পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১২

ওয়াসেনাতকে বাসার সামনে নামিয়ে দেয় অরিএান। আসার পথে তেমন কোনো কথা হয় নি দুজনের মাঝে।তবে ওয়াসেনাত একটা দুইটা বলার চেষ্টা করেছে।কিন্তু অরিএানের উওর মেলেনি।আর প্রশ্ন করা ওয়াসেনাতের তেমন পছন্দ না।তার উপড় যদি কেউ জবাব না দেয় তাকে ওয়াসেনাত দ্বিতীয় বার একি প্রশ্ন খুব কম করে।যেমন অরিএানের নাম সে দ্বিতীয় বার জিগ্যেস করেনি।তার মতে কেউ বলতে না চাইলে জিগ্যেস করার কিছু নেই।তাই সে চুপ থাকতেই পছন্দ করে।এবারও তাই চুপ থাকতে হয়েছে।ওয়াসেনাত বাসায় এসে তেমন কথা না বলে ফ্রেশ হয়ে নেয়।আজ তাকে শপিং মলে যেতে হবে তাই বাচ্চাদের পড়াবেনা।

ওয়াসেনাত রিমিকে কল করেছে।কল ধরতেই রিমির চেঁচামেচি শুনতে পায় ওয়াসেনাত।
__এই তোর সমস্যা কি। তোকে কত বার কল করেছি কোথায় মরতে গেছিস। শালি তোরে কল করতে করতে আমি ভেবেছি বুড়া হয়ে যাবো।
__ওই তুই বুড়া না বুড়ি হবি।আর ভাই বাদদেনা।এখন কাজ আছে। শপিং মলে চল।
__না যাবো না।আমি যখন যাওয়ার জন্যে কল করেছিলাম তখন কোথায় মরতে গিয়েছিলি।
__দেখা হলে বলি😁😁
__কি বলবি🙄
__কি আর কোথায় মরতে গেছি সেটাই বলবো।
__তরে সামনে পাইলে খুন করমু
__তুই জেলে যাবি আমার বাপের কি🙄🙄
__তুই😡😡😡
__ভাই তুই তাড়াতাড়ি আয়।আমি বের হচ্ছি( বলেই কল কেটে দিলো)

ওয়াসেনাত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রেডি হয়ে শপিং মলের উদ্যেশে যাএ শুরু করে।

ওয়াসেনাত আর রিমি গালে হাত দিয়ে রেস্টুরেন্টের টেবিলে বসে আছে।দুজনের চেহারাটা দেখার মত।কিছুক্ষণ আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা তাদের দুজনকেই হতবাক করেছে।দুজইনি ভাবনায় ভিভৌর।

কিছুক্ষণ আগের ঘটনা………………

ওয়াসেনাত আর রিমি মোটামুটি সব কেনাকাটা শেষ করেছে।আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলো দোকানে দাড়িয়ে কিনছে।হঠাৎ একটি ছেলে এসে ওয়াসেনাতের সামনে হাটুগেড়ে বসে পড়ে।অবাক করার ব্যাপার রিমির সামনেও একটা ছেলে বসে আছে।আরো অবাক করার বিষয় ছেলে দুটিই যমজ। মানে তাদের দেখতে হুবহু এক।ওয়াসেনাত একবার রিমির দিকে তো একবার ছেলেগুলোর দিকে তাকাছে।রিমিরও সেম অবস্থা। দুজনি আহাম্মক আর ভেবলাকান্তের মতো তাকিয়ে আছে।তারা চরম ভাবে অবাক এটা ভেবে হচ্ছেটা কি তাদের সাথে।অবাক চোখে ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে তারা দুজনেই।ছেলেগুলো তাদের অবাক হওয়াকে পাত্তা না দিয়ে বলে উঠে………..
__হ্যায় আমি তারেক।
__তো আমি কি করবো।(ওয়াসেনাত)
__তোমাকে কিছু করতে হবে না।আসলে প্রথম দেখায় তোমাকে আমার ভালো লেগেছে।
__এবারো আমি কি করতাম(ওয়াসেনাত)
__আরে তোমাকে কিছু করতে হবে না।শুধু রাজি আছ কিনা বলো
__কিসের জন্যে (ওয়াসেনাত)
__ভালোবাসার জন্যে

