“প্রিন্সেস ডায়নার একটা উক্তি এতদিন ধরে মনের মাঝে পুষে রেখেছিলাম আমি যাকে ভালবাসি সে আমি বাদে বিশ্বের সবাইকে ভালবাসে।”
মন খারাপ হয়েছে, ভেঙে পড়েছি,কেঁদেছি ওই কঠিন মানুষ টার জন্য।এতদিন যাকে হৃদয়হীন ভেবেছি সেই মানুষ টা ও কাঁদতে জানে এতটা আবেগপ্রবন ভাবে সেটা আগে জানা ছিলো না।দরজা ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি একপলকে তাকিয়ে রইলাম ওই প্রিয় মুখটার দিকে।দিন শেষে একটা জিনিস খুব ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি আমি যাকে ভালবাসা যায় দিন শেষে তাকে ক্ষমা করতে বাধ্য হৃদয়। তার মলিন মুখ দেখলে কোনো রাগ অভিমান৷ পুষে রাখা যায় না।
হঠাত করে মামির খেয়াল হলো,আমি দরজায় দাঁড়িয়ে আছি।মামি আমাকে বললেন,দিয়া এসছিস। মাথা নাড়িয়ে বললাম হ্যাঁ মামি এসছি। বিহান ভাই এর কি হয়েছে।মামি মন খারাপ করে বললেন,আমি আর পারছি না দিয়া।ছেলেকে সামলাতে গিয়ে আমি হাঁপিয়ে উঠছি।মানুষ এইজন্য বলে এক ছেলে ভাল নয়।দেখ না,জিদ ধরলে সেই জিদ আর কমে না।যেটা বলবে সেটাই ধরে রাখবে।এই অসময়ে কিভাবে জ্বর টা বাঁধালো বলতো।আমার অনেক স্বপ্ন দিয়া বিহান কে নিয়ে কিন্তু ও আর লেখাপড়া ই করবে না।ডাক্তারের কাছেও যাবে না, খাবার ও খাবে না।এভাবে থাকলে কি ও বাঁচবে।আল্লাহ কি দুনিয়ার সব জিদ আমার ছেলেটার মাঝেই দিয়েছেন।একবার যেটা না বলবে পৃথিবীর সব বিসর্জন দিলেও সেটা আর হ্যাঁ হবে না।জানিস আমার ছেলেটা রাগি হলেও অতটা খারাপ না।ওকে একটু বুঝে নিতে পারলে অতটাও খারাপ না।শুধু একটু বুঝলেই হয়।আমি বুঝতে পারছিলাম মামি আমাকে ডিরেক্ট লি কিছু বলতে পারছেন না।মামি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন সেটা আমি বুঝেছি ভাল ভাবেই।
মামিকে বললাম,,আমি দেখছি মামি কিন্তু তোমার ছেলে কি আর আমার কথা শুনবে।দুই চার টা থাপ্পড় লাগিয়ে দিবে আমাকে। মামি বললেন কিছুই বলবে না দিয়া আমার ছেলে আমি তো চিনি মনের গতি।
ধীরে ধীরে উনার কাছে গেলাম।মাথার কাছে গিয়ে বসলাম।কপালে হাত রাখতেই আমার হাত শিউরে উঠলো।এতটা তাপ বিহান ভাই এর শরীরে জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে শরীর।এতটা তাপ উনি কিভাবে সহ্য করছেন।মামিকে বললাম,মামি ডাক্তার দেখাতে হবে না এত টা জ্বর।মামি বললেন,তুই বিহান কে চিনিস না ডাক্তারের কাছে কিছুতেই যাবে না।আমি কিভাবে ডাক্তার দেখাবো বল তো।
মামিকে বললাম,তুমি তাহলে ডাক্তার কে বলে ওষুধ নিয়ে এসো আমি জলপট্টী দিতে থাকি।দেখি ওষুধ খাওয়ানো যায় কিনা চেষ্টা করে দেখি।মামি ওষুধ আনতে বেরিয়ে গেলেন।আর বলে গেলেন, দিয়া তেমন অসুবিধা মনে হলে আমাকে ফোন দিস।মাথা নেড়ে বললাম ঠিক আছে মামি।আমি মাথায় পানি দিয়েই যাচ্ছি।পানি দিতে দিতে মাথার পেছন দিয়ে বালিশ সহ উনার শার্ট ভিজে গেলো।
আলনা থেকে টাওয়াল টা এনে উনার মাথা টা আলতো ভাবে মুছিয়ে দিতে লাগলাম।মানুষ টা চোখ বন্ধ করে পড়ে আছে।শার্ট এর বোতাম গুলো খুলছিলাম একটা একটা করে।শার্ট টাও চেঞ্জ করে দিতে হবে।শার্ট খোলার সময় উনার উন্মুক্ত ফর্সা বুকের দিকে তাকিয়ে রইলাম।উনার বুকের বা পাশে যেখানে হৃদয় নামক বস্তু টা আছে সেখানে নিজের হাত রাখলাম আর অনুভব করার চেষ্টা করলাম কতটা কষ্ট জমে আছে ওখানে।
