কুসুম আর শেফালি মিলে কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করছে। দুজনেই ভয়ে জীর্ণশীর্ণ হয়ে আছে। কথা বলতেও তাদের গলা কাঁপছে। ওরাও জমিদার বাড়ির এই পরিণতি মানতে পারছে না। কখনও ভাবেও নি এসব ব্যাপারে। যেদিন আফতাব জেসমিনের গায়ে হাত তোলে ওইদিনই সব পরিষ্কার হয় ওদের কাছে। আফতাবের মুখোশ উন্মোচন হয় সকলের সামনে। কিন্ত ওদের তো করার কিছু নেই। ওদেরও প্রাণ সং*শয়ে। কখন জানি আবার মৃ*ত্যুর খেলা শুরু হয়ে যায়!
পরী জেসমিনের ঘর থেকে বের হয়ে নিজ ঘরে যাচ্ছিল। পথে কুসুম আর শেফালির কথোপকথনে থেমে যায়। এগিয়ে যায় ওদের কাছে,’কি হয়েছে কুসুম?’
কুসুম চট করেই জবাব দিলো,’কিছুনা আপা।’

-‘আমার থেকে কিছু লুকাবি না। তাহলে তোদেরই বিপদ। এই বাড়িতে একমাত্র আমিই তোদের সুরক্ষা দিতে পারব। বল কি হয়েছে?’
শেফালি বলা শুরু করে,’সবাই সবার আসল রূপ দেখাইছে আপা। ওই নচ্ছার বেটা এহন সুযোগ লইয়া আমার গায়ে হাত দেয়। আমি ডরে কিছু কইতে পারিনা আপা।’

-‘কে নওশাদ?’
-‘হ আপা।’
রাগ হওয়ার পরিবর্তে পরীর মুখে হাসি ফুটল। মাথায় যেন মুহূর্তেই বুদ্ধি খেলে গেল। পরীকে এভাবে হাসতে
দেখে চমকে গেল ওরা দুজনে। কুসুম জিজ্ঞেস করে, ‘কি হইলো আপা আপনের?’

-‘তোরা দুজনেই পারবি আমার উদ্দেশ্য সফল করতে। পারবি তো?’
দুজনের একজনও কিছু বলে না এমনকি কিছু বোঝেও নি পরীর কথা। পরী আবার বলে,’কুসুম শেফালি তোদের যা বলব তোরা তাই করবি। ওই নর*পিশাচদের দুনিয়া থেকে বিদায় করার জন্য তোরা থাকবি না আমার সাথে?’

-‘আপনে সাহসি আপা। ত*লো*য়া*র চালাইতে আপনে পারবেন কিন্ত আমরা তো পারমু না। ওগো সামনে গেলেই ডর করে।’
পরী কুসুমের বাহু ধরে বলে,’মৃ*ত্যু*র ভয় করলে ওরা বারবার মৃ*ত্যু*র ভয় দেখাবে। তোকে দূর্বল করে দেবে। সাহস রাখতে হবে কুসুম। তোকে ত*লো*য়া*র
চালাতে হবে না। শুধু আমার কথামতো কাজ করবি।’

দুজনেই রাজি হলো পরীর কথায়। পরীও খুশি হলো। দৌড়ে চলে গেল নিজ ঘরে। সোনালীর ঘরের চাবি নিয়ে সেদিকে ছুটলো। বহুদিন পর সোনালীর ঘরের তালা খুলল পরী। ঘরের আনাচে কানাচে মাকড়সার জালে ভর্তি হয়ে গেছে। বন্ধ থাকার কারণে ভ্যাপসা গন্ধ বের হচ্ছে। পুরো ঘরে চোখ বুলায় পরী। বিশাল বড় পালঙ্ক ঘরের অর্ধেক দখল করে আছে। আলমারি,টেবিল চেয়ার একপাশে পড়ে আছে। ধুলো
জমে আছে প্রতিটা আসবাবপত্রে। নিজের ঘরটা বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতো সোনালী। ব্যক্তিগত কিছুতেই কাউকে হাত দিতে দিতো না সে। আজ সেই ঘরটার এই অবস্থা। পরী আলমারি খুলে দেখলো বোনের পোশাক গুলোতে ইঁদুরের বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে। ওরা যেন উঠে পড়ে লেগেছে সোনালীর স্মৃতি নিশ্চিহ্ন করতে। পরী বন্ধ করে দিলো আলমারি। তারপর উঁকি দিলো পালঙ্কের নিচে। বড় একটা টিনের বাক্স বের করলো। ঢাকনা খুলতেই বাতাসে তার ভেতরের কাগজগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল। লেখাগুলো সোনালীর নয় রাখালের। তার দেওয়া চিঠিগুলো যত্ন করে রেখেছে সোনালী। কিন্ত চিঠির প্রায় জায়গা কেটে ফেলেছে ইঁদুরগুলো। পরী বাক্স হাতড়ে কাপড় পেচানো একটা বস্তু বেরে করলো। সপ্তবর্ণে কাপড় সরাতেই সেটি মৃদু আলোয় চকচক করে ওঠে। হাতের ত*লো*য়া*র খানা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভাল করে দেখে। বহুদিনের পুরনো ত*লো*য়া*রে থেকে থেকে মরিচা ধরেছে। তাই পরী তাতে শান দিতে নিচে নিয়ে গেল। পাথরে ঘষে ঘষে ত*লো*য়া*রে ধার দিচ্ছে পরী। সেই শব্দে মালা আর রুপালি ঘর থেকে বের হয়ে এলো। এমতাবস্থায় মেয়েকে দেখে মালা এগিয়ে গিয়ে বললেন,’কি করস পরী তুই?’