ওয়াসেনাত হা করে আছে । আসলে ব্যাপারটা তার মাথায় ডুকছে না।সে তো মনে মনে ভেবেই নিয়েছে ছেলেগুলো পাগল মনে হয়।আহারে এত সুন্দর ছেলেগুলো পাগল ভাবা যায়।অবাক করা ব্যাপার রিমিকেও ওর সামনের ছেলেটা সেম কথা বলেছে।সুধু নামটা চেন্জ তামিম।ওয়াসেনাত আর রিমি এখনো হা কোরে তাকিয়ে আছে।এবার ছেলেগুলোর বলে উঠে……….
__নিরবতা সম্মতির লক্ষন।(মুচকি হেসে)
__হুমমম সম্মতির লক্ষণ তো বটেই তবে মাইরের।(বলেই ওয়াসেনাত আর রিমি তাদের হাতের ব্যগ দিয়ে ছেলেগুলোকে উড়াধুনা পিটানি শুরু করে।এমন কিছু হবে এটা ছেলেগুলো ভাবে নি।তাই তারা হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে প্রথমে কিছু মাইর খায়।তারপর চেচিয়ে বলে উঠে……………..
__sorry sorry apurrrrra আসলে গার্লফ্রেন্ডরা ড্যায়ার দিয়ে ছিল।তাই না পাড়তে এমনটা করে ছিলাম। sorry আর মারবেন না।প্রচুর ব্যাথা পাচ্ছি। আর না।আমরা আর জীবনেও টুথ আর ড্যায়ার খেলবো না। কিরে বল তামিম…..
__হ্যা হ্যা আপু আর খেলবো না।
__কোন ক্লাসে পড়ো।(ওয়াসেনাত পিটাতে পিটাতে প্রশ্ন করে)
__এবার ssc দিয়েছি
__ওরে আল্লাহ এই বয়সেই gf আছে ভাবা যায়(রিমি)
__ভাবা না যাওয়ার মত কি আছে।এখন নার্সারি ক্লাসের বাচ্চাদেরও gf থাকে।(তামিম)
__তাই নাকি বাচা ধনেরা। তোমাদের আব্বু আম্মুুুু জানে(কান টানতে টানতে ওয়াসেনাত বলে উঠে)
__না মানে ইয়ে আসলে
__এত আমতা আমতা কেন।হুম।যাও এখান থেকে।বেয়াদোপির লিমিট আছে।তোমরা তো এটাকেও ছাড় মানাবে
__sorry আপু। আর কখনো এমন হবে না(মাথা নিচু করে বলে উঠে দুজনি)
__হলে ভালো না হলে আরো ভালো।

কথাটা বলে ওয়াসেনাত এক চিলতি হাসি দিয়ে রিমির হাত ধরে এক দৌড়।তাদের এই কাজটা ছেলেগুলোর মাথার উপড় দিয়ে যাচ্ছে। তারা ব্যাপারটা প্রথমে না বুঝতে পারলেও পিছনে ফিরে তাদের বাবাকে দেখে ঠিক বুঝে যায়।আসলে প্রথম তেকেই লোকটি সব দেখেছে।ওয়াসেনাত আর রিমি যখন হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল।তারা সামনে তাকাতে লোকটি ইশারা করে বলে ওনি ওদের বাবা।ব্যাপারটা সাথে সাথে তাদের মাথায় কাজ করেছে তাই তারা এমন করেছে।😁😁😁

কথাগুলো ভাবতেই দুজনেই এক ভয়ংকর হাসি হাসে যা সম্পূর্ন রেস্টুরেন্ট কাপিঁয়ে তুলে। তাদের এই বিকট হাসির কারনে সকলে তাদের দিকে তাকায়।এটা তারা বুঝতে পেরে হাসি থামিয়ে খাবারের অডার করা শুরু করে।