হটাত বিহান ভাই আমার হাত উনার বুকের সাথে চেপে ধরে প্রলাপ বকতে শুরু করলেন,,
“আমার প্রতি কখনো কারও মায়া জন্মায়নি,
শুধু আমার প্রেমে পড়েছিলো।
কেউ কখনো আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসেনি। আমাদের মাঝে শুধুই প্রেম হয়েছিলো।না হলে কেউ কাউকে এতটা ঘৃণা করতে পারে।তাকে হৃদয় নিংড়ে ভালবেসেছিলাম সে কেনো বুঝে নিতে পারলো না আমাকে।সে কি এতটাই পিচ্চি মনের কথা বোঝে না।তার অবহেলা আমার ভেতরে বিন্দু বিন্দু অসুখের জন্ম দিয়েছে।আমার ভেতরে তাকে দেখার অসুখ ক্রমশ বেড়েছে।এই অসুখে আমি উত্তপ্ত হয়ে বিনাশ হয়ে যেতে চায়।তাকে না পাওয়ার অসুখ আমার কখনোই সারবে না।পিচ্চিকে বিরক্ত করার অসুখ আমার ভেতরে বড্ড যন্ত্রণা দিচ্ছে।আমার সারাজীবনের রাগ জিদ পিচ্চির একটা অবহেলায় দুমড়ে মুচরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।এই পিচ্চি ভালবাসিস না আমায় তাইনা।এই পিচ্চি আই নিড ইউ। ”
প্রচন্ড জ্বরে বিহান ভাই এর আবেগপ্রবন কথাগুলো ভীষণ কষ্ট দিচ্ছিলো আমাকে।আমার অজান্তেই আমার চোখের দু’ফোঁটা পানি উনার কপালে গিয়ে পড়লো।উনি চোখ মেলে তাকালেন,তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে পলকহীন ভাবে।জ্বরের তাপ টা কমেছে উনার বেশ খানিক।এতক্ষণে উনার বলা কথা গুলো মনের মাঝে চিন চিন ব্যাথা দিচ্ছিলো আমাকে।উনাকে এমন বাচ্চামো করতে দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না।উনার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিলাম আমি।এই প্রথমবার উনাকে এভাবে চুমু দেওয়া আমার।এটা শুধুই চুমু ছিলো না উনার কষ্ট কমাতে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালাম।বিহান ভাই চোখ বন্ধ করে অনুভব করলেন আমার মুখে না বলেও উনাকে নিরবে বোঝানো ভালবাসা।
আজ সারাদিন ই মেঘলা ছিলো আবহাওয়া।হঠাত হাওয়া দিচ্ছে জানালার পাল্লা গুলো বাড়ি খাচ্ছে পর্দা গুলো উড়ছে।বাইরে গাছপালা নড়ছে বাতাসে।এক নিমিষেই শুরু হলো বাইরে বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জানালার পাল্লা গুলো লাগিয়ে দিতে গিয়ে দেখলাম মেহু আপু আর শুভ ভাইয়া এক ছাতার নিচে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। দুজন কপোত কপোতির মতো এক জোড়া প্রেমিক প্রেমিকা যুগল হেঁটে যাচ্ছে।কারেন্ট ও চলে গেলো।রুমে গুমট অন্ধকার।ফোনের লাইট অন করে দিলাম।বিহান ভাই এতক্ষণে নিজের জ্ঞানে এসেছেন।উনার শার্ট আমি খুলে দিয়েছিলাম খালি গায়ে, জ্বর,আবার বৃষ্টিতে উনার হয়তো ঠান্ডা লাগছে।বিহান ভাই উঠলেন উঠে জানালা খুলে দাঁড়ালেন।উনার পাশে গিয়ে আমিও দাঁড়ালাম।কেউ কোনো কথা বলছি না।দুজনেই কিছু বলবো বাট কি বলবো বুঝতে পারছি না।বিহান ভাই এর মুখ ভীষন মলিন মুখে কোনো কথা নেই হাসি নেই।যেনো পৃথিবীর সব কষ্ট উনার মুখে ভর করেছে।
