ক্যাটাগরি সিরিজ গল্প

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ৩০

হ্যাঁ আমি ছেলে আর আমার এটাই লাগবে।আমি এগুলোই ইউজ করবো।আমি টাকা দিয়ে কিনবো ছেলে হয়ে পরতে পারলে আপনার সমস্যা কোথায়?আপনারা টাকা পেলেই হলো।এত প্রশ্ন করেন কেনো?আমি বিহান আমি মেয়েদের লিপিস্টিক,স্যাডো, গেঞ্জি এইগুলা পরি। আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন।আশ্চর্য।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৯

দরজার পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকে ব্যাগ টা ফ্লোরে রাখলেন।চোখে মুখে হাতে পায়ে পানি চিক চিক করছে,গায়ের শার্ট ঘামে ভিজে লেপ্টে আছে পিঠের সাথে।উনি আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললেন,কি ব্যাপার কাজের নেয়ে ছকিনা দেখছি কাজে খুব ই বিজি আছে নিচে যে এত ডাকাডাকি হলো কাজের জন্য যাওয়া হলো না বুঝি।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৮

আসলেই দেয় না আপু।তাকে ভাই ডাকলে সে নাকি কিছুই দিবে নাহ।তাছাড়া বলে দিয়েছে আমি যেনো আদবের সাথে যা লাগে তাই যেনো চেয়ে নেই।আমি কেনো চাইতে যাবো বলোতো।তবে বিভোর ভাই এর কাছে টাকা পাঠায় মাঝে মধ্য না নেওয়ার এক্টিং করি ঠিক ই আসলে আমি টাকা মনে মনে চাই।ভাবি যে এভাবে সেধে তো দিতেই পারে।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৭

উনি আমায় তুমি ডাকলেন কেনো?কেঁপে উঠলো শরীর আমার,বুকের মাঝে দুরুম করে আওয়াজ হলো।উনি এতটা কোমল তার সাথেও কথা বলতে পারেন।উনার তুমি সম্মোধন এ এত নমনীয়তা।এই ভীষণ বৃষ্টি,হুডির হাতা গোটানো,হাতের কফির মগ নিয়ে কেউ জিজ্ঞেস করছে বৃষ্টিবিলাসী তুমি।আমার বৃষ্টিবিলাসী মনে শুরু হলো ভীষণ তুফান।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৬

উনাকে কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে আবার সিদ্ধ করতে দিলাম,রাগে রাগে ৩০ টা ডিম সিদ্ধ করতে দিলাম।সিদ্ধ প্রায় হয়ে এলে উনি এসে দেখেন ৩০ টা ডিম সিদ্ধ করছি।উনি ফোন স্ক্রল করছিলেন সাইডে দাঁড়িয়েই ত্রিশ টা ডিম দেখে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু উচিয়ে বললেন,ডিম কয়টা?
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৫

ফ্লোরে টুল নিয়ে বসে ডিমের খোসা ছড়াচ্ছি উনি গিয়েছেন বাইরে,বিভোর ভাই গান গাইছেন আর খুন্তি চালাচ্ছেন।আমি পড়েছি মহা বিপদে বিভোর ভাই এর সাথে গল্প করতে করতে ডিমের সাদা অংশ সব খোসার সাথে উঠে গিয়েছে শুধু কুসুম অবশিষ্ট আছে।কি হবে এখন আমার।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৪

পরের দিন বিকালে মুখ পেচার মতো করে পায়চারী করে বেড়াচ্ছি।মাথায় খুব শয়তানি বুদ্ধি চেপেছে।বিহান ভাই কে একটু নাজেহাল করতে হবে।হবে মানে হবেই।নিজে নিজে হাজার টা বুদ্ধি বের করছি কোন বুদ্ধিটা প্রয়োগ করলে বেটার হবে সেটাই ভেবে চলেছি।বিহান ভাই কে দেখলাম কালো জিন্স,বাদামী গেঞ্জি লং হাতা, চোখে খয়েরী ফ্রেমের চশমা দিয়ে বেরিয়েছেন।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২৩

--রাগে মনে হচ্ছে এ দুনিয়ার সব কিছু ভেঙে ফেলি আমি।মনে চাচ্ছে ওই বিশ্রি জিলেপির প্যাচের মতো মনের মানুষ কে মেরে আলমারি তে ঢুকিয়ে রাখি,না হলে বাথররুমে বন্ধ করে রাখি।কেনো বর বরের মতো হবে,রাত হলে বউ এর সাথে রোমান্স করবে,তিন বেলা বউকে খাইয়ে দিবে আরো অনেক কিছুই করবে।তা না বর হয়েছে গিগিটির মতো।আচ্ছা উনি কি কখনো সিনেমা,বা রোমান্টিক কিছুই পড়েন নি।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২২

--রিয়া আর মেহু আপু বললো,এটা আমাদের গ্রেট বিহান ভাই এর প্লান।প্লান টা ভীষণ মারাত্মক রকমের সুন্দর ছিলো।আসলেই বিহান ভাই এর তুলনা কারো সাথে করা যায় না।জীবনে অনেক চমৎকার রকমের সারপ্রাইজ দেখেছি কিন্তু বিহান ভাই এর মতো এতটা মারাত্মক সুন্দর কোথাও দেখি নি।আজ যদি শিরির ফরহাদ বেঁচে থাকতো তাহলে সে ও অবাক হয়ে যেতো বিহান ভাই কে দেখে।
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ২১

'তারা উত্তর দিলো আমাদের দায়িত্ব প্রিয়জনদের সারপ্রাইজ দেওয়া।সারপ্রাইজ টা নষ্ট করলে আমাদের বিজনেস লাটে উঠবে।তাই এটা বলা যাবে না আপু।উই আর ভেরি ভেরি সরি।প্লিজ এক্সেপ্ট ইট।' আমি আর বিভা আপু ছয় বার করে এসে গিফট গুলো নিয়ে গেলাম।সব গিফট নেওয়া হলে আমার রুমে দরজা লক করে লাইট অন করে প্রথম বক্স টা খুললাম।