অফিডিয়ান | পর্ব – ২২

সাফওয়ান নিজের ল্যাবে কাজ করছে। নিজের বললে ভুল হবে, ল্যাব টা ওর দাদুর। এই ল্যাব টা যে কোথায় সেটা বাসার কেউই জানে না। ওর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে মোস্তফা আহমেদ ওকে একটা নোটবুক দিয়েছিলো, সাথে একটা চাবি। তখন যদিও উনি কিছুই বলেননি ল্যাবের ব্যাপারে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরই সাফওয়ান জেনেছে এই ল্যাবের লোকেশনের কথা।

আত্মহত্যা করার আগে ল্যাব টা কে সাফওয়ানের ব্যাবহার উপযোগী করে রেখে গেছেন তিনি। ল্যাবটিতে অসংখ্য প্রাণির দেহাবশেষ কেমিক্যালে চুবানো ছিলো, সেগুলো সব অপসারণ করে রেখেছিলেন মোস্তফা।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই ল্যাব টিতে বর্তমানে সাফওয়ান তার ঘাটি গেড়েছে৷

তবে এটা কেউই জানে না যে সাফওয়ান শুধু উদ্ভিদ নয়, রেপটাইল নিয়েও রিসার্চ করে। আর তার প্রধান উদ্দেশ্য নিজেকে স্বাভাবিক করা। বিগত ছয়/সাত বছর ধরে নিজের ওপর ই রিসার্চ চালিয়েছে ও। এমন কোনো উদ্ভিদ আর রেপটাইল হয়তো নেই যা ও চিনে না! নিজের রিসার্চের কাজে এই সমস্ত কিছু নিজের মস্তিষ্কের ভেতর গেথে নিয়েছে। অনেক মেডিসিন নিজের ওপর অ্যাপ্লাই ও করেছে, কিন্তু ফলাফল হয়েছে উলটো।
স্বাভাবিক হওয়ার থেকে আর ও বেশি অস্বাভাবিক হয়েছে ও, হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়েছে, শরীরে বিষের পরিমান যেন আর ও বেড়েছে।
বর্তমানে সামান্য কারণেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে ও। বাড়ির ভেতর যেতে ইচ্ছা করে না ওর এখন, মাটি, ঘাস, গাছপালার কাছেই যেন শান্তি খুজে পায়। ইদানীং করে বাড়ির খাবার ও খেতে ইচ্ছা করছে না, বাইরের ছোট ছোট প্রানী দের দেখলে পেটে ক্ষিদে অনুভব হচ্ছে। ক্রমে ক্রমে নিজের সত্বা হারিয়ে ফেলছে যেন ও।

কাজের মাঝে হঠাৎই ল্যাবের বুকশেলফ এর পঞ্চম তাকের ওপর রাখা ফোন টা বেজে উঠে। শেলফের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো সাফওয়ান।
ফোনের স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়েই ফোন টা কানে তুলল ও,
— হ্যা বল। এনি প্রবলেম?
নিজের গাম্ভীর্য বজায় রেখে জিজ্ঞেস করলো সাফওয়ান।

শাফিন ইতস্তত করে বলল,
— ভাইয়া, রুমি আপু কাদছে!

কাজ থেমে গেলো সাফওয়ানের৷ পুরো মনোযোগ এখন ওর শাফিনের কথায়।
— কেন? রিমু কাদছে কেন? কিছু হয়েছে? কেউ কিছু বলেছে?
উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলো ও৷

— রাফসান ভাইয়া কল দিয়েছিলো একটু আগে৷ দিয়ে আপুকে অনেক বাজে কথা বলেছে।

— বাজে কথা? কি ধরনের বাজে কথা? রাফসান ওকে বাজে কথা কেন বলেছে, রিজন কি?
শক্ত গলায় বলল সাফওয়ান।

— আপুকে নাকি তুমি কাল এসে দিয়ে গেছিলে, তোমার গায়ে শার্ট ছিলো না, আর আপুর গায়ে বোরখা ছিলো না! মামি সম্ভবত বলেছে ভাইয়া কে, তাই নিয়ে রাফসান ভাইয়া বকাবকি করেছে আপু কে।

— এক্সাক্টলি কি বলেছে সেটা বল। সামান্য কথা নিয়ে কান্না করার মতো মেয়ে রিমু নয়৷

শাফিন ইতস্তত করতে লাগলো, শাফিন এর এমন আচরণে ধমক দিলো সাফওয়ান,
— চুপ করে না থেকে দ্রুত বল কি বলেছে?

— রাফসান ভাইয়া বলেছে, আপু নির্লজ্জ হয়ে গেছে, বাইরের ছেলেদের সামনে বোরখা খুলে বেড়াচ্ছে। আর তুমি শার্ট লেইস ছিলে কেন তাই নিয়ে কথা শুনাইছে, তোমাদের ভেতর বাজে কিছু হইছে এইরকম ইঙ্গিত দিয়েছে। তোমার থেকে একেবারেই দূরে থাকতে বলেছে আপুকে, আর বলেছে এমন বেহায়াপনা করলে জানে মেরে ফেলবে।

শাফিনের কথা শুনে চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো সাফওয়ানের। ডান হাতে ধরা কাচের বিকার টা শরীরের সমস্ত শক্তি দ্বারা মুষ্টিবদ্ধ করে ধরলো, আর কয়েক সেকেন্ড এর ভেতরেই চাপ সইতে না পেরে সেটা হাতের ভেতরেই ভেঙে রইলো। এক টুকরো কাচের কোণা ঢুকে গেলো হাতের তালুতে, কিন্তু সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সাফওয়ানের৷

চোখ দুইটা বন্ধ করে জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে আবার ছাড়লো সাফওয়ান। কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলো, কিন্তু ব্যার্থ হলো।

— রাফসানের ফোন নম্বর আছে তোর কাছে?
দাঁতে দাঁত চেপে জিজ্ঞেস করলো সাফওয়ান।

— থাক ভাইয়া, দরকার নেই কিছু বলার। তুমি রাফসান ভাইয়া কে কিছু বললে ভাইয়া আবার আপুকে বকাবকি করবে, আর‍ যে সন্দেহ টা ভাইয়া করছে সেটা আর ও বেশি পাকাপোক্ত হবে। কিছু বোলো না ভাইয়া তুমি!

একপ্রকার তোতলাতে তোতলাতে বলল শাফিন৷

— জ্ঞান চাইনি তোর কাছে, ফোন নম্বর চাইছি। আছে কি নেই সেটা বল, ইয়্যেস অর নোও।
বজ্রকণ্ঠে বলল সাফওয়ান।

— হ্যা, আছে ভাইয়া, আমি – আমি তোমাকে মেসেজ করে দিচ্ছি।
তড়িঘড়ি করে বলল শাফিন।

সাফওয়ান কোনো কথা না বলেই কল টা কেটে দিলো।
গায়ের ভেতর যেন জ্বালা ধরে যাচ্ছে! একদিকে নিজের অসহায়ত্ব, অন্যদিকে প্রিয় মানুষটির ওপর এতরকমের চাপ, দুইটার একটাও ও আর নিতে পারছে না।
ইচ্ছে করছে সবাই কে, সবকিছু কে একদম শেষ করে দিতে! হাতের কাচ টা ওভাবেই ঢুকে আছে, বের করার কথা ওর মাথাতেই আসছে না।

আধা মিনিটের ভেতরে শাফিনের মেসেজ এলো ওর ফোনে৷ মেসেজ টি দেখে ফোন টা এক পাশে রেখে দিয়ে নিজের হাত থেকে কাচের টুকরো টা এক টান দিয়ে বের করলো সাফওয়ান৷ কিন্তু ওর মুখে ব্যাথা পাওয়ার কোনো অভিব্যক্তি দেখা গেলো না৷ ল্যাবের ওয়াশরুমে গিয়ে বেসিনে হাত টা ধুয়ে নিলো৷ তারপর ক্ষতস্থানে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে নিলো।

নিজের মেজাজ টা ঠান্ডা করার জন্য ল্যাবের উত্তর কোণায় রাখা সোফা টাতে বসলো সাফওয়ান। চোখ দুইটা বন্ধ করে অধরজোড়ার ভেতর দুরত্ব রেখে কয়েকবার জোরে জোরে শ্বাস নিলো।
কিন্তু রাগ কমার বদলে আর ও বেড়ে যাচ্ছে৷ চোয়ালদ্বয় শক্ত হয়ে যাচ্ছে, দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে। রুমাইশার ক্রন্দনরত মুখখানা মনে পড়লেই বুকের ভেতর তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে।

হঠাৎই ধাম করে উঠে দাড়ালো সাফওয়ান৷ হনহনিয়ে হেটে গেলো নিজের ফোন টা যেখানে রাখা সেখানে৷ বাম হাত দিয়ে ফোন টা তুলে লক খুলে মেসেজে ঢুকে ফোন নম্বর টা তে কল করলো ও৷

দু বার রিং হওয়ার পর ই ওপাশ থেকে রাফসান ফোন রিসিভ করলো।
সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো কাকে চাই।

সাফওয়ান তার আঘাত পাওয়া হাত টা মুষ্টিবদ্ধ করে ধরলো, চোয়াল দ্বয় আগের চাইতেও বেশি শক্ত হয়ে গেলো যেন। জ্বলজ্বলে চোখ দুইটা দিয়ে যেন আগুন ঝরছে। গমগমে গলায় ও বলে উঠলো,
— সাফওয়ান বলছি।

দির্ঘ ষোল বছর পর সাফওয়ানের কণ্ঠ শুনলো রাফসান। সাফওয়ানের সেই শিশু কণ্ঠ বদলে এতদিনের ব্যাবধানে এমন গমগমে কণ্ঠে পরিণত হবে তা রাফসান ভাবতেই পারেনি৷ হকচকিয়ে গিয়েছে একদম। কিন্তু রাফসান সেটা বুঝতে দিলো না সাফওয়ান কে৷ নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে বলল,

— ওহ! খবর পৌছে গেছে তাহলে? আমিও এমন টাই আশা করেছিলাম, কিন্তু সেটা যে এত দ্রুত হবে তা আমি ভাবিনি। ওয়েল ডান৷

— রিমু কেমন মেয়ে সেটা তোর অজানা নয়৷ ও যে ইমমরাল কিছু করবে না সেটা আমার থেকে ভালো তোর জানার কথা৷ জানা সত্বেও কেন তুই ওকে এইধরনের কথা বলেছিস?

— ও কেমন সেটা আমিও জানি, তুমিও জানো, আর তুমি সেটারই সুযোগ নিচ্ছো৷ তুমি খুব ভালো করেই জানো তুমি ওর জন্য কত টা ক্ষতিকর। তোমার যে সিচুয়েশন তাতে জীবনে তো কখনো কোনো মেয়ের সান্নিধ্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তোমার, তাই আমার বোনের পেছনে লেগেছো! কিন্তু সেটা আমি হতে দেবো না৷ আর ওর ওপর যদি কারো সবচেয়ে বেশি অধিকার থেকে থাকে সেটা আমি আর আমার পরিবারের৷ ওর কিসে ভালো, কিসে মন্দ সেটা আমরা বুঝবো, আর ফিউচারে বুঝবে ওর স্বামী, যেটা তুমি কখনোই হবে না৷

ঝাঝালো গলায় বলল রাফসান৷

— চ্যালেঞ্জ করছিস তুই আমাকে? ওর জন্য আমি কি করতে পারি আর কি করতে পারি না সেটা তুই খুব ভালো ভাবেই জানিস রাফসান।
আর তুই ওর জন্য কি করতে পারিস সেটাও আমার অজানা নয়। আমি চাইলে পাবো না এমন কিছু নেই। আমি যদি দ্বিতীয় বার শুনি যে তুই রিমু কে কোনো ধরনের বাজে কথা বলেছিস, আমাকে জড়িয়ে, তবে সেটা তোর জন্য মোটেও ভালো হবে না৷ আর সেই ভালো না হওয়ার কোয়ান্টিটি টা কেমন সেটা তুই একটু হলেও জানিস, তাই সাবধানে থাকিস। নইলে ভালো না হওয়ার কোয়ান্টিটি টা পুরোপুরি বুঝিয়ে দেবো। রুমাইশা কে আমি আমারই করবো। ক্ষমতা থাকলে ঠেকিয়ে দেখাস৷

শেষের কথা গুলো দাঁতে দাঁত চেপে হিসহিসিয়ে বলল সাফওয়ান। আর সাথে সাথেই রাফসান কে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন টা কেটে দিলো।

রাফসানের গা ঘামতে লাগলো। ও ভালোভাবেই জানে সাফওয়ান রাগের মাথায় ঠিক কি কি করতে পারে। আর কতদূর যেতে পারে।
ওর মনে আছে সাফওয়ান দের ই বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ডোবাতে ও একটা বাচ্চা কে ডুবিয়ে মেরে ফেলতে বসেছিলো, শুধুমাত্র রুমাইশা কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার কারনে৷ মাথা টা ধরে পানির ভেতর চুবিয়ে রেখেছিলো, ছটফট করছিলো ছেলেটি! রাফসান না ঠেকালে আর কয়েক সেকেন্ড এর ভেতরেই ছেলেটা মারা যেতো৷
রাফসান সেদিন দেখেছিলো সাফওয়ানের চোখের ভেতরকার আগুন। কতই বা বয়স হবে ওর, বারো কি তেরো! তখনই ওর মাথায় এমন খুন চাপা ছিলো।

রাফসান ভেবেছিলো সাফওয়ান হয়তো এতদিনে কিছুটা কন্ট্রোলে এসেছে, কিন্তু ও পুরোপুরি ভুল। ও কন্ট্রোলে আসেনি, উলটো বেপরোয়া হয়ে গেছে৷ রাফসান একা কোনো কিছুই করতে পারবে না, একে অন্য কোনো ভাবে শায়েস্তা করতে হবে। রুমাইশা কে কোনো ভাবেই ওর হতে দেওয়া যাবে না৷
ও যেখানেই যাবে বিষাক্ত মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছুই থাকবে না সেখানে।

ফোন রেখে দিয়ে রাগে ফুসছে সাফওয়ান। ল্যাব এর কাজ রেখে দিলো, আর মন বসাতে পারছে না কাজে৷ এপ্রোন টা খুলে রাখলো বুক শেল্ফের পাশে রাখা ক্লথ হ্যাঙ্গারে, রেখে গটগট করে হেটে বাইরে চলে গেলো৷

বাড়ির পেছনে এসে দেওয়াল বেয়ে উঠে গেলো নিজের চিলে কোঠার রুমে। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে প্যান্টের পকেট থেকে রুমের চাবি টা বের করলো। লক খুলে ভেতরে গিয়ে সুচ টিপে আলো টা দিলো।

ফ্রেস না হয়েই বিছানায় গিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লো ও। পরনের টি শার্ট টা খোলার দরকার ছিলো, কিন্তু ডান হাতের ক্ষতের কারণে সেটা খোলা যাচ্ছে না৷ হাত টাতে তখন কিছু না হলেও এখন প্রচন্ড ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে।

ঘুমানো দরকার ওর অনেক। কিন্তু রাগে গায়ের ভেতর জ্বালা করছে। মাথা টা প্রচন্ড গরম হয়ে আছে, কিছুতেই ঠান্ডা হচ্ছে না।
চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন ওভাবেই দম মেরে শুয়ে রইলো সাফওয়ান৷ কিন্তু এই অবস্থায় ওর ঘুম হবে না।

চোখ মেলে বিছানার পাশে রাখা মিনি টেবিলের ওপর থেকে ফোন টা তুলে সময় দেখে নিলো। সাড়ে দশটা বাজে৷ বেশি দেরি হয়নি।
হুট করেই বিছানায় উঠে বসলো সাফওয়ান৷ স্টাডি টেবিলের ড্রয়ার থেকে গাড়ির চাবি টা নিলো। তার পর বেরিয়ে গেলো রুম থেকে৷

“””

রুমাইশা শুয়ে আছে নিজের বিছানায়। শাফিন নিজের রুমে আছে, কারো চোখেই ঘুম নেই৷ দুজন দুই রুমে বসে মেসেজে কথা বলছে৷

শাফিন স্বান্তনা দিচ্ছে রুমাইশা কে মন খারাপ না করার জন্য৷ কিন্তু রুমাইশার মন ভালো হচ্ছে না৷ রাফসানের বলা কথা গুলাই ওর কানে বাজছে শুধু৷

গতরাতে সাফওয়ান যদি না আসতো তাহলে তো ওর লাশ পেতো সবাই৷ কিন্তু সেটা কাউকে কিভাবে বুঝাবে রুমাইশা! কারণ ওইখানে যে খুন হয়েছে সবাই জানে৷ এখন যদি রুমাইশা বলে যে ও সাফওয়ানের সাথে কেন এসেছে, ওর বোরখা কেন ভেজা ছিলো, সাফওয়ানের গায়ে কেন শার্ট ছিলো না, তাহলে তো সাফওয়ান ফেসে যাবে! ওর অপরাধ তো কেউ চাপিয়ে রাখতে চাইবে না৷ ওকে এমনিতেই কেউ পছন্দ করছে না৷ কেউ যদি বাই এনি চান্স পুলিশকে বলে দেয় তখন কি হবে?

সন্ধায় ও নিউজে শুনছিলো পুলিশ হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে খুনি কে। রাতের আধারে দু দুটো খুন! কিন্তু খুনির কোনো হদিস পাচ্ছে না। কোনো ক্লু পাচ্ছে না, পাবে ও না হয়তো৷ কিন্তু ও যদি কালকের ঘটনা বলে কাউকে তাহলে সবাই বুঝে যাবে এটা কার কাজ৷ কারণ সাফওয়ানের স্বভাব সম্পর্কে সবার ই জানা৷

রুমাইশাকে তার ভাবনার জগৎ থেকে বের করার জন্য ওর ফোনে টুং করে মেসেজ আসলো একটা৷ শাফিন মেসেজ দিয়েছে ভেবে ফোন তুলল রুমাইশা৷

কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে ফোনের স্ক্রিনে শাফিনের নামের জায়গায় সাফওয়ানের নাম উঠলো।
মেসেজের ভেতরে ঢুকে দেখতে পেলো ছোট্ট একটি মেসেজ,
— রিমু, দরজা খোল।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।