দিশান আর তুর্যর হাসি দেখে রাগে পরীর শরীর রিরি করছে। এইদিকে কুকুরটার ভয়ে কিছু বলতেও পারছে না। আর কুকুরটাও! একদম ফাজিলের হাড্ডি। পরীর ওড়না মুখে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে ওদের ওপর রাগ অন্যদিকে কুকুরটার ভয় সব মিলিয়ে জমে গেছে পরী।…
পরী ভ্রু দুটি কুঁচকিয়ে বলে, “কী হয়েছে? এভাবে সামনে এসে দাঁড়ালেন কেন?” তুর্য পরীকে অবাক করে দিয়ে বলে, “এটা কোনো গান ছিল? আমার তো মনে হলো এতক্ষণ বসে বসে পাখিদের কিচিরমিচির শুনছিলাম।“ পরী তুর্যর দিকে এক আঙুল তুলে বলে, “হেয়…
ক্যারাম বোর্ডের পাশেই চায়ের দোকানে বসে ধোয়া উঠা গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছে প্রান্ত। ডান হাতে চায়ের কাপ, বাম হাতে সিগারেট। একবার সিগারেটে ঠোঁট ছোঁয়াচ্ছে তো আরেকবার চায়ের কাপে। বাবা-মায়ের ছোট ছেলে সে। বড় ভাই রাজনীতিতে জড়িত থাকার সুবাদে প্রান্তরও খুব…
তুর্য ব্যথায় কুঁকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলে, “দুইটা হাতি আমার ওপর পড়ে একদম আরাম করে শুয়ে আছে।“ এরপরই ঝাড়ি দিয়ে বলে, “উঠো তাড়াতাড়ি!” পরী আর দিশান ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়। ওরা দুজনও বেশখানিকটা ব্যথা পেয়েছে। তবে তুর্যর ব্যথার তুলনায়…
“অ্যাই মেয়ে ফুল ছিঁড়লে কেন?” পিছন থেকে কর্কশকণ্ঠের কথা শুনে পরী হকচকিয়ে যায়। আমতা আমতা করে বলে, “ইয়ে আসলে!” “ইয়ে কী হ্যাঁ? চোর যেন কোথাকার! এজন্যই তো বলি প্রতিদিন গাছের ফুলগুলো কোথায় যায়। ফুলচোর যেন কোথাকার!” পরীর মেজাজ এবার চটে…
নাবিল মেঘলাকে কোলে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে সেই ফাঁকে আকাশ গ্যারেজে থেকে গাড়ি বের করে গেইটের সামনে অপেক্ষা করছে। মেঘলার নিথর শরী-রটা কোলে করে নিয়ে আসছে নাবিল… আকাশ অপলক দৃষ্টিতে মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে। নাবিলের পিছু পিছু অন্য সবাই আসছে। কিন্তু…
নাবিলঃ মিথ্যাবাদী, বেইমান, স্বার্থপর লোভি মেয়ে… মেঘলাঃ একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া… আমি সত্যিই মিথ্যাবাদী, বেইমান…আমি কেড়ে নিতে জানি তাই তো দাদির কাছ থেকে সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছি। । কিন্তু সেদিন আমি রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিলাম প্রেম করতে নয়,আকাশের স্বপ্ন কিনতে ।সেদিন…
মেঘলাঃ এত কিছুর পরেও আমি আপনার মত একটা ভিলেন কে বিয়ে করব না। মেয়েরা কারোর হাতের পুতুল নয় যে যখন তখন জোর করে তাদেরকে বিয়ে করা যায়। আমি করব না আপনাকে বিয়ে। কি হবে বিয়ে না করলে? লোকে আমায় নস্টা…
আকাশ হটাৎ করে নার্ভাস হয়ে পরেছে.. আকাশঃ আমি পারব তো নাবিল…??? নাবিলঃ হ্যা তোকে পারতে হবে… আকাশঃ প্ল্যান তো অনেক আগেই করেছিলাম কিন্তু এখন সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। মেঘলার খুব কস্ট হবে। নাবিলঃ হোক কত ভালভাবে বোঝালাম, কিন্তু বোঝলো কি?…
বিয়ের সময় হয়ে গেছে…. বাড়ি ভর্তি মেহমান। আকাশ নিজের রুমে রেডি হচ্ছে, আকাশ মেঘলাকে দায়িত্ব দিয়েছে ইরাকে সাজানোর। মেঘলাও মন দিয়ে সাজাচ্ছে। মেঘলার মুখেও হাসি। সে এসব মেনে নিয়েছে। কিন্তু একজন এই বিয়ে একদমি মেনে নিতে পাড়ছে না সেই একজন…