পৌছে দিয়ে হোটেলে চলে আসে।অরিএান ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। আর ভাবছে এই কয়েকটা দিন তার জীবনের ব্যাস্ট দিন ছিল।ওয়াসেনাত তার রং বিহিন দুনিয়াতে রং ছড়িয়ে বেড়াচ্ছ। এই রং এ সে সারা জীবন নিজেকে রাঙাতে চায়। সে তার প্রতিটি দিন রাতকে ওয়াসেনাত নামের ফুলে সাজাতে চায়।একে সে কোনো ভাবেই হারাতে চায় না।কোনো কিছুকে তার ক্ষতি করতে দিবে না।কারন এই ফুল সুধু তার। তার বুকেই এ ফুলের বসবাস হবে।কোনো প্রকার কালো ছায়াঁ তার আশেপাশে আসতে দিবে না।অরিএান নিজের জিনিস আগলে রাখতে যানে।কথাটা ভেবেই ঠোঁটে বাঁকা হাসি টানে…………..
ওয়াসেনাত মাঝ রাস্তায় বসে একটা ছাগলের বাচ্চাকে নিজের কোলে আঁকড়ে ধরে আছে চোখ মুখ খিঁচে বসে আছে।আর চিৎকার করে উঠে। তার সামনে এক চলন্ত গাড়ি খুব……………
🍂
🍁চলবে……..
আপনা সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন।যার জন্যে আমি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।সকলকে এতগুলো thankuuu☺☺.আর অপেক্ষা করানোর জন্যে একবালতি sorry। 🥺🥺🥺🥺
ভুলগুলো মহান আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন। 🍁