'হুম ওর জন্মদিন আর তুই বারবার ডিস্টার্ব করছিলি কেনো?আমি অন লাইনে ওর জন্যই কিছু জিনিস অর্ডার করছিলাম।এই দিকে তোর ফোনে ঠিক ভাবে জিনিস পত্র চয়েজ করতে পারছিলাম না।'
'জন্মদিন তো আরো অনেকের ই আছে বিহান ভাই সেটা কি ভুলে গিয়েছেন।'
--ভাল কথায় না গেলে অন্য ভাবে নিতে হবে কথাটা বলেই উনি জোর করে আমাকে পাজা কোলে তুলে বিছানায় এনে ফেললেন।
মানুষের হাত এত শক্ত হয় কিভাবে জানিনা?চেষ্টা করেও উনার হাতের বাঁধন থেকে মুক্তি পেলাম নাহ।আমি অগ্নিচোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।আমার অনিচ্ছায় উনি আমাকে বিছানায় এনে ফেললেন।
আমি জানি দিয়া তোর বিয়েটা হয়তো এভাবে দেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু দিয়া একটা কথা মাথায় রাখিস মা বিয়ের পর স্বামি ই কিন্তু সব।হুট হাট করে এইভাবে চলে আসলে মানুষ কত বাজে কথা বলে দেখেছো তো।বিহানের জীবনের সুখ শান্তি তোমার উপর নির্ভর করছে।
কাউকে কিছুই না বলে আম্মুদের বাসায় চলে এলাম আমি।সারারাস্তা ভেবেছি সামান্য ফোনের কথা শোনার জন্য এতটা রিয়্যাক্ট কেনো করলেন উনি।আমি আর একদিন ও যাবো না ও বাড়িতে।উনি উনার প্রেমিকাকে এতটায় ভালবাসেন তার সম্পর্কে কথা শুনে ফেলেছি বলে এত বাজে ব্যাবহার করলেন।
--বিলিভ মি! আপু।আমি একদম ই সত্য বলছি।ওই যে বিহান দাঁড়িয়ে ওর কাছেই শুনে দেখো।এই বিহান নিচে নেমে আয়, আমার বিরুদ্ধে বললে বিহানের আজ খবর আছে।
এতক্ষণ উপরে দাঁড়িয়ে তাদের এই প্রচুর হাসির ঝগড়া শুনছিলাম আমি আর বিহান ভাই।কিছুক্ষণ আগেই ঘুম থেকে উঠে খেয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়েছি। আর এরই মাঝে নিচে ওদের ঝগড়া শুরু।আমরা দুজনেই নিচে নেমে গেলাম।
কি অদ্ভুত আর অধ্যাতিক কথা উনার।উনি ইচ্ছা করেই বাইক এলোমেলো চালানো শুরু করলেন।উনার এই ইচ্ছাকৃত বাইক এলোমেলো চালানোর বিরুদ্ধে ও কিছু বলতে পারছি না।দ্রুত উনার কোমর জড়িয়ে ধরলাম আমি,উনাকে ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় ও নেই।উনার পেটের কাছের হুডির কাপড় জোরে খামচে ধরলাম।বাধ্য হয়েই উনাকে আষ্টে পিষ্টে কোমর সহ জড়িয়ে ধরে বসতে হলো আমাকে।অবশেষে বাইক তার গন্তব্য পৌছালো।
"আমি হাতের মুষ্টি খুলে উনার সামনে ধরলাম।হাতের মাঝে শিউলি ফুল গুলো সুবাস ছড়াচ্ছে।ফুল গুলো আস্তে করে ফেলে দিতেই উনি আমার হাতের নিচে নিজের হাত ধরে ফুল গুলো নিজের হাতে নিয়ে বললেন এবার বস।ভালভাবে জড়িয়ে ধরে বস।ছোট মানুষ কোথায় পড়ে গিয়ে দাঁত ভাঙবি।"
"পড়ে গেলেও আপনাকে ধরবো না।"
"তোকে ভালবাসি, এক পৃথিবী সমান ভালবাসি। এই পৃথিবীতে বড় একটা নোটিস লাগাবো।যেখানে লিখে রাখবো এই পিচ্চি টা আমার মানে আমার।এই পিচ্চিকেই লাগবে আমার।এই আনম্যাচিউর, কম বোঝা পিচ্চিকেই চাই আমার।পিচ্চির শহরে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ শহরে থাকবে শুধু আমার বসবাস।"
বিয়ের আগে মেহু আপু, তোহা আপু, রিয়া আমাকে বাসর ঘর নিয়ে অনেক কিছু এডভান্স বলে দিয়েছে।আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি বাসর ঘরে ঢুকে আমার সাথে ঘনিষ্ট হতে চাইছেন সেকথা বুঝবো কিভাবে।
মেহু আপু বলেছে,শোন দিয়া রোমাঞ্চ এর আগে ছেলেরা প্রথমে ঘরে প্রবেশ করেই সিটকিনী লাগিয়ে গায়ের কাপড় খুলতে শুরু করে।তার পর ধীরে ধীরে তোর দিকে আগাবে।
"মেনে না নেওয়ার কি আছে?বিহান কি আমাদের ছেলেদের মতো বাবা মায়ের মুখের উপর কথা বলবে।কখনো দেখেছো রাস্তায় মেয়ে নিয়ে ঘুরতে।আমাদের ছেলে পেলে আয়ে পাশ করতে পারে নি একেক টা ঘরে এনে উঠেছে।"