১৬ বছর বয়স | পর্ব – ৬

পিছাতে পিছাতে দেয়ালে পিট ঠেকে গেল আমার। উনি আমার অনেক কাছাকাছি চলে এসেছেন। আমি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলাম সাথে সাথে উনি বা হাত দেয়ালে রেখে আমাকে আটকে দিলেন।
উনি গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। আমি ভয়ে কাচুমাচু চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে বললাম, “কি… কি চান আপনি! যেতে দিন আমাকে।”
“এখন কিসের ভয়! এত সময় ত খুব মুখ চলছিল?” গম্ভীর গলায় কথাটা বলল শাওন।
আমি মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে চোখ খুললাম।
আমি কাপা কাপা গলায় বললাম, “দে…দেখুন আ..আমি আসলে…”
শাওন কঠর চোখে তাকিয়ে বলল, “আমি ত এখনো তোমার সাথে কিছু করিই নি। কিন্তু এখন করব।”
বলেই আরো কাছে চলে আসলেন। ছিটেফোঁটা যে দূরুত্ব ছিল সেটাও নেই। আমি পারলে দেয়ালেই ঢুকে যাই এমন অবস্থা।
শাওনকে দুইহাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই শাওন আমার দুই হাত দেয়ালের সাথে চেপে ধরল।
– কি করছেন আপনি। দেখুন আমি কিন্তু…..”
আমি জোড়ে বলে উঠলাম।
শাওন কপাল কুচকে বলল, “তুমি কিন্তু…কী?”
তখনি কেউ দরজা খুলে ভিতরে ঢুকল। আমি আর শাওন দুইজনেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম। আমার চোখ বড়সড় হয়ে গেল দরজার কাছে দাঁড়ানো মেয়েটিকে দেখে।
সুমনা আমাদের এই অবস্থায় দেখে অপ্রস্তুত হাসি দিয়ে বলল, অহো, বড্ড ভুল সময় ভুল জায়গায় entry নিয়ে নিয়েছি। সমস্যা নাই তোরা তোদের কাজ চালিয়ে যা। বলেই সুমনা দরজাটা লাগিয়ে দিল।
ভুল বোঝার ই কথা সুমনার। এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।
শাওনের কোনো রিএকশন নেই। অন্য কেউ হলে হাত ছেড়ে সরে দাড়াত। কিন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে আমার দিকে রাগে কটমট করে তাকিয়ে আমার হাত ছেড়ে দিল। আর বলল, “আমি তোমাকে পরে দেখে নিচ্ছি।।”
আমি একটা ঢোক গিললাম। আমার হাত দুইটার দিকে তাকালাম। একদম লাল হয়ে গেছে। সত্যিই রাক্ষস একটা। মুখটা ভেটকি মাছের মত করে রাখলাম।
আসলে দরজাটা আমিই ভুল করে হালকা খোলা রেখেছিলাম। আমি ঢোকার সময় ভালো মত খেয়াল করে আটকাই নি।
শাওন নিজের রুমে থেকে একটা ছাই কালারের টি-শার্ট পরে বের হল। আমার দিকে রেগে তাকিয়ে দরজা খুলতে গেল। সাথে সাথে আমি রুমে চলে গেলাম। দরজা খুলতেই সুমনা বলল, কাজ কমপ্লিট?
বলেই হাসতে লাগল।
শাওন বিরক্তির সাথে অন্য দিকে তাকিয়ে একটা নিঃশ্বাস ফেলে সুমনার দিকে তাকিয়ে বলল, “তুই এখানে কেন এখন?”
সুমনা শাওনকে জ্বালানোর জন্য বলল, “কেন! ডিস্টার্ব করলাম?” বলেই মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।
শাওন সিরিয়াস চোখে তাকিয়ে বলল, “ওইরকম কিছুই না।”
“কবে যে শুনব ওইরকম কিছুই” বলেই হাসতে লাগল সুমনা।
শাওন দরজা থেকে সরে এসে সোফায় বসল। সুমনাও ঢুকল। সোফায় বসতে বসতে মুচকি হেসে বলল, “মিলা কই? আহারে বেচারি মনে হয় লজ্জা পেয়েছে।”
শাওন কিছু না বলে তাকিয়ে রইল গম্ভীর চোখে।
“তুই থাক আমি দেখা করি আসি ওর সাথে। এমনিতেও আমি তোর চেহারা দেখতে আসিনি। আর তুই আমাকে না নিয়ে আগে আগে অফিস থেকে এসে পরলি কেন?”
