দিন চলে যায়, সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরে। অভির মন থেকে পরীর কথা মুছে যায় না, কলেজে, বাড়িতে সবসময়ে ওর শুধু পরীর কথা মনে পরে। মা জানালেন যে পরী বাসন্তি পুজোর পরে, মানে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে বাড়ি আসবে।
...
অনেক দিন দেখা হয়নি পরীর সাথে, গ্রামের বাড়িতে কোন টেলিফোন নেই যে পরীর সাথে কথা বলবে। মাঝে মাঝে অন্ধকার রাতে যখন পরীর কথা মনে পড়ত তখন ও পরীর দেওয়া সিল্কের রুমাল টা বের করে নাকের সামনে ধরত, চেষ্টা করত পরীর গায়ের গন্ধ শোঁকার।
দু’জনে কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল তাঁর ঠিকানা নেই। অভির চোখ খলে যখন কেউ ওর মাথার পেছনে সজোরে এক চাটি মারে। ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে যে ইন্দ্রানি মাসি ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। পায়ের দিকে কিছু দুরেই মাটিতে পরে আছে সুব্রত।
মা মেয়ের অতিরিক্ত প্রেম আর সহ্য হল না অভির। জামা কাপড় বদলানর জন্য বাথরুমে ঢুকে গেল। বেশ খানিকক্ষণ পরে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে দেখে, পরী মায়ের কোলে মাথা গুঁজে কাঁদছে আর মায়ের চোখেও জল। অভি মাকে জিজ্ঞেস করল যে কি হয়েছে। মা কিছু উত্তর দিলেন না, শুধু বললেন চলে যেতে।
অভি বাস থেকে নামতেই ওর মা ওকে এককোনে ডেকে নিয়ে যায়। মায়ের ডাক শুনে অভির ত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যাবার যোগাড়। বুকের মাঝে এক ঝড় ওঠে, মা কি বুঝতে পেরে গেল নাকি ওর আর পরীর হৃদ্যতা?
....
এই ভাবে এই দুই প্রেমিক যুগল বিয়ের বন্ধনে বেঁধে যায়।
অভি মনে মনে ভাবে, “আমি খালি হাতে এসেছিলাম কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছি। আমার ভালবাসা, আমার পরী।”
সতর্কতা: এই গল্পটির মধ্যে কিছুটা প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যদিও সরাসরি কোনো অশ্লীলতা নেই তবুও নিজ দায়িত্বে গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
কেমন দেখতে হবে সেই শুচিস্মিতা যে ওকে কোলে নিয়ে ছোটো বেলায় অনেক খেলা করেছে, শীতের রাতে ওকে জড়িয়ে ধরে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচিয়েছে। এই সব ভাবতে ভাবতে অভি একসময়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
আজ সানভি আর লুবানার বিয়ে। আশমিন আর নূর লুবানা কে প্রস্তাব দিতেই লুবানা ইতস্তত করতে থাকে। সরাসরি না বলতে পারছিল না সে। কারণ লাবিব এখনো ছোট। তার ভাইকে রেখে সে এখনই বিয়ে করতে চায় না। তবে আশমিন আর নূর তাকে আস্বস্ত করেছে।
সানজিদা বিনতে সফি আজ সানভি আর লুবানার বিয়ে। আশমিন আর নূর লুবানা কে প্রস্তাব দিতেই লুবানা ইতস্তত করতে থাকে। সরাসরি না বলতে পারছিল না সে। কারণ লাবিব এখনো ছোট। তার ভাইকে রেখে সে এখনই বিয়ে করতে চায় না। তবে আশমিন আর নূর তাকে আস্বস্ত করেছে।
নূর কে আজ বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।শারীরিক ভাবে সম্পুর্ন সুস্থ হয়নি নূর৷ আশমিন একজন নার্স কে ও নিয়ে এসেছে সাথে। লুবানা যদিও মানা করেছিল। আশমিন শোনে নি। এখন মায়া বেগম ও নেই।লুবানা অফিস সামলে কোন ভাবেই নূরের খেয়াল রাখতে পারবে না।
রাতের শেষে হসপিটালে পা রাখলো আশমিন। কাপড়ে কাদা মাটি লেগে আছে। রক্তিম চোখ দুটো হালকা ফুলে আছে। হসপিটালে উপস্থিত হতেই সানভি সহ বাকি গার্ডরা ঘিরে ধরলো আশমিন কে। বাহাদুর আর রফিক নিজের জায়গা ছেড়ে দৌড়ে এলো আশমিনের দিকে। আশমিন হাত ইশারার থামিয়ে দিল তাদের।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গোলাম ইশতিয়াক ভিতু চোখে তাকিয়ে আছে আশমিনের দিকে। একটা চেয়ারে হাত পা বেধে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। পড়নে একটা সাদা ট্রাউজার আর সেন্ডো গেঞ্জি। এসির মধ্যেও দরদর করে ঘেমে যাচ্ছে সে। রুমের মধ্য বিশ জন অ*স্রধারি লোক দাঁড়িয়ে আছে।