অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৫৪

85★

(১২৫)

৮ মাস পর~

❝আপনি এতো বেখেয়াল আরহাম।গতকাল রাতে রিপোর্ট টা হাতের পাশে বক্সে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।এমনিতেই আমি খুলে দেখছিলাম সেটা।কেন লুকোলেন?আমার এতো বড়ো রোগের কথা!জানেন আমার তখন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছিলো!আপনার ওপর রাগ হচ্ছিলো? কেনো বললেন না আমাকে?তাহলে বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে যখন আমি আপনার মন খারাপ নোটিশ করতাম এটাই কারন ছিলো তবে?আমি তো আপনাকে ভীষণ রকম ভালোবাসি।আমি যদি জানতাম আমি আর অল্পদিনের মেহমান জানলে,আমার প্রতিটা মুহুর্ত আমার প্রিয়জনদের সাথে কাটাতাম,আপনার সাথে কাটাতাম,রবের সাক্ষাতের প্রস্তুতি নিতাম।আপনাকে ছেড়ে যাবো হুট করেই!ভাবতেই আমার ভেতরটা অসহ্যকর যন্ত্রণায় ফেটে যাই?

‘হুট করেই আমি যদি চলে যাই আমাকে মিস করবেন?কাঁদবেন না একদম।ছোট্ট দুনিয়ায় আমার মেয়াদ শেষ।অনন্তকালের জীবনে কিন্তু একসাথে থাকবো ইন শা আল্লাহ।তখন বড়আপু আর ছোট আপুর চাইতে আমাকে বেশী সময় দিতে হবে,কারন তারা আপনাকে দীর্ঘসময় পেয়েছে, আমি পাইনি।ছোট বাবুই টার সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো না।তার ছোট ছোট টুকটুকে হাত পা ছুঁয়ে দেখা হলো না,কোলো নেওয়া হলো না।আমার কিছু হলে ভেঙে পড়বেন না।আপুদের সাথে সময় কাটাবেন।তারা দূর্দান্ত ভালোবাসে আপনাকে।আপনার সাথে থেকেছি,তাই জীবনের শেষ সময়টুকু আল্লাহর স্মরণে থাকতে পেরেছি,এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কী হতে পারে।আমার জীবনের সেরা সময়টুকু আপনি দিয়েছেন।আর আপনার পরিবার।আম্মু আব্বুকে বেশী সময় দিবেন।আমার পরিবারেকে সামলাবেন।আমার কলিজার টুকরা ভাইটা যেন না কাঁদে।মাঝে মাঝে দেখে আসবেন।ওকে আপনার মতো বড় একজন আলেম বানাবেন প্লিজ।শুনুন,আমার না কষ্ট হচ্ছে খুব।আপনাকে দেখতে ইচ্ছে করে সবসময়ই কি একটা অবস্থা বলুন তো।আপনাকে ভালোবাসি খুব।আর লিখতে পারছি না।চিঠি টা শুধু আপনার জন্য।চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি পড়বে তো,শাস্তি দিবো।সবসময় যেনো মায়াকাড়া হাসিটা ঠোঁটে থাকে।এটা আমার অনুরোধ।আপনার প্রতিটা মোনাজাতে থাকবো তো আমি?মন বলছে,থকবো।বিদায় নেই তাহলে!তবে আপনার সাথে আরেকটু বাঁচার ইচ্ছে ছিলো!

সবাইকে ভালোবাসি।আল বিদা!
আপনার শ্যামাপাখি❞

আরহামের ছলছল চোখে মুচকি হাসি!আদওয়ার শেষ স্মৃতিটুকু।শতাধিক বার পড়েও প্রতিবার পড়তে গিয়ে আরহামের কলিজা টা কেঁপে উঠে!

গায়ে শাল জড়িয়ে নিচে নেমে আসলেন আরহাম।উঠোনে এসে একফালি রৌদ্দূর খুঁজে চেয়ারে বসে টাওয়ালটা সরিয়ে দিলেন লাল টুকটুকে মুখ থেকে।ছোট্ট উমার আরহামের প্রশস্ত বুকের এক কোণায় পড়ে থাকে।এই ছোট্ট একটা প্রাণ যেনো সকলের চোখের মণি।একটু সময় ঘুমোলেই দাদূমণি অস্থির হয়ে যান কবে ঘুম থেকে উঠবে!কবে আবার কোলে নিয়ে আদূরে আলাপ করবেন।আর বাবুর মা নামাজ, অনিয়ম করে খাওয়া,বাবুর কেয়ারিং বাদে উনার বেশীরভাগ সময়ই যায় ঘুমিয়ে।আরহাম তাঁর অগাধ যত্ন নেন।মা হওয়ার এতবড় একটা জার্নি সেরে উঠতে,সময় তো লাগবেই।কিন্তু তাঁর ক্ষনে ক্ষনে মুড সুয়িং হওয়ার অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে।