-‘শত্রু থেকে রক্ষা পেতে হলে অ*স্ত্র প্রয়োজন।’

মালা বসে পড়ল মেয়ের পাশে। আতঙ্কিত হয়ে বলে, ‘আমি বড় মাইয়াডারে হারাইছি। তুই কি চাস তোরেও হারাই আমি?’

পরীর হাত থেমে গেল,চোখ তুলে সে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,’আপনার মেয়ে শহীদ হলে আপনার মাথা সবার সামনে উঁচু হবে আম্মা। এতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই।’
-‘তুই একটু থাম পরী।’

-‘ভয় পাবেন না আম্মা। শয়তানের শাস্তি না দিয়ে আমি মরব না।’

মালা চোখের জল ফেলেন। অন্দরের দরজা খোলার আওয়াজে পরীসহ সবাই সেদিকে তাকায়। আফতাব কে ভেতরে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ায় পরী। পা চালিয়ে উঠোনে এসে বলে,’কোন সাহসে অন্দরে এসেছেন?’
-‘সাহস আছে বলেই এসেছি। আমার বাড়ি আমি যখন খুশি তখন আসবো।’

পরী হাসল বলল,’ভেতরে আসলে প্রাণ নিয়ে ফেরা মুশকিল হবে আপনার পক্ষে। তাই যেভাবে এসেছেন ঠিক সেভাবেই ফিরে যান।’

আফতাব গর্জন করে বলে,’এতো সাহস আসে কোথা থেকে তোর? আমার মুখের উপর কথা বলিস? মালা!!’
কেঁপে উঠলেন মালা। আফতাব এবার তার উপর অত্যাচার করবেন নিশ্চিত হলো মালা। আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগলেন তিনি। আফতাব বলল,’তোমার মেয়ের সাহস বেড়েছে বুঝলাম। ওর কি জানের মায়া নাই? না নিজের মায়ের প্রতি ভালবাসা নাই?’

-‘খবরদার আমার আম্মার গায়ে হাত দিবেন না। এক আম্মাকে ঘরে ফেলে রেখেছেন কিছু বলিনি। এবার চুপ থাকব না। আপনার হাত হাতের জায়গাতে থাকবে না বলে দিলাম। ত*লো*য়া*র চালাতে আমি জানি!!’

-‘চুপ থাক পরী। অনেক হয়েছে,শুধু শায়েরের জন্য তোকে বাঁচিয়ে রেখেছি। তোকে তো তাড়াতাড়ি শেষ করে দেব।’

পরী গলা উচিয়ে বলে,’বের হন অন্দর থেকে নয়তো লা*শ পড়ে যাবে।’
পরীর চিৎকারে শায়ের সেখানে উপস্থিত হয়েছে। তবে পরীকে সে থামালো না। আফতাব শায়ের কে বকতে লাগল। কারণ শায়েরের জন্যই পরী বেঁচে আছে। আর এখন বাঘিনী হয়ে উঠেছে পরী। যখন তখন থাবা মারতে পারে। পরী বলল,’সবাই শুনে রাখো আজকের পর থেকে আমার অনুমতি ব্যতীত অন্দরে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ। কোন পুরুষ আসতে পারবে না। সে যদি আমার স্বামীও হয় তাও না।’