বুঝতে পারলাম উনার ঠান্ডা লাগছে,আলমারি খুলতেই কত গুলো ছবি পড়লো নিচে।যে ছবি গুলোতে শুধু আমি আর বিহান ভাই ই ছিলাম।ছবি গুলোতে উনার আর আমার দুষ্টুমিষ্টি কিছু মুহুর্ত। প্রতিটা ছবির পেছনে লেখা বউ।ছবি গুলো তুলে আবার যথা জায়গা রেখে দিলাম।একটা চাঁদর নিয়ে বিহান ভাই এর গায়ে জড়িয়ে দিলাম।উনি চাঁদর টা ভাল ভাবে জড়িয়ে নিলেন নিজের সাথে।
বিহান ভাই এর মাথার মাঝে বোধ হয় চক্কর দিয়ে উঠেছে এক্ষুণি পড়ে যাবে যাবে ভাব।আমি উনার হাত ধরে ফেললাম।মানুষ টা ঠিক ভাবে কত দিন খাই নি তার ঠিক নেই।
“শান্ত কন্ঠে বলে উঠলাম,আপনার শরীর অনেক উইক আসুন বিছানায় সুয়ে থাকবেন।আমি আপনার জন্য কিছু খাবার বানিয়ে আনছি।”
“কেনো? দিয়া।আমি তো খারাপ একজন মানুষ। আমার জন্য খাবার বানালে তোর পাপ হবে দিয়া।প্লিজ চলে যা।”
“কেনো নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন?কার জন্য বিহান ভাই।কেনো আপনি খাবার খান না কেনো লেখাপড়া ছেড়ে দিবেন।”
“আমাকে কোনো প্রশ্ন করিস না প্লিজ।আমি কোনো উত্তর দিতে পারবো না।”
“বিহান ভাই প্লিজ সরি।আপনি আর নিজেকে এভাবে কষ্ট দিবেন না প্লিজ।আমি সহ্য করতে পারছি না এভাবে।আমাকে বকুন মারুন যা ইচ্ছা করুন। ”
“কেনো কষ্ট দিবো না।”
“আমার জন্য। ”
বিহান ভাই আমার কথাটা শুনে করূণ দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।বেদনাভরা ক্রান্ত মন নিয়ে বললেন,,
“কেনো তোকে ছাড়া আমার কষ্ট হয় দিয়া।আমার মনে কি আছে দিয়া তোর জন্য।তুই তো মনের ব্যাপার ভালো বুঝিস।আমি তো এগুলা বুঝি না তাহলে আমার মনে কি আছে কেনো তুই বুঝিস না।কেনো তোকে বিরক্ত করার অভাবে আমি শূন্য হয়ে যাচ্ছি।কেনো তোকে আর বকতে পারি না।হুয়াই দিয়া।তোর চলে যাওয়ায় ভেতরের আমিকে হারিয়ে ফেলেছি দিয়া।কেনো আমাকে এই ভয়ানক মায়াতে জড়ালি দিয়া।কেনো এমন করলি কেনোই বা ফিরিয়ে দিলি আমায়।”
“পৃথিবীতে প্রিয়জনের চোখের পানির থেকে ভয়ংকর যন্ত্রণা বোধহয় আর অন্য কিছুতে নেই।বিহান ভাই এর চোখে পানি দেখে ছুটে গিয়ে উনাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,, আপনাকে ভালবাসি আমি বিহান ভাই।নিজের সব ইগো সব মন অভিমান লজ্জা দূরে সরিয়ে উনার কপালে আরেকবার চুমু একে দিলাম।বাইরে বিদ্যুতের ডাক,ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এক প্রেমময় বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা।যে সন্ধ্যায় বিহান ভাই আমাকে আলিঙ্গন করেছিলেন উনার বাহুতে।এই বৃষ্টিময় ঝলমল সন্ধ্যায় বিহান ভাই এর ওষ্ট আমার ওষ্টে আলতো ভাবে নেমেছিল।বিহান ভাই আমাকে উনার বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললেন,আজকের সন্ধ্যা তোমার নামে নেমেছে দিয়া।আজকের বৃষ্টি তোমার আগমনের জন্য ছিলো।তুমি বৃষ্টি বিলাসী বলেই এই বৃষ্টিতে তোমাকে পেলাম।আই লাভ ইউ দিয়া।এই প্রথমবার উনার মাঝে এমন কিছু দেখলাম।”
“কাঁদতে কাঁদতে বললাম কেনো নিজেকে এত কষ্ট দিয়েছেন আপনি?”
“তুমিও যে এতটায় কষ্ট পেয়েছো এতদিন।”
“কেনো বলেন নি ভালবাসেন আমায়।?”
