রৌদ্রজ্জল সকালের শুরুতেই সূর্যের তাপহীন আলোকরশ্মি বড় জোড়া তালগাছ ভেদ করে এসে উঠানের এক কোনায় আর বাড়ির মেইন গেটে পড়েছে।রোজ সূর্যের আলো সবার প্রথমে বাড়ির মেইন গেইট আর ওঠানের এক কোনাতেই পড়ে।দূর্বাঘাসে জমে থাকা শিশির বিন্দু গুলো সূর্য মামা গ্রাস করতে শুরু করেছে।তাপ বাড়ার সাথে সাথেই শিশির বিন্দু গুলো শোষণ করে নিলো সূর্যমামা।উঠানের এক কোনায় লাউ আর কুমড়োর টাল,টালে কুমড়ো লতা গুলো গুলো নুইয়ে পড়েছে।নেট দিয়ে ঘিরে খানিক টা জায়গা তরকারি লাগিয়েছে দুই মামি।লাউ আর কুমড়োর ডগায় ডগায় ফুল ফুটেছে।সকালে ওঠা সূর্যের প্রথম আলো ফুলের উপর পড়ে ভারী মিষ্টি লাগছে দেখতে।কুমড়ো ফুলে ফুলে ভ্রুমর উড়ে বেড়াচ্ছে।বড় কাকি আর বিহান ভাই লাউ কুমড়ার কত গুলো ফুল থেকে ফল হয়েছে সেগুলো গুনছেন আর বিহান ভাই ছবি তুলছেন।সাইডে কিছু বেগুন আর ঝালের গাছ ও লাগানো আছে।বাজারের ফরমালিন যুক্ত সবজি খাবে না বলেই মামাদের বাড়িতে দুই একটা সবজি চাষ করে।যেহেতু শহর অনেক জায়গা নেই উঠানে তাই এক কোনায় যত টুকু সম্ভব তত টুকুই চাষ করেছে।পাশাপাশি বিভোর ভাই অসংখ্য ফুলের চাষ করেছে।নার্সারী থেকে বিভিন্ন জাতের ফুল এনে চাষ করেছেন।
–বড় মামা মানে বিভোর ভাই এর বাবার সিদ্ধান্তে সব কাজ করা হয় এ বাড়িতে।বড় মামা যা সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই সবাই মাথা পেতে নেয়।বিহান ভাই ও তার ব্যাতিক্রম নয়।উনি সবার কথার অবাধ্য হলেও কখনো তার বড় কাকার কথার বিরুদ্ধে যান না।বড় মামার সিদ্ধান্তেই দুই মামার বাড়ি এক ই সাথে একই জায়গা করা,তবে ফ্ল্যাট আলাদা কিন্তু পাশাপাশি।এ জায়গা টা আমার নানা কিনেছিলেন আর বড় মামাকে বলেছিলেন তারা যেনো এ জায়গা ছেড়ে না যায়।বিহান ভাই এর ইচ্ছা ছিলো ঢাকাতেই ফ্ল্যাট নেওয়ার কিন্তু তার বড় কাকার অনুরোধেই এখানে থেকে যাওয়া।
–বিভা আপু আর ছোট মামি ইয়া বড় একটা চাল কুমড়া কেটে নিয়ে বসেছে তারা মোরাব্বা বানাবে বলে।মারুফা খালার গ্রামের বাড়ি থেকে চাল কুমড়া নিয়ে এসছে। বিহান ভাই কে মারুফা খালা চাল কুমড়ার মোরাব্বা খাওয়াবে।আমি আস্তে করে এসে পাটিতে বসে পড়লাম।বিভা আপু একটা কাটা চামচ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো এটা কাচিয়ে দে ভাল ভাবে। একটা চাল কুমড়ার পিচ হাতে নিয়ে কাটা চামচ দিয়ে কাচিয়ে যাচ্ছি।এমন সময় বিভোর ভাই এসে বসলেন আমাদের পাশে।বিভা আপু বিভোর ভাই এর হাতে একটা কাটা চামচ দিয়ে বললো,নে ধর কাজ কর।
–বিভোর ভাই বললেন,এহ আমি কাজ করবো এ কাজ কিভাবে করে আপু।এটা তো মহিলাদের কাজ।
–তুই ছোট বেলায় কি বলতি মনে আছে বিভোর।আমরা নাটক দেখলে বলতি যে আমি কি মহিলা মানুষ যে নাটক দেখবো।কাকু বা আব্বু কেউ খবর দেখলে আবার কাঁদতি যে আমি কি বড় পুরুষ মানুষ যে খবর দেখবো।আমি বাচ্চা মানুষ আমি দেখবো কার্টুন।আবার এখন বলছিস যে এটা মহিলাদের কাজ।ধর চমচ কাজ কর।
বউ বললে ঠিক ই পারতি তাইনা বিভোর।
–বিভোর ভাই কলার ঝাকি দিয়ে বললেন,আপু এইদিক টা একটু খেয়াল করো প্লিজ।বড় বোন আর দুলাভাই থাকলে এইসব দিক খেয়াল রাখতে হয়।তাছাড়া বিয়ে কিন্তু ফরজ আপু।তোমাদের সবার ফরজ আদায় হয়ে গিয়েছে আর আমাকে পাপী বানিয়ে রাখতে চাও।আমি জীবনে কোনো পাপ করিনি।এই একটা ফরজের জন্য আমি কি জান্নাত পাবো নাহ আপু।
–ছোট মামি বললেন,বিভোর মুরব্বি বলে আমাকে পছন্দ হচ্ছে না বাবা।
–কাকিমা তুমি যাও প্লিজ!এখন আমাদের বিশেষ মিটিং হবে।
–আচ্ছা যাচ্ছি তোরা মিটিং কর।
–আমি বললাম,মামি আমি আসবো কোনো হেল্প লাগবে রান্না ঘরে।
–দিয়া কাল রাতে বিহান খায় নি।এখন আর রান্না করবো না।তোর রান্না করতে শখ হয়েছিলো দুপুরে করিস ঠিক আছে মা।এখন চুনো মাছ পিয়াজ দিয়ে চচ্চড়ি করছি। এইটুকু কাজে তোর আসা লাগবে না।
–মামি চলে গেলে কিছুক্ষনের মাঝেই দুলাভাই এসে বসলেন।
–বিভা আপু দুলাভাই কে বললো আচ্ছা তোমার কি কোনো কান্ডজ্ঞান নেই।
–দুলাভাই এক গাল হেসে বললেন,ক্যানো ডারলিং।
–বিভোর ভাই বললেন,দুলাভাই ছোট শালা শালীর মাঝে এত রোমান্টিক আলাপ করিয়েন না।সিঙ্গেল আমি, এত রোমান্টিক অত্যাচার করিয়েন না।
–বিহান আর দিয়া কোন ভাবেই কাছাকাছি যায় না।আজ ওরা একটু কাছাকাছি গিয়েছিলো তুমি কাবাবে হাড্ডি হয়ে ওদের লজ্জা দিয়েছো ক্যানো?কোথায় ওদের একটু কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ করে দিবে তা নয় আরো ডিস্টার্ব করেছো।বিভোর আমাকে বললো,আপু শিঘ্রি দুলাভাই কে ডেকে আনো।
–শালা আর শালা বউ এর মাঝে দুলাভাই যাবে নাতো কি অন্য কেউ যাবে।