কথাটা বলে আফতাবের দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকালো পরী। সে দৃষ্টি এতোটাই ধারালো ছিল যে আফতাবের সর্বাঙ্গে অদৃশ্য ক্ষতের দেখা দিলো। কিছু না বলে সে অন্দর থেকে প্রস্থান করে। শায়ের কিছু পল পরীকে দেখে চলে গেল। পরীর হুকুমে কুসুম দরজা বন্ধ করে দিলো।
প্রথম পরিকল্পনা সম্পন্ন হলো। পরী এটাই চেয়েছিল।পরীর আসল উদ্দেশ্য শায়ের কে অন্দর থেকে সরানো। অতি চতুর শায়ের পরীর পরিকল্পনা বুঝতে সময় নেবে না। তাই আফতাবের সাথে সাথে শায়েরের আসাও বন্ধ করে দিয়েছে। পরী শেফালিকে ডাকল। শেফালি আসতেই সে বলল,’যা বলেছি মনে আছে তো?’
মাথা নাড়ে শেফালি। পরী আবারও নিজের কাজে মন দেয়। ঘষে ঘষে চকচকে করে ত*লো*য়া*র টা।
যেটা সূর্যের আলোতে চিকচিক করে ওঠে। এটাই পরীর শেষ হাতিয়ার যেটা দিয়ে পরী শত্রুদের দমন করতে পারবে।

সিরাজ আর নওশাদ বসে আছে বৈঠকে। আফতাব রেগে আখিরের সাথে বের হয়ে গেছে। শায়েরের দেখাও নেই। আপাতত ওরা দুজন বসে আছে। নওশাদ বলে উঠল,’অনেক দিনের সফর শেষে আসলে। তা ব্যবসা কতদূর?’

সিরাজ আড়মোড়া ভেঙে বলে,’আরে ভাই কত কিছু দেখলাম কিন্ত সোনালীর মতো কাউকেই পেলাম না।’

দুজনে একসাথেই হাসলো। নওশাদ বলল,’আমি কিন্ত ভাই তোমার নাম পরীকে বলিনি। সব চেপে গেছি। যাতে তোমার উপর পরীর একটু বিশ্বাস থাকে।’

-‘আরে আস্তে বলো। পরীর কানে গেলে সব শেষ। যাই হোক আমার এখানে বেশিক্ষণ থাকা চলবে না। পরীর সন্দেহ হবে।’

ওদের কথার মাঝখানে শেফালির আগমন ঘটলো। সিরাজের জন্য নাস্তা এনেছে সে। শেফালিকে দেখে ওরা চুপ করে যায়। চোখের ইশারায় একে অপরকে সতর্ক করে। শেফালি চলে যেতে গিয়েও থেমে যায়। নওশাদ কে দেখে ঘৃণা হচ্ছে ওর। আজ সকালেই কু প্রস্তাব রাখে নওশাদ। শেফালি পরিমরি করে নওশাদের থেকে পালায়। ভয় করছে শেফালির কিন্ত পরীর কথা মনে আসতেই সাহস পেল সে। হঠাৎই নওশাদের পা ধরে বসে পড়ল শেফালি। কাঁদতে কাঁদতে বলল,’আমারে মারবেন না ভাই!! আমি আপনের সব কথা শুনব। দরকার পড়লে অন্দরের সব খবর দিমু। তাও আমারে মারবেন না। আমার ডর
করে অনেক। মারবেন না আমারে!’

শেফালির কান্না দেখে ভড়কে গেল নওশাদ। বোঝার চেষ্টা করল শেফালির মতলব। নওশাদ পা ঝারা দিয়ে বলে,’পা ছাড় আমার। তোর মতলব আমি বুঝি না ভেবেছিস? আমি জানি এসব পরী তোকে শিখিয়ে পাঠিয়েছে।’

-‘আল্লাহ গো ভাই কন কি?? আমার কি পরী আপার মতো সাহস আছে? জানের মায়া হের না থাকলেও আমার আছে। আমি বাঁচতে চাই ভাই। আপনে বড় কর্তারে কইলেই হেয় হুনব। ভাই আমারে রক্ষা করেন। তার লাইগা আমারে যা কইবেন তাই করমু।’

নওশাদ সন্দেহের দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ শেফালির দিকে তাকিয়ে রইল তার পর বলল,’আচ্ছা তুই এখন যা। যখন বলব তখন আসবি। পরী কি করে না করে সব বলবি এসে!!’

শেফালি দৌড়ে চলে গেল। নওশাদ বিশ্রী গালি দিলো শেফালিকে। সে বিশ্বাস করেনি শেফালির কথা। সে সিরাজ কে উদ্দেশ্য করে বলে,’মা** ঢেমনা আছে। ভেবেছে ওর কথা বিশ্বাস করে বসে আছি। যতসব ফকিরের দল।’

সিরাজ মাথা ঝুকে আস্তে করে বলে,’ওদের থেকেও সাবধান থেকো। কখন কি করে বসে কে জানে? আমি আসি আজ। সময় হলে ঠিকই আসব।’