শাওন কোনো উওর দিল না।
আমি রুমে বসে টেনশনে পায়চারি করছিলাম। উনি নাকি আমাকে পরে দেখে নিবে। আর পারিনা। ডেলি ডেলি এমন হার্ট এট্যাকের চেয়ে একবারে উপরে চলে যাওয়া ভাল।
সুমনা রুমের সামনে এসে হাসিমিশ্রিত কন্ঠে বলল, Hi, আমি সুমনা শাওনের ফ্রেন্ড।
আমি একটু চমকে উঠলাম। তারপর অল্প একটু হেসে বললাম, আমি মিলা।
সুমনা রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
– জানি আমি। তুমি শাওনের বউ।
লাস্ট কথা শুনে মুখের হাসি উড়ে গেল। মনে মনে বললাম, বউ না ছাই। প্রতিত্তোরে শুধু হাসলাম।
শাওন এসে রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল, ডিনার করে যাবি। আমি খাবার অর্ডার করেছি এখনি চলে আসবে।
সুমনা বলল, ওকে।
আমি শাওনের দিকে আড় চোখে তাকালাম। শাওনও তাকালো তারপর বের হয়ে চলে গেল।
– তারপর বলো কেমন যাচ্ছে দিন কাল!
আমি মিথ্যা হাসি দিয়ে সুন্দর মত মিথ্যা বললাম, “অনেক ভাল। হেহে!”
সুমনা হুট করে এসে আমার মুখ ধরে ভাল মত দেখে বলল, “খারাপ না।”
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
|
|
|
৩ জন একসাথে ডিনারে বসলাম। সুমনা আর আমি পাশাপাশি আর শাওন সুমনার সোজাসুজি সামনে।
কেউ ই কোনো কথা বলছি না। বলবই বা কি। সুমনা কয়েকটা কাজের কথা বলল শাওনের সাথে।
আমি আগে খাওয়া শেষ করে কিচেনে চলে গেলাম প্লেট রাখতে। তখন সুমনা মুচকি হেসে শাওনকে বলল, “যাই বলিস মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দর রে।”
শাওন যেন কানেই শোনেনি এমন ভান করল।
খাওয়া শেষে সুমনা চলে গেল। শাওন সুমনাকে নিচ পর্যন্ত দিতে গেল। আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম। মাত্র ৮:৩০ বাজে।
হঠাৎ মনে পরল গোসল করতে হবে। পা ব্যাথা করছে এমনিতেই। বেশি হাটা হয়ে গেছে আজ। আগে গোসল সেরে নিই। আমি চট করে গোসল করতে গেলাম।
শান্তিতে গোসল করে বের হলাম। এখন ফ্রেস লাগছে। মাথার চুল মুছতে মুছতে বের হলাম। রুমে শাওন নেই। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। ভাগ্যিস সুমনা টাইম মত এসেছিলো নাইলে আজ সত্যিই শহীদ হয়ে যেতাম।
ভেবেই মুচকি হেসে দরজার কাছে তাকাতেই দেখলাম শাওন দাড়িয়ে আছে। আমার দিকে কপাল কুচকে রাগী রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।
আমি ঢোক গিললাম। তারপর এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।
এখন আবার কি! মনে মনে বললাম।
“গেট আউট।” শাওন বলল।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম। মনে মনে বললাম, কোথায় গেট আউট হব! এই রাতের বেলাও কি আমাকে বের করে দিবে উনি?
চট করে শাওন আমার কাছে এসে হাত ধরে টানতে টানতে আমাকে ওর রুম থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে দিল।
আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম। যাক বাবা ওনার চেহারা দেখার ইচ্ছে আমারো নাই।
মাথা মুছতে মুছতে সোফায় গিয়ে বসলাম। তোয়ালেটা সোফায় রেখে আমি পুরা বাসা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম।
তিন কোনে তিনটা সোফা আর তার সামনেই একটা বড় টিভি। সোফাগুলোর সোজা পিছনে কিচেন। কিচেনের কোনো দরজা নেই। মর্ডান কিচেন গুলোর মত। আরকি কিচেন থেকেই সব দেখা যায়। টিভির বাপাশে ডাইনিং টেবিল। আর ডান দিকে ওনার জিম করার রুম আর গেস্ট রুম। সোজা তাকালে একটা সবুজ আগাছার পেনটিং। একদম আসল আগাছা মনে হয়।
পেনটিং টার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে গেলাম।
হঠাৎ বা পাশে একটা রুম চোখে পড়ল। এটা কিসের রুম? দেখার জন্য রুমের দরজাটা ঠেলে ঢুকলাম।
হা হয়ে গেলাম। রুমে অনেক গুলো পেনটিং টাঙ্গানো। সেগুলো অনেক সুন্দর। সামনে তাকাতেই একটা কেনভাসও দেখলাম যেটাতে দুইটা সাদা পাখি আকা। পাখি দুইটি একদম আসল মনে হচ্ছে। একটা পাখি অন্য পাখির মাথায় আদর করে দিচ্ছে। আর অন্য পাখিটা চোখ বন্ধ করে আছে। ঘুড়ে ঘুড়ে দেখতে লাগলাম। আসলে সব গুলো পেনটিং ই অনেক সুন্দর। রঙ, তুলি সব রাখা ক্যানভাসের সামনে। মন টা ভালো হয়ে গেল। বিশেষ করে পাখি দুইটার ছবি দেখে। এক পাশে একটা টেবিল আর চেয়ার রাখা। টেবিলে পেনসিল কলম আর রংপেন্সিল ভরা। একটু কোনায় তাকাতেই দেখলাম একটা ছবি ফেলে রাখা। আমি এগিয়ে গেলাম ছবিটার দিকে। কাছে গিয়ে হাটু ভাজ করে বসলাম আর ছবিটা দেখতে লাগলাম। একটা মেয়ের ছবি আকা। মেয়েটা অনেক সুন্দরী। একটা হাটু অব্দি ড্রেস পরা সাথে জিন্সের প্যান্ট। কাধে একটা সাদা ব্যাগ যেটা মেয়েটা একটা হাত দিয়ে ধরে রেখেছে, খোলা চুলগুলো উড়ে এসে কপালে পরেছে। মেয়েটার মুখে সুন্দর হাসি।
কে এই মেয়েটা! এই ছবিগুলোই বা কার আকা! শাওনের? উনি ছবি আকতে পারেন? তাও এত সুন্দর?
যাই হোক আমি উঠে দাড়িয়ে বের হতে যাব এমন সময় ডাস্টবিনে চোখ পড়ল। একটা ছবি ছিড়ে কেউ ফেলে রেখেছে। আরো একটা জিনিস চোখে পরল যেটাতে আমার দৃষ্টি আটকে রইল। এক জোড়া পাখি। একটা নীল একটা হলুদ। তবে আসল না। একদম ছোটো ছোটো দুইটা।
দুইটাকে হাতে নিলাম। নরম তুলতুলে পুতুলের মত।হলুদটার চোখে কাজল দেওয়া। এটাই মনে হয় মেয়ে পাখি। অন্যটা ছেলে। আমার খুবই পছন্দ হলো। কিন্তু এত সুন্দর দুটো জিনিস ডাস্টবিনে? যাইহোক এখন এরা আমার।।
রুম আবার বন্ধ করে আমি বের হলাম। শাওনের রুমে এখনো লাইট জ্বলছে। আমি একটা নিঃশ্বাস ফেলে পাখি দুইটা হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে সোফায় গিয়ে বসলাম।


সকাল সাত টার দিকে চোখ খুললাম। রাতে সোফার হেন্ডেলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
চোখ ডলতে ডলতে উঠলাম। পাশে তাকিয়ে দেখলাম শাওন অফিস যাবার জন্য কালো রঙ এর শার্ট আর টাই পরে রেডি হয়ে এক হাতে খবরের কাগজ ধরে পড়ছে আর ব্রেকফাস্ট করছে। এই ফাকে আমি উঠে রুমে চলে এলাম। আমার হাতে থাকা পাখি দুইটা রুমের ড্রেসিং টেবিলে রেখে ফ্রেস হতে গেলাম।
একটু পরেই আমি ফ্রেস হয়ে বের হলাম। শাওন তখন নিজের ফোন টা নিতে রুমে এলো। আমি ওনার দিকে একবার তাকিয়ে আবার অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম। উনি এসে বিছানা থেকে ওনার ফোন টা নিতে নিতে সামনে তাকাতেই ড্রেসিং টেবিলে চোখ পরল ওনার। আমি আড়চোখে শাওনের দিকে তাকালাম। তারপর ওনার দৃষ্টির প্রতি খেয়াল করে ড্রেসিং টেবিলের দিকে তাকালাম।
হঠাৎ খেয়াল হলো পাখি দুইটা অইখানে রেখেছি। বড়বড় চোখে শাওনের দিকে তাকালাম। উনি ড্রেসিং টেবিলের দিকেই আসছিলেন। আমি ফট করে গিয়ে পাখি দুইটাকে আমার হাতে নিলাম। উনি আমার থেকে একটু দূরে দাঁড়ানো ছিলেন তাই আমি আগে পাখিগুলো হাতে পেলাম। আর একটু হলেই পাখি দুটো যেত আবার ডাস্টবিনে মনে হয়।
শাওনের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম উনি ক্ষেপে গেছে।
– তুমি ওই রুমে ঢুকেছিলে।
আমি থতমত খেয়ে বললাম, ক..কোন রুম?