ওয়াসেনাত খাবার মুখে দেওয়ার আগেই কেউ তার হাত ধরে ফেলে।ওয়াসেনাতের তো মেজাজ চড়কগাছ।সে ভয়াবহ ভাবে হাত ধরা ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে হতবম্ভ। এই লোক এখানে কেনো। কারনটা তার মাথায় ঘুড়পাক খাচ্ছে।শালারে দেখেই ওয়াসেনাতের মাথা গরম।ও কিছু বলতে নিবে তার আগেই লোকটা বলে উঠে…………..
__হেই যানো তোমাকে কখন থেকে খুজছি
__ওই পোলা আমারে কেন লাগে আপনার।হুম
__আমার তো এখন তোমাকে ছাড়া আর কিছু লাগে না।
__মানে কি হাত ছাড়েন।
__যাও ছেড়ে দিলাম।আমি বরং সময় হলে ধরবো।এখন বলো কেমন আছ।আর মাথার ওই কাটা জায়গাটা দেখি দেখি ওওওহহহ sorry জান(হাত দিয়ে ধরতে ধরতে)
__এই কিসব ফালতু ভাষায় কথা বলছেন।আর হাত দিবেন না।
__ok ok চলো পরিচিত হই।তখন কার ব্যাবহারের জন্যে sorry আসলে আছা তাক পুরোনো সব বাদ। আমি ইহান আর তোমার নাম???(চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলে উঠে)
__ওই ইহানের বাচ্চা ইহান আপনার মতো মানুষের সাথে আমি কথাই বলি না আপনি তো পরিচিত হতে বলছেন।আপনার পরিচয় আপনার কাছে রাখেন।আর ওই রাস্তায় টাকার কথা বলছিলেন না।ওই টাকাও আপনের পকেটে রাখেন। ফালতু লোক।চল রিমি খাওয়া লাগবে না।আমাদের বাসায় খাবো।অসভ্য লোক।ফাউললললল

কথা গুলো বলে ওয়াসেনাত রিমিকে নিয়ে বাহিরে চলে যায়।আর মি.ইহান রেগে লাল চোখে তাকিয়ে থাকে।আর বলে উঠে……….
__এত দেমাগ, এত এট্যাটিউড,ভালো খুব ভালো। ইহানের ওয়াইফ হতে হলে তো এতটা দেমাগ থাকাই লাগে।আনকমন পার্সন ইহানের খুব পছন্দ।আর তুমি তো আমার ভালোবাসা যাকে বলে প্রথম দেখা ভালোবাসা তুমি তো পুরাই আনকমন।তোমাকে তো চাই।(বাকা হেসেঁ)

অরিএান কিছু কালে পোষাক ধারি লোকের সামনে বসে আছে। লোকগুলো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। থমথমে নিরব রুমের পরিবেশ সবাইকে শিহরিত করে তুলেছে।রিমন অরিএানের দিকে তাকাচ্ছে তো তাকিয়েই আছে।কারন আজ অরিএান মাএাঅতিরিক্ত রেগে আছে তবে কেনো তা রিমনের যানা নেই তবে যানার প্রবল আগ্রহ + কৌতুহল নিয়ে সে তালিয়ে আছে।অরিএান গম্ভীর গলায় বলে উঠে……….
__ওয়াসেনাতের যে সময়টা বাসার বাইরে থাকে সে সময়ের প্রতি সেকেন্ডের খবর আমার চাই।বলেছিলাম তোমাদেরকে?????
__জি স্যার
__what জি স্যার (চিৎকার করে)
__sorry sir ওই সময়ে একটা এক্সিডেন্ট হতে যাচ্ছিলো তাই তাদের বাচাতেই……
__সব ওর কাজ ও ইচ্ছে করে এমন করেছে যাতে ওয়াসেনাতের সাথে কথা বলতে পারে। তোমরা কেমন গার্ডস এই সামান্য ব্যাপারটা বুঝতে পারো নি।বলো(চিৎকৃত করে)
__sir sorry
__sorry শুনতে চায়ই নি ড্যামেট (সামনের টেবিলে বারি দিয়ে)
__এই তুই শান্ত হ।কি হয়েছে আমাকে বল(রিমন বলে উঠে)
__কি হয় নাই তাই বল।ইহান ওয়াসেনাতকে দেখেছে। ও এবারও কেড়ে নিবে(বলেই রিমনকে জড়িয়ে ধরে)

রিমন বুঝতে পেড়েছে পুরোনো ক্ষতে নাড়া পড়েছে।তাই অরিএান এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছে।কিন্তু ইহান নামটা শুনে তার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। মনে মনে ভাবছে বাপ ছেলের আর কাজ নাই। সারা জীবন কি অরিএানের পিছনে পরে থাকবে।আল্লাহ মালুম তবে এটা ভেবে খুশি হয় অরিএান নিজের ফিলিংসের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে।রিমন হাতের ইশারায় গার্ডসদের যেতে বলে।তারপর জিগ্যেস করে………….
__তুই কি ওয়াসেনাতের প্রেমে পরেছিস
__না
__তবে কি ভালোবাসে ফেলেছিস
__খুব