“ভালবাসা কি বলে হয়।এটা হৃদয়তান্ত্রিকব্যাপার।আমি জানতাম তোমার মন আমার মনে আবদ্ধ হবেই।এটা তো হওয়ার ই ছিলো।”
“আপনি কি আজ প্রথম বার এটা বুঝলেন, যে আমাকে ভালবাসেন”
“এর আগেও এক বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যায় আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম।আমি তখন জানতাম বা প্রেম কি।তখন আমি বুঝতাম না কিভাবে হুট করেই একটা মানুষ আরেক টা মানুষের প্রেমে পড়তে পারে।সেটা প্রেম ছিলো কিনা জানিনা।তবে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলাম সেদিন আমি।এমন এক সন্ধ্যায় তুমি একটা কচু পাতা মাথায় দিয়ে ভিজতে ভিজতে আমাদের বাড়িতে এসেছিলে।বৃষ্টিতে নাচছিলে খুব।বৃষ্টি কন্যার রূপে,ভেজা চুলে, চোখে মুখে পানির ফোটায় ভীষণ মুগ্ধ লাগছিলো তোমায়।ভীষণ জোরে বিদ্যুৎ চমকানোর শব্দে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরেছিলে।তোমার ঠাঁই সেদিন আমার বুকে হয়েছিলো।হঠাত অদ্ভুত এক ভাল লাগা কাজ করেছিলো আমার মাঝে।
আমি তো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়েছি তোমার প্রেমে
গেলো বহুদিন বহুবছর বহুযুগ তবু সেই কি ভীষণ মোহমায়া তোমার প্রতি আমার না রইলো থেমে।ঢেউয়ের ন্যায় স্ফিত হয়ে অমাবস্যা পূর্ণিমা তিথি অসংখ্য পেরিয়ে সেই তো তোমার ই টান
হলোনা পাওয়া মুক্তি সে মরণদশা হতে যে সুক্ষ্ম মায়ায় তুমি তোমার প্রতিই আমায় ফেরালে বারবার।”
“দীর্ঘ সময় পরে বললাম,ছাড়ুন এবার মামি এসে দেখে ফেলবে।কি ভাববে বলুন তো ছিঃলজ্জার ব্যাপার।”
“আম্মু এমন প্রাইভেট টাইমে ঢুকবে না।বুঝবে ছেলে তার হবু বউমা কে নিয়ে বিজি আছে।”
“মামি এসে যদি বলে হঠাত জ্বর কমে গেলো কিভাবে কি বলবেন?”
“বলবো দিয়া চুমু দিয়েছিলো।বেষ্ট মেডিসিন ছিলো আম্মু।দিয়াকে বলো আরেকবার চুমু দিতে।”
‘মামি আমাকে এ বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিবে।”
“কেউ কিছু বললে সোজা বিয়ে করে ফেলবো।আম্মু জানে তার ছেলে যেটা বলবে ওইটায় করবে।”
“হয়েছে ছাড়ুন এবার।আপনাকে খাবার খেতে হবে এখন।আমি খাবার আনতে যচ্ছি।”
“খেতে পারি এক শর্তে। ”
“কি শর্ত।”
“এই কচি পুচকি হাতে খাইয়ে দিতে হবে” কিন্তু।
“মিষ্টি হেসে সম্মতি জানালাম।”
আমি রান্নাঘরের দিকে রওনা হতেই বিহান ভাই হাত টেনে ধরে বলেন এক মিনিট দিয়া,
উনার কথায় দাঁড়িয়ে গেলাম আমি।
আলমারি খুলে কি বের করছিলেন জানিনা।কিছু একটা খুজছিলেন।
“হঠাত সারপ্রাইজিং ভাবে আমার সামনে হাটু গেড়ে বসে পড়লেন।আমার হাত টা ধরে হাতে একটা চুমু দিয়ে বলেন,এই রাগী ছেলেটার বউ হবি।অন্যদের মতো সময় রোমান্টিক মুডে থাকতে পারবো না।খুব রাগাবো,খুব জ্বালাবি গ্রহন করবি আমায়।”
হেসে দিয়ে বললাম এই রাগি ছেলেকেই ভাল লাগে আমার।
“বিহান ভাই হাতে সাদা দুইটা চিকন গোল রুপার রিং পরিয়ে দিলেন।তোর না এইগুলা পছন্দ। অনেক দিন আগেই বানিয়েছিলাম দেওয়া হয় নি।এক গুচ্ছ কাঁচের চুড়ি এগিয়ে দিয়ে বলেন চুড়ি খুব ভালবাসিস তাইনা।পায়ে একটা পায়েল পরিয়ে বলেন, পায়েল ও খুব ভালবাসিস তাইনা।”
আমার সব ভাল লাগা গুলো জায়গা করে গিফট দিলেন আমাকে।আমি জাস্ট মুগ্ধ।
“হাসতে হাসতে বললেন আম্মুর বউমা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারীকে আম্মুর ছেলের জীবনে ওয়েলকাম।!এই বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা সাক্ষী থাকলো আমাদের ভালবাসার পিচ্চি”