–এইদিকে লজ্জা ও পাচ্ছি আবার হাসি ও পাচ্ছে।ওদের কথার দিকে মনোযোগ দিতে গিয়ে কাটা চামচে হাত ফুটো হয়ে গেলো।ডিপ ভাবে খানিক টা ঢুকে গেলো বুড়ি আঙুলে।উহ শব্দে চিৎকার দিতেই আঙুল গড়িয়ে রক্ত বেরিয়ে গেলো।সাথে সাথেই বিভোর ভাই আর দুলাভাই আমার আঙুল চেপে ধরলেন।বিহান ভাই আমার আতকে ওঠার শব্দে দ্রুত এদিকে এগিয়ে এলেন।সবাইকে আমাকে নিয়ে ব্যাস্ত হতে দেখেই উনি ব্যাস্ত হয়ে ছুটে এলেন।উনি এসে আমার হাত ভর্তি রক্ত দেখে ভীষণ ভাবে এক্সসাইটেড হয়ে পড়লেন।উনার চোখ মুখের হাসি যেনো কোথায় বিলীন হয়ে গিয়েছে।বিভোর ভাই এর দুলাভাই এর হাত সরিয়ে দিয়ে উনি আমার আঙুল চেপে ধরে বললেন,এই দিয়া তোর চোখে পানি কেনো?নিশ্চয়ই অনেক লেগেছে, না হলে তুই কাঁদতি না।তোর কি অনেক ব্যাথা লাগছে।অনেক খারাপ লাগছে।কে বলেছে তোকে এসব করতে।উনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে এক ভাবে কথা গুলো বলে চলেছেন।উনার চারপাশে যে এত গুলো মানুষ আছে সে খেয়াল ই নেই উনার মাঝে।উনার চোখে মুখে কষ্টের ছাপ,মনে হয় এখুনি কেঁদে দিবেন।আমি ব্যাথা পেয়েছি অনেক তবে উনার মায়াভরা কথার জন্য আরো বেশী করে কাঁন্না পাচ্ছে।আমি এবার আবেগ কন্ট্রোল করতে না পেরে উনার দিকে তাকিয়ে বেশ জোরেই কেঁদে দিলাম।এই কাঁন্নাটা ছিলো আমার প্রতি উনার কেয়ারের জন্য কাঁন্না।উনার কাছে আহলাদ প্রকাশের কাঁন্না।উনি আমার আঙুলে ফু দিতে দিতে বললেন,কিচ্ছু হবে না দিয়া।বিকাল হতে হতেই ঠিক হয়ে যাবে।অনেক লেগেছে তাইনা?
–বিহান ভাই কে এমন করতে দেখে সবাই ভীষণ অবাক হয়ে বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে রইলো।সবাই মনোযোগ বিহান ভাই এর দিকে।কেননা বিহান ভাই কারো সামনেই নিজের কিছুই প্রকাশ করতে চান না।উনি ব্যাক্তিগত জিনিস ব্যাক্তিগত রাখতেই পছন্দ করেন।তাছাড়া মানুষের মাঝে বউ এর হাত ধরে এমন আকুতি করার ছেলে নন।বিভোর ভাই দুলাভাই কে ইশারা দিয়ে দেখালেন।
–এরই মাঝে বিভা আপু একটা কাপড় এনে বিহান ভাই এর হাতে দিলো।বিহান ভাই আমার হাতে কাপড় টা বেঁধে দিলেন।
–দুলাভাই বললেন,শালাবাবু তোমার বউ এর কতটুক লেগেছে জানিনা কিন্তু এখানে উপস্হিত আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি যে,তোমার বেশী লেগেছে।কে বলে আমার শালাবাবু তার বউ কে শুধু রাগ দেখায় ভালবাসে না।আজ শালাবাবুকে দেখলাম শালাবউ এর জন্য কতটা সিরিয়াস।
–বিহান ভাই বললেন,ওর সত্যি লেগেছে দুলাভাই।দেখছেন না ওর চোখে পানি।
–ও পানি হাত ব্যাথার পানিনা। ও পানি আহলাদের বুঝলে।তাকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলে তবেই এই ব্যাথা কমতো।
–বিভা আপু বললো,আমার ভাই কে দেখে শিখো বুঝলে বুইড়া।তোমার মতো তো আর কেয়ারলেস না।
–এত বড় অপবাদ দিতে পারলে।আজ থেকে শুধু বউ এর দিকেই তাকিয়ে থাকবো।
–সবাই হাসাহাসি করলেও বিহান ভাই এর মুখে হাসি নেই।উনি আমার দিকেই চোখ স্হির করে তাকিয়ে রইলেন।আমার ভেজা পাপড়িও উনার দিকেই তাকিয়ে আছে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর পার হয়েছে,প্রচন্ড গরমে ফ্যানের বাতাস ও যেনো গরম হয়ে গিয়েছে।বিভোর ভাই দের বাসা থেকে আজ দুপুরে আমরা সবাই খেয়েছি তাই রান্নার ঝামেলা নেই দুপুরে।বিহান ভাই দুপুরে খাওয়ার পরে ঘুমোচ্ছেন।বিহান ভাই একভাবে ৩-৪ ঘন্টা কিভাবে ঘুমোচ্ছেন কি জানি।আমি আধাঘন্টা ও ঘুমোতে পারিনা দিনে।মামা আমাকে ডেকে বললেন,দিয়া মা হাতের ব্যাথা কি কমেছে মা।আমি হাত দেখিয়ে বললাম,মামা একটুও ব্যাথা নেই দেখুন।মামা বললেন,সাবধানে কাজ করবা মা।মামি বললেন,আমি এইজন্য দিয়াকে কোনো কাজে দিতে চাই না।এর ই মাঝে মা বাবা ভাইয়া আর রিয়া এলো।হঠাত এ সময়ে ওদের দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গেলাম আমি।আম্মুর হাতে চারবাটির টিফিনবক্স। মামা আর মামি আম্মু আর বাবাকে দেখে ভীষণ খুশি।আমি আম্মুকে বললাম,আম্মু তুমি হঠাত বাবা তুমি।বাবা বললেন,বিহান বললো তোমার হাত অনেক খানি কেটে গিয়েছে মা।আমি হাত দেখিয়ে বললাম দেখো তো একটুও কেটেছে কিনা হাত একটু ফুটো হয়েছিলো চামচে।আম্মু বললো বিহান যে বললো,তুমি অনেক ব্যাথা পেয়েছো?আম্মু কি জানি কি ভেবে বলেছে।টিফিন বক্সে কি আম্মু।আম্মু মামির হাতে দিয়ে বললো ওই একটু রান্না করেছিলান তাই নিয়ে এসছি।মা বাবা, মামা মামি খোস গল্পে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।
আচ্ছা নি কি সবাইকে বলেছেন যে আমার হাত কেটে গিয়েছে।
–রিয়া আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে এসে বললো,দিয়া বিভোর ভাই বাসায় নেই আজ,উনাকে দেখছি না যে আজ।রিয়ার চোখ বিভোর ভাই দের ফ্ল্যাটের দিকে।মনে হচ্ছে রিয়া যেনো কিছু একটা খুজে চলেছে।
–আমি চোখ ঘুরিয়ে বললাম,কি ব্যাপার আমার ভাই কে খোজা হচ্ছে কেনো?কাহিনী কি?