কথাটা শুনার সাথে সাথে রিমন অরিএানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে হা করে তাকিয়ে আছে। যা দেখে অরিএান বলে উঠে…………….
__এখন সেন্সলেস হবিনা এয়ার। ভালো লাগছে না
__কেনো কি হয়েছে।
__ইহান যদি এবারও প্রিয় জিনিসটা নিয়ে নেয়।
__এবার হতে দিস না।আগের বার তোর এন্ট্রি লেইটে হয়েছে।আর ওই ইহানের আগে but এবার তুই first so ওয়াসেনাত শুধু তোর ফুল।তবে হ্যা যুদ্ধ কিন্তু করতে হবে।দাম বিহিন মূল্যবান বস্তু পেতে হলে যুদ্ধ করতে হয়।যানোস তো??
__হুমমমম।আগেরটা তো ধোকা ছিলো তবে এবার আর না।ওয়াসেনাত শুধু অরিএানের ফুল শুধু তার।গার্ডসদের সাথে কথা বলে এদের বের করে দে।নতুন গার্ডস ঠিক কর।আর আমার স্পেশাল ৪জনের মাঝে দুজন যেনো ওয়াসেনাতের উপর নজর রাগে।স্পেশাল ভাবে। মাথায় ডুকিয়ে নে।এবার হা করে না থেকে যা।

জবাবে রিমন হবার মত মাথা নাড়ায়।অরিএানের পরিবর্ত ধিরে ধিরে হলেও রিমন বেশ অবাক হয়। অরিএানের এক এক দিনের কার্যকলাপ দেখে।এতটাও ডেস্পারেট কেউ হতে পারে। তাও কিছুদিনের পরিচিত মেয়ের জন্যে।আসলেই মেয়েটা সাধারন না।অসাধারণ কিছু হবে।তা না হলে অরিএানের বুকের ফুল কি হতে পারতো। না অসাধারন কিছু বলেই এটা পসিবল হয়েছে।কথা গুলো ভেবে এক চিলতি হাসি ফুটে উঠে।

মাদৌলি তার কিছু লোকের সামনে বসে আছে।লোকগুলোর মধ্যে একজন বলে উঠে……..
__ম্যাম সব খবর নিতে না পারলেও কিছু খবর পেয়েছি
__তোমাকে আমি কিছু খবর আনতে পাঠায় নি(চিৎকার করে)
__sorry কিন্তু যে খবর আছে তা অনেক গুরুত্বপূন্য
__তাহলে বলছনা কেনো। আমি তো তোমাকে মুখ দেখার জন্যে ডাকিনি। আশা করি বুঝতে পারছ।
__জি ম্যাম।
__তাড়াতাড়ি বলো
__আসলে ম্যাম ওয়াসেনাত নামের মেয়েটা অরিএান স্যারের পরিচয় যানে না।
__মানে
__অরিএান স্যার ওর কাছে নিজের পরিচয় গোপন করেছে।
__কেনো
__সেটা জানি না ম্যাম
__অর্ধেক খবর আনতে তো আমি তোমাকে এত এত টাকা দি নি।পরের বার পুরো খবর না আনলে আমার চাইতে খারাপ কেউ হবে না।get lost (চিৎকার করে)

লোকগুলো মাদৌলির চিৎকারে ভয় পেয়ে চলে যায়।আর মাদৌলি বলে উঠে……..
__অরিএান তুমি শুধু আমার।ওই খেত মার্কা মেয়ের মাঝে কি পেয়েছ।যে তার পিছনে এভাবে ঘুরছ।যাই হোক আমিও হাল ছাড়ার পাএি না।so এবার তুমি তৈরি থেকো আমার attack এর পালা।আমি আমার জিনিস আমার করে রাখতে পাড়ি। তুমি শুধু আমার।আর ওয়াসেনাত তোমাকে তো দেখে নিবো।(বলেই হাসা শুরু করে)

বেচারি ওয়াসেনাতকে নিয়ে এত গুলো লোক পরে আছে সে নিজেই যানেনা।একটা প্রবাদ আছে যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়াপড়শির ঘুম নাই।এক কালের এই প্রবাদ ওয়াসেনাতের ব্যