ক্যাটাগরি প্রেম কাহিনী

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৩

আরহাম তাজওয়ার প্রথম বার্তাতেই বললেন, 'আপনি কি আমার মাসনা হবেন?' মাসনার কথা শ্রবণ হতেই হাফসা যেন পাথরে পরিণত হলো।মস্তিষ্ক কিছুক্ষণের জন্য কাজ করা যেনো বন্ধ করে দিলো।কোনোদিন যা কল্পনাও করেনি সেটাও সত্যি হতে পারে?কয়েক মিনিট স্থির থেকে নিজেকে সামলে কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলো,

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ২

কেটে গেলো আরো দূটি বসন্ত।ষোড়শী কিশোরী পা দিলো অষ্টাদশে। মামা সায়িদ আনসারের ছেলে রাদ আনসার দেশে এসেছে।পেশায় সে একজন সাইন্টিস্ট।ভালো এপার্টে জব করছে।মামার ইচ্ছা হাফসাকে উনার ছেলের স্ত্রী বানানোর।উনার জানামতে এখনকার জেনারেশনে হাফসার মতো মেয়ে পাওয়া দূষ্কর।রাদ খুব ছোটোবেলা ওকে দেখেছিলো।মামা হাফসার সাথে তার বিয়ের কথা উঠালে রাদ জানায় তার কোনো আপত্তি নেই।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ১

হাফসা পড়ালেখা করেছে আ্যারাবিক লাইনে।চাচার কাছেই কুরআন হিফয শেষ করেছে অল্প বয়সেই।তবে ফিকহ সহ অ্যারাবিক বইয়ের পাশাপাশি পড়ছে সাইকোলজি নিয়ে।সাইন্সের বিভিন্ন বিষয়ের বইয়েও চরম আগ্রহ ওর।ইসলামিক বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সায়েন্স ফিকশনের বইও সংগ্রহে আছে ওর নিজের লাইব্রেরীতে।
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ১১ | সর্বশেষ পর্ব

আমি একটু পরে বসার ঘরে যাই, বসার ঘরে পা দিতেই আমার পা মেঝেতে আটকে যায়। বসার ঘরের দেয়ালে একটা বিশাল পেন্টিং ঝুলছে, পেন্টিং টা সক্রেটিসের। সেই পেন্টিঙ্গের এক কোনায় সই করা “অভিমন্যু, 1991.” ছোটমা সেই পেন্টিঙ্গের সামনে দাঁড়িয়ে একমনে সেই দিকে তাকিয়ে থাকেন। সবার চোখ আড়াল করে চোখ মুছে নেন ছোটমা। বুঝতে কষ্ট হয়না যে মায়ের মন তাঁর পুত্রের জন্য কেঁদে উঠেছে। আমি চুপচাপ সরে এলাম সেখান থেকে।
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ১০ | সপ্তপদীর বহ্নিশিখা

হিমাদ্রি হেসে বলে, “হ্যাঁ, নিশ্চয়, কেন নয়। আমার কিছু প্রশ্ন আছে, সেগুলোর একটু উত্তর চাই, আর দুজনে পরস্পরকে একটু জেনে নেওয়া ভালো। তাই নয় কি, শুচি? একদিনের দেখায় কি আর মানুষ চেনা যায়।” আমি, “বাড়িতে চলে আসো। ছোটমা বাবু তোমাকে দেখে খুব আনন্দিত হবেন।” হিমাদ্রি, “কেন আমার সাথে একা বের হতে ভয় করছে?” ওর হাসি মজার কোন ভাবাবেগ আমার হৃদয়কে নাড়াতে পারেনা। আমি শান্ত গলায় উত্তর দেই, “না, তবে ছোটমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে।”
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৯ | পরীর আত্মসমর্পণ ২

মৈথিলী আমার ব্যাথিত মুখখানি নিজের দিকে তুলে ধরে। ওর সমবেদনার স্পর্শে আমার চোখের পাতা ভিজে ওঠে। আমার মাথা নিজের বুকের ওপরে চেপে ধরে বলে, “কোথায় আছে ও, বলো। আমি সব ব্যবস্থা করে দেব, তুমি চলে যাও। এখানে যা হবে সব আমি সামলে নেব, আমি তোমাকে এই ভাবে পুড়তে দেখতে পারব না।”
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৮ | পরীর আত্মসমর্পণ

আগস্টে আমি আঠাশ বছরে পা দিলাম। আমি নিজেকে শামুকের খোলে মধ্যে গুটিয়ে নেই, আমার ঘর থেকে খুব বের হতাম। কলেজ শেষ, রান্না ঘর আর আমার ঘর আমার সব কিছু ছিল। বাইরের জগতের সাথে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছোটমা বাবু আমার চেহারা দেখে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। মা চলে যাওয়ার পরে আমি যেন কোন কিছুতে আর খুশি খুঁজে পাইনা। সেই সাদা ঘোড়া আর কোনদিন আমার কাছে ফিরে আসবে না, সেটা আমি ভালো ভাবে বুঝতে পেরে গেছিলাম।
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৭ | ভাঙ্গা ধানের শীষ ৪

বাবু, “কি করা যায় বলত? পরী নিশ্চয় লুকিয়ে লুকিয়ে কারুর সাথে যোগাযোগ রেখেছে।” ছোটমা, “একদম বাজে ব্যাপার তাহলে। কিন্তু ও কি করে যোগাযোগ করতে পারে?” বাবু, “আমার মনে হয় ও করেনি। আমি একদিন ওর ফোনের লগ দেখেছিলাম, তাতে ত কোন অন্তর্জাতিক কল ছিলনা।” ছোটমা, “আমি এইসবের মানে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।” বাবু, “আমিও কিছুই বুঝতে পারছিনা এ সব কি?”
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৬ | ভাঙ্গা ধানের শীষ

চারপাশে অসম্ভব রকমের ভিড়। প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতে যাবে দেবব্রত, ঠিক সেই সময়ে থমকে দাঁড়িয়ে পরে আমার দিকে হাথ বাড়ায়। আমি ক্লাচ থেকে মোবাইল বের করে সুপ্রতিমদাকে ফোন করতে যাই। কিন্তু দেবব্রতর অনুরোধ মাখানো চাহনি দেখে থাকতে পারিনা। দেবব্রত আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে, “আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি, মিতা।”
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৫ | সাদা ঘোড়ার রুপকথা

আমি মজা করে বলি, “তোমাদের বয়স হয়েছে, তোমরা এখন ঘুরতে যাও একা একা।” বাবু বললেন, “তুমি এখন আমাদের একমাত্র সন্তান, তোমাকে একা ছেড়ে কি করে যাই?” বাবুর কি গলা ধরে এসেছিল সেই কথা বলার সময়ে, হয়ত হ্যাঁ, ঠিক বুঝতে পারিনি আমি। বাবু, “তুমি যদি আমাদের সাথে না যেতে চাও তাহলে আমরা কোথাও যাবো না।” ডাইনিং টেবিলের আবহাওয়া কেমন ভারী হয়ে ওঠে ঘুরতে যাওয়ার কথা বার্তা নিয়ে। আমি ওকে ছাড়া পাহাড়ে ঘুরতে যাবার ইচ্ছে নেই, ওদিকে বাবু আর ছোটমা আমাকে ছাড়া ঘুরতে যাবেন না।