লাভার নাকি ভিলেন | সিজন – ২ | পর্ব – ৪

মেঘলাঃ আপনাদের সমস্যা কি আমার পিছন পিছন আসতেছেন কেন কি চাই..???

আমাদের তো অনেক কিছু চাই ফুলটুসি…

মেঘলাঃ ব্যাপারটা মোটেও সুবিধার না ভাগ এখান থেকে….(মনে মনে)

মেঘলা উল্টো ঘুরে দৌড় দিল ছেলেগুলিও ওর পিছনে ছুটছে। মেঘলা ছুটতে ছুটতে গলিতে ঢুকে গেল কিন্তু সে এই রাস্তায় কখনো আসে তার উপর গলির একপাশে লাইট আছে অন্য পাশে নেই।বেশ অপ্রস্তুতকারক অবস্থায় পড়ে গেল সে।

মেঘলা দৌড়ে গিয়ে একটা গাছের আড়ালে লুকালো।ছেলেগুলি ওকে এদিক ওদিক খুঁজছে।

মেঘলাঃ এতো মহা বিপদ হয়ে গেল কি করব এখন?নিজেকে কি করে রক্ষা করব?কার কাছে সাহার্য্য চাইব? না নাবিলের ভাইয়াকে ফোন দিব না ওর জন্যই তো এই ভেজাল হল।
আমি বরং আকাশ কে ফোন দেই। আমি বিপদে পড়েছি জানলে নিশ্চুই আমাকে সাহার্য্য করতে আসবে।

ফোন বাজছে কিন্তু আকাশ ফোন তুলছে না।

কিছুক্ষন পর ফোন তুলল….

আকাশঃ কি হল ফোন দিয়েছিস কেন….??

মেঘলা হাঁপাতে হাঁপাতে ফিসফিস করস বলল নাবিল ভাইয়া আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে….

আকাশঃএমন ফিসফিস করে কথা বললে আমার উঠে ভালভাবে কথা বললে বল না বললে ফোনটা রাখ আর তোলে বের করে দিয়েছে তো ভালোই করেছে…

মেঘলাঃ আমি ফাযলামি করছি না ভাইয়া আমাকে কয়েকটা ছেলে তাড়া করছে।

আকাশঃ রাস্তায় আংগুর ফল থাকলে লোকে খেতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক….

মেঘলাঃ আপনি কি বুঝতে পারছেন না?

আকাশঃ না তো কি বুঝব…

মেঘলাঃছেলেগুলি ভাল না…আর আমি দৌড়াতে দৌড়াতে কোথায় চলে এসেছি সেটাও জানি না কোথায় যেন ঢুকে গেছি।

আকাশঃ সমস্যা কি ওখানেই থাক।আর আমাকে ফোন দিয়েছিস কেন তাড়াতাড়ি বল ঘুমাব তোর সাথে গল্প করার মত সময় আমার নেই।

আকাশের রিয়েকশান দেখে মেঘলার কান্না পাচ্ছে…আকাশ ভাইয়ার কি একটু ও দয়া মায়া নেই আমি এত করে বল্লাম তাও আমাকে বাঁচাতে চাইল না?
মেঘলা রাগে দুঃখে ফোন টা কেটে দিল।

ফোনে জোরে কথা বলায় ছেলেগুলি মেঘলাকে দেখে ফেলল মেঘলা আবার ছুটতে লাগল।

মেঘলাঃ আজ আমার বাঁচার কোন পথ নেই আকাশ আসবে না জানি আর যদি আসতোও আমাকে খোঁজে পেত না। আমি কোন দিক থেকে কোন দিকে এসেছি নিজেই জানি না তাহলে ভাইয়া কি করে জানবে? আর আর রক্ষা পাওয়ার চান্স নেই।

মেঘলা গিয়ে একটা দেয়ালের সাথে স্বজোরে ধাক্কা খেয়ে পরে গেল আর অজ্ঞান হয়ে গেল

যখন মেঘলার জ্ঞান ফিরল তখন সকাল হয়ে গেছে। মেঘলা চারপাশ টা দেখে ডুকরে কেঁদে উঠল…

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।