বলেই আমি ওনার দিকে এমন ভাবে তাকালাম যেন আমি আকাশ থেকে পরেছি।
– তোমার হাতের ওই দুইটা…
আমি সাথে সাথে হাতটা পিছনে লুকিয়ে বললাম
– কই! কি আমার হাতে!
শাওন আমার দিকে দুই পা এগিয়ে আসতেই আমি এক হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে বললাম, থামেন, আপনাকে আর কষ্ট করে আমাকে টেনেটুনে এই রুম থেকে বের করতে হবে না। আমি একাই চলে যাচ্ছি।
বলেই যখন আমি ওনার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে লাগলাম তখন উনি খপ করে আমার বা হাত ধরে টেনে সামনে দাড় করিয়ে বললেন, তোমার হাত দেখাও।
আমি থমকে গেলাম। নিজেকে সামলে নিয়ে না জানার ভান করে বললাম, কেনো?
– তুমি অনেক বেশি কথা বলো।
বলেই আমার ডান হাত ধরতে গেলেন। আমিও সাথে সাথে ডান হাত পিছনে লুকালাম।
উনি রাগে কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু আমি অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ আমার বা হাত এক ঝটকায় ছেড়ে দিলেন। আর রাগীস্বরে বললেন, “ভালোভাবে আর একবার বলব।”
আমিও মনে মনে বললাম হুহ বললেই হলো? তাই আমি বলে উঠলাম, দিব না এই দুইটা আমি। উনি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেন। রেগে এগিয়ে এসে উনি আমার ডান হাত ধরতে যাবার সাথে সাথে আমি পিছিয়ে গেলাম। উনি আমার দিকে আসতে আসতে বললেন, দিতে বললাম আমি তোমাকে। আমি ভ্রুকুচকে বললাম, এতই যখন দরকারী তাহলে ডাস্টবিনে ফেলেছিলেন কেন!
– that’s none of your business.
বলেই আমার কাছে আসলেন আমিও পিছাতে লাগলাম। পিছনে পিছাতেই বিছানায় বেধে পরে গেলাম।
শাওন অনেক বিরক্ত নিয়ে বলল, তারমানে ভালো ভাবে তুমি দেবেই না, তাইনা?
বলেই উনি আমার দিকে ঝুকে আমার ডান হাত ধরলেন। আমি হকচকিয়ে হাত ছাড়ানোর জন্য টান দিতেই উনি আমার উপর এসে পড়লেন। শাওনের বা হাত দিয়ে আমার ডান হাত ধরা আর ডান হাত অন্য পাশে ব্যালেন্স রাখার জন্য রাখা। উনি আমার ডান হাতের দিকে তাকালেন। তাই আমি ওনাকে ধাক্কা দিতেই উনি ব্যালেন্স হারিয়ে পুরোপুরি আমার উপর পরলেন। আর ওনার ঠোঁট এসে ঠেকলো আমার ঘাড়ে। আমি থমকে গেলাম। শাওন নিজেও থমকে গেল। উনি সাথেসাথে মাথা তুলে আমার দিকে তাকালেন। আমিও ওনার চোখের দিকে তাকালাম। শাওন বলে উঠল, Are you stupid? তুমি কি গাধা?
আমিও ভ্রুকুচকে বললাম, “আর আপনি কি? গরিলা একটা।”
– what!
– ত আর কি?
– shut up.
” আপনি shut up. আর আপনি কি এভাবেই থাকবেন! উঠুন আমার কষ্ট হচ্ছে। আপনি অনেক ভারী।” আমি চোখ ছোট ছোট করে অভিযোগের সুরে বললাম।

চলবে…

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।