সিরাজ চলে গেল। নওশাদ রয়ে গেল। এখানে পরী ওকে কিছু করতে আসবে না। বৈঠকে কয়েক জন রক্ষি আছে। পরী এখানে আ*ক্র*ম*ণ করতে পারবে না। তবুও আতঙ্কে থাকে নওশাদ। ভয়ে ঘুমাতে পারে না। কবিরকে সে বারবার স্বপ্নে দেখে। বিভৎস সেই চেহারাটা চোখের সামনে ভাসে ওর। এতদিন কোন ভয় ছিল না ওর। সেদিন পরীর হ*ত্যা*কাণ্ড দেখে ভয়ে আছে সে। তাই সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করে। এমনিতেই সে পঙ্গু। ওকে মা*রতে পরীর এতটুকু শক্তির প্রয়োজন হবে না। তাই সর্বদা রক্ষী দের সাথে রাখে সে।

শেফালি অন্দরে ফিরে গিয়ে সব বলে দিল পরীকে। পরী জানতো নওশাদ এতো সহজে শেফালির কথা বিশ্বাস করবে না। তাই কীভাবে নওশাদ কে সব বিশ্বাস করাবে তাও ভেবে নিয়েছে পরী। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমন সময় রুপালির কন্ঠস্বর ভেসে আসে। সে ডাকছে পরীকে। তাই শেফালির সাথে দ্রুত কথা শেষ করে পরী রুপালির কাছে গেল।
বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে আছে রুপালি। দেখে মনে হচ্ছে বহুক্ষণ অশ্রু বিসর্জন দেওয়ার জন্যই এই অবস্থা হয়েছে মেয়েটার। পরী নিঃশব্দে বোনের পাশে বসে বলল,’কি হয়েছে আপা?’

মুহূর্তেই চোখমুখ শক্ত করে নিল রুপালি। রাগে লাল হয়ে এলো ফর্সা চেহারাখানা। বোনের হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারে না পরী। তবে কিছু জিজ্ঞেস ও করে না। যা বলার রুপালি নিজ থেকেই বলবে। নিজেকে যথাসম্ভব ধাতস্থ করে রুপালি বলে,’অনেক হয়েছে পরী আর না। আমি একজনকে নিজ হাতে খু*ন করতে চাই। তুই দিবি তোর ত*লো*য়া*র টা? আমি তাকে মে*রে আবার তোকে ফিরিয়ে দেব!’

-‘কাকে মা*র*বে আপা? কি হয়েছে তোমার?’

-‘বড় আপার আরেক খু*নি যার নাম তোর অজানা পরী।’
-‘কে সে?’
-‘সিরাজ!! আমাকে ঠকিয়েছে সিরাজ। ভালোবাসার ছলনায় আমাকে ফেলেছে পরী। সেইদিন কাকার সাথে হাত মিলিয়ে সিরাজই আমাকে শশীলের হাতে তুলে দিয়েছিল। সিরাজ বড় আপাকে পছন্দ করতো। তাই আপা মরার পর নওশাদ আর কবিরের সাথে সেও,,,’
কথা শেষ না করে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে রুপালি। ঘৃণায় গা গুলিয়ে আসছে ওর। পরী অবাক হলো। তাহলে নওশাদ ওকে একটা মিথ্যা কথা বলেছে। ওদের সাথে সিরাজ ও ছিলো। সে বোনকে বলে,’কেঁদো না আপা শক্ত হও। আমার ভালো লাগছে তোমার কথা শুনে। সিরাজ কে আমি তোমার হাতে ছেড়ে দিলাম। নিজের ক্ষোভ মেটাও। তবে আমি ঠিক যেভাবে বলব সেভাবেই করবে সব।’

-‘কিন্তু পরী আমার পিকুলের কি হবে? এতটুকু বাচ্চা!
আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে ওকে কে দেখবে?’

-‘সেই চিন্তা তুমি করো না। আমি শীঘ্রই ওর একটা ব্যবস্থা করব। তুমি শুধু তোমার ভেতরে রাগ জন্ম দাও। দেখবে শত্রুদের প্রতিহত করতে পারবে। আর ভয় পাবে না।’

রুপালির ঘর ত্যাগ করে পরী। ওর ভিশন খুশি লাগছে আজ। পরী ভেবেছিল সিরাজের আসল চেহারা সামনে এলে রুপালি নিজেকে সামলে নিতে পারবে না। কিন্ত রুপালি যে এভাবে নিজেকে সামলে নিবে তা পরী কল্পনাও করেনি। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে সফল হওয়া সম্ভব।

পরেরদিন সকাল বেলা। কুসুম ভয়ে ভয়ে পা রাখে বৈঠকে। পিঠা আর শরবত দিয়ে আসে সবাইকে। ওই
খারাপ লোকগুলোর সামনে গেলে মনে হয় এই বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়বে ওদের উপর। তাই সে দৌড়ে পালিয়েছে। শায়ের বাদে সকলেই উপস্থিত সেখানে। নওশাদ যেই না শরবত খেতে যাবে তখনই শেফালি চিৎকার করে বলে,’শরবতে বিষ মেশানো আছে কেউ খাইয়েন না!!’

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।