–আহা বল না কোথায়?উনি কি বাসায় নেই।
–বিভোর ভাই যশোর গিয়েছে বিকালে আসবে।
–ওহ আচ্ছা।আমি তাহলে চলে যাচ্ছি।রিয়ার চোখে মুখে কেমন যেনো বেদনার দীর্ঘঃশ্বাস।সেদিন বিভোর ভাই এর দেওয়া চুড়ি গুলো রিয়া দুহাত ভরে পরেছে আজ।
–রিয়ার মুখটা ভীষন কালো হয়ে গেলো।এক মিনিট না দাঁড়িয়ে চলে গেলো।কি হয়েছে রিয়ার আজ।
আম্মু আর মামির সাহায্য নিয়ে সারা বিকাল রান্না করলাম নিজ হাতে।সকালেই বলে রেখেছিলাম আজ আমি রান্না করবো।উনার জন্য প্রথমবার নিজ হাতে রান্না।নিজের মনের কাছে ভীষণ শান্তি লাগছে।কখন উনাকে খাওয়াতে পারবো।আমি জানি উনি ভীষণ খুশি হবে আমার হাতের রান্না পেয়ে।রান্না শেষে আম্মু, বাবা সবাই চলে গেলো।সেই দুপুর থেকে বিহান ভাই বিশাল এক কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যাচ্ছেন।দুপুর একটা থেকে উনি ঘুমিয়েই যাচ্ছেন।দিনের বেলায় এত ঘুমোন কিভাবে উনি।আমার হাত নিয়ে সকাল থেকে বসে থেকে দুলাভাই দের সাথে খেয়ে এসে ঘুমিয়েছেন।বিকাল ৫ টায় বিহান ভাই ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে এসে আমাকে বললেন,কি ব্যাপার দিয়া খবর শুনলাম আমার বউ তার কাটা হাতে আমার জন্য রান্না করেছে।বেশ সন্দিহান হয়ে বললাম,কে বলেছে ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখলেন নাকি।ঘুম ভাঙতেই রান্নার সুঘ্রাণ পেয়েছি নাকে, আর আজকের রান্নার ভীন্ন সুঘ্রাণে বুঝতে পেরেছি এটা বউ এর হাতের রান্না।আমি মুখে লাজুকতা নিয়ে কিছুই না বলে চলে গেলাম।
–সন্ধ্যার খানিকটা পরেই দুলাভাই আর বিভা আপু অনেক রিকুয়েষ্ট করলো তাদের সাথে বাইরে যাওয়ার জন্য।মামা বললেন, যাও মা তোমার দুলাভাই এতবার বলছেন যখন।বিভা আপু আর দুলাভাই এর সাথে হাঁটতে হাঁটতে দানাপানি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাচ্ছি।এমন সময় বিহান ভাই মেসেজ করেছে দিয়া রাস্তায় আয়, দুজনে বালুর মাঠে হাটতে যাবো।এই মুহুর্তে বা কিভাবে যাবো, এভাবে খাবার ছেড়ে উঠে গেলেই বা কেমন দেখাবে।দানা পানি রেস্টুরেন্ট ব্রিজের নিচেই বাসা থেকে মিনিট পাঁচেক এর রাস্তা।বেয়াদব এর মতো কিভাবেই বা যাবো।
–বিহান ভাই কে মেসেজ করলাম এখন তো যেতে পারবো না বিহান ভাই, একটু বিজি আছি।আর প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে সাথে হাতেও ব্যাথা।অনেক রক্ত বেরোচ্ছে।
বিহান ভাই আর কোনো রিপ্লে দিলেন না।
প্রায় ৫ মিনিট পরে হঠাত দেখি বিহান ভাই ওয়েটার কে টাকা দিয়ে বলছেন,সরি ভাই টেবিল টা বুক করেছিলাম বাট আজ আর আসা হলো না।ওয়েটার বললো,ভাই সমস্যা নেই টাকা দেওয়া লাগবে না।বিহান ভাই এক প্রকার জোর করেই টাকা দিয়ে দিলেন।আমি বিহান ভাই কে দেখে মাথা নিচু করে রইলাম।বিহান ভাই টাকা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দুলাভাই ডাক দিয়ে বললেন আরে শালা বাবু।বিহান তাকিয়ে বেশ অবাক হলেন।এই সময়ে দুলাভাইকে ডাকতেই হলো।আমি অপরাধি মুখ করে তাকালাম।বিহান ভাই জাস্ট একবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,দুলাভাই আপনারা খান তাহলে রাস্তায় বন্ধু বাইকে আছে একটা ইমারজেন্সি কাজ পড়েছে।বলেই বেরিয়ে গেলো।
এইভাবে ধরা টা না খেলেও তো পারতাম।কি হবে এখন আমার।