আনমনে হেসে আরহাম নির্নিমেষ তাকিয়ে রইলেন উমারের মায়া জড়ানো শুভ্র আদূরে চেহারায়!আরহামের দূ:সময়ে উমার যেনো ছিলো একজোড়া জ্বলন্ত তারকার ন্যায় উজ্জল আলো।আদওয়ার চলে যাওয়ায় ভাঙ্গা হৃদয়ের জোড়া লাগানোর প্রলেপ।তাঁর পৃথিবীতে আসার জার্নিটা কতটা ভয়াবহ ছিলো মন পড়তেই আরহাম আতকে উঠলেন!

ফ্ল্যাশব্যাক_____

কাঙ্খিত দিন~
রাতের ঘন অন্ধকার।বিশেষ কারনে আশেপাশে রোডে ইলেকট্রিসিট নেই।রাতের ঘন অন্ধকার মাড়িয়ে শা শা শব্দ তুলে দূরন্ত বেগে ছুটে চলেছে অ্যাম্বুলেন্স।অ্যাম্বুলেন্সের স্বভাবগত সাইরেনে চারিপাশের পরিবেশ ভারী।

তাহাজ্জুদের উত্তম সময়!জোড়বদ্ধ হাত জোড়ার বাঁধন ভেঙ্গে গন্তব্য আলাদা হয়ে গেলো।তাঁর শেষ দৃষ্টি ছিলো ভয়ের,আতঙ্কের যেটা আরহামকে আরো দূর্বল করে দিলো!অশ্রুর ভিড় ঠেলে দূর্বল হৃদয় নিয়ে আরহাম লুটিয়ে পড়লেন সিজদাতে!

ফযরের পরেরক্ষন~
অপারেশন থিয়েটারে সাদা বাতিগুলো আচমকা নিভে গেলো।আরহাম ছুটে এলেন নীল এপ্রোন পড়া ডক্টরের দিকে।অথচ তাঁর বিমর্ষমুখ দেখে আরহামের অশ্রুমাখা চোখ আরও ভরিয়ে দিলো।তিনি বললেন,

‘আপনি ফুটফুটে একটা বেবিবয়েস এর বাবা হয়েছেন।এক উইক আগে অপারেশন করায় সে প্রিম্যাচিউর।আর আপনার পেশেন্ট এর ব্লাড কম।দ্রুত ব্লাড অ্যারেন্জ করুন,আমরা চেষ্টা করবো।নিউব্রন বেবি এন আই সিওতে নেয়া হবে।’

আরহামের অগোছালো মস্তিষ্ক একেবারেই হ্যাং হয়ে গেল।আব্বু ছুটে গেলেন ব্লাডব্যাংকের দিকে।আরহামের পাশ দিয়েই তোয়ালে জড়ানো ছোট দেহটা বিশেষ গ্লাসে ভরে এনআইসিওর কক্ষে নেওয়া হলো।আরহাম শুধু তাকিয়ে রইলেন তাঁর সদ্য পৃথিবীতে আসা ফুলটার দিকে!উনার রক্ত!উনার অংশের দিকে!

সারাদিন সারারাত ছটফট করলেন, উমায়েরকে দেখার জন্য।ছেলেটাকে দেখার জন্য!তাঁর আদূরে চেহারা একটু স্পর্শ করার জন্য!অথচ মা একখানে,ছেলে এন আই সিইউতে।স্বচ্ছ গ্লাসের ওপাশে হাফসাকে দেখা যায়।অক্সিজেন মাস্ক,দূইহাতে দূটো ক্যানেলা।ব্লাড ঢুকছে শরীরে।মুখটা কেমন ফ্যাকাশে হ’য়ে আছে।আরহামের অস্থিরতা কমে না,মন চাইলো ছুটে গিয়ে তাঁর কপালে আলতো স্পর্শে হাত বুলিয়ে দিতে।ভরসা দিতে,আশ্বাস দিতে।কিন্তু উনাকে অপেক্ষা করতে হলো গোটা দেড় দিন।দেখা যখন হলো,আরহাম কথা বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদে ফেললেন।

কপালে উষ্ণ স্পর্শ রেখে বললেন, ‘আপনার এত কষ্ট হয়েছে উমায়ের।’

‘ও কোথায়?কোথায়? দেখবো।’

‘আছে।তাঁর কেয়ারিং চলছে।ছোট বাবু তো,একটু….

‘কোথায়?কোথায় রেখে এসেছেন?’

‘অস্থির হবেন না।পাশের রুমেই।শান্ত হোন উমায়ের।প্রেসার বাড়াবেন না।’

‘সুস্থ আছে তো?’

‘একদম সুস্থ।’

‘সত্যি বলছেন?’

‘সত্যি।আচ্ছা এই দেখুন,আরহাম ফোন বের করে তাঁর ছবিটা বের করে দেখিয়ে বললেন, ‘দেখুন একদম সুস্থ।কত মায়া লাগছে দেখছেন?’

হাফসা ছলছল চোখে তাকালো।ছোট পরিসরের আরামদায়ক জায়গাটার সফর শেষে সুবহ সাদিক ক্ষণে তাঁর পৃথিবীতে আসা!সকালের ঝলমলে স্নিগ্ধতার মতো সে এক টুকরো আলো, চাঁদ!

আরহাম হাফসার হাত নিজের হাতে নিয়ে অসংখ্য চুমু খেলেন।আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, ‘আমি মনে হয় পৃথিবীর সেরা সুখী উমায়ের।এত টুকটুকে নিয়ামত আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো না।’
হাফসা প্রশান্তির হাসলো।সেই সাথে শুকরিয়ার অশ্রু ঝরে পড়লো দুইজোড়া চোখ থেকে।

*****
হাফসার রিজাইন দেওয়া হলো ষোলো দিন পর।বাবুকে মায়ের কাছে আনা হয়েছে।সবার মায়া যেনো উপচে পড়ছে।আরহাম প্রথমবারের মতো সোনামণিকে কোলে তুলে নিলেন।

উনি নিজে কারো বাবা হয়ে গেছে,আনবিলিভেবল!আরহাম টের পান ভেতরে অন্যরকম একটা অনুভূতির ছোটাছুটি হচ্ছে।ছেলেকে বুকের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। সারাজীবন বুকের ভেতরে আগলে রাখার আকুলতায় ভেতরটা ছটফট করছে।

আরহাম নতুন অতিথির কানে মুখ লাগিয়ে সুমধুর সুরে আজান দিলেন।আনন্দের অশ্রুতে মাখামাখি হলো,অতিথির আদূরে গাল,কপাল।তাঁর আগমনে সবাই উচ্ছাসিত,আনন্দিত,পুলকিত।নতুন করে আরেকটি সুখ যুক্ত হলো তাদের পরিবারে!

বর্তমান_____

নার্স এসেছেন।স্যালাইন রেডি করা হচ্ছে পুষ করার জন্য।হাফসা গাল ফুলিয়ে আরহামের দিকে তাকিয়ে আছে।আরহাম ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গাল ফুলিয়ে কেন?’

‘শুধু শুধু স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন কি আমি বুঝি না।’

‘ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া টা হলে এসবের একটুও প্রয়োজন ছিলো না।’

রাগে মুখ ফিরিয়ে নিলো হাফসা।নার্সের হাতে স্যালাইনের রো দেখে বলল, ‘এগুলো তো আমার শরীরেই যাবে তাই না?গ্লাসে ঢেলে দিন।আমি খেয়ে নিই?’

নার্স,আরহাম দূজনেই হেসে ফেললেন।আরো রাগ বাড়লো হাফসার।নার্স ইনজেকশন হাতে নিয়ে চেক করতে লাগলে, আরহাম পাশে এসে বসলেন।সুঁচ দেখেই ভয়ে চোখমুখ জড়িয়ে নিলো হাফসা।আরহামের হাত খামচি মে’রে ধরে রইলো।কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল, ‘ইনজেকশন নেয়া কত কষ্ট!আর এই কষ্টটুকু আপনি ইচ্ছে করে দিচ্ছেন আমাকে।’

‘ইনজেকশন পুষ যদি এক্সচেঞ্জ করা যেতো,তাহলে আপনার শরীরে একটাও সুঁচ ফু্টতে দিতাম না।’

‘জানি আমি।একটুও মায়া নেই।’

‘নেই।’

‘সত্যি নেই?’

‘সত্যি নেই।’

‘ওকে আমরা চলে যাবো।’

আরহাম মুচকি হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলেন।

একটু পর ফিরে এলেন বেশ তাড়া নিয়েই।জুব্বা পড়ে ঘড়ি খুঁজছিলেন।হাফসা বলল, ‘বাড়ি যাবো।’

‘নিয়ে যাবো তো।’

‘কখন?’

‘যাবো তো উমায়ের।আমি একটু অবসর হয়ে নিই।’

‘কতদিন থেকে সেইম কথা বলছেন।’

‘ঠান্ডা টা একটু কমুক।তারপর যাবেন।’

‘না,বাড়ি যাবো।মনটা ছটফট করছে বাড়ি যাওয়ার জন্য।’

আরহাম উমারের কাছে গিয়ে তাকে আলতো করে চুমু এঁকে দিলেন সারা চোখেমুখে।অতপর হাফসার কপালে ব্যস্তভঙ্গিতে চুমু এঁকে বললেন, ‘স্যলাইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত উঠবেন না।আমি আধঘন্টা পরেই আসছি।’

‘বাড়ি যাবো না?কখন নিয়ে যাবেন।’

‘যাবেন তো।’

‘বুঝেছি আপনি নিয়ে যাবেন না।আমি একা একাই চলে যাবো।’

‘আপনার যা মনে চায় তা করুন।মুড সুয়িং এর রোগ টা এখনো যায়নি।’

আরহাম বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আস্তে আস্তে লাইনের রো টা অফ করে ক্যানেলা খুলে নিলো।রাগে মুখ ফুলিয়ে ব্যগ গুছাতে লাগলো।লোকটা নিয়ে যাবেন না এটা নিশ্চিত।শীতকাল গিয়ে বসন্তকাল ঢুকে পড়েছে এখনও তারিখ করছেন।আজকে আমি একাই চলে যাবো।

******
কলিং বেলে চাপ দিয়ে ছোট ছোট হাতে আরহামের হাত ধরে আছে সায়হান।যেই বাচ্চাটা নীরবতা ভালোবাসে, প্রিয়জন ছাড়া কারো সাথে মেশে না,সেই বাচ্চাটাও জানে এই হাত বিশ্বস্তের,ভরসার।পরিবারের বাইরে তারঁ আরেক ভালোবাসা।দিনশেষের আরেক অপেক্ষা!

গোল গোল চোখে চেয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘তুমি আবার নিতে আসবে তো আমাকে?’

‘অবশ্যই আসবো।’

দরজা খুলে গেলো।মিসেস সেমু সায়হানকে কোলে আগলে নিয়ে আরহামকে ভেতরে আসতে বললেন।আরহাম সালাম বিনিময় শেষে বাবার সাথে হালকা আলাপ সারলেন।আজ আদওয়ার মৃত্যুর পুরো আটমাস।আরহামের মন খারাপ লক্ষ্যনীয় অন্যদিনের তুলনায়।সেটা লক্ষ্য করে বাবা নিভে যাওয়া কন্ঠে দূর্বলস্বরে বললেন, ‘কষ্ট পেয়ো না বাবা।আমার মেয়ের অকাল মৃত্যুতে আমরা সত্যিই শোকাহত।এ শোক ভুলার নয়।যতদিন বেঁচে থাকবো, অসহ্যনীয় এ যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে।’

আরহাম নীরবে শুনে গেলেন।পলক ফেলে চোখের ভেসে আসা জলটা ঠেলেঠুলে ভেতরে ঢুকালেন।কান্নায় ভারী হয়ে আসা গলায় উত্তর দিতে সাহস পেলেন না।ফিরে আসার সময় বললেন,
‘অকাল মৃত্যু বলে কিছু নেই বাবা।সবাই-ই একটা নির্দিষ্ট মেয়াদের মেমো নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি।মেয়াদ ফুরালেই আবারো ফিরে যেতে হবে।কিন্তু আপনারা আগে তাঁর ট্রিটমেন্ট নিলে তাঁর অসুস্থতার যন্ত্রণা টা কম হতো।’

‘আমরা বুঝতে পারি নি।’

আরহাম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেরিয়ে এলেন।স্থায়ী এ যন্ত্রণা, দূনিয়া সফরের শেষদিন পর্যন্ত উনাকে পোড়াবে!

*****
আজ বিকেলে হঠাৎ করেই আরহামের বিপক্ষে তোলা মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।ফোনে ইমেইল দেখে তাচ্ছিল্যের হাসলেন আরহাম!তাদের প্রতিটা পদক্ষেপ আরহামকে পুড়িয়েছে।শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত নীরবে সয়ে নিয়েছিলেন।শুধু সাইনটাই বাকি ছিলো!

আরহাম অপেক্ষা করছিলেন সঠিক সময়ের।অন্তিম সময়ে ঠিকই তারা বুঝতে পারলো,তবে অনেক দেরি হলো।মাইমুনার টেক্সট, ‘আজকে নিতে না আসলে মনে করবো আমার অপরাধ, ভুল আপনার হৃদয়ে আমার পক্ষের ভালোবাসা মুছে দিয়েছে।কিছু ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকলে আপনি আসবেন।আর না আসলে, আমি মনে করবো আপনি আমাকে ভুলে গেছেন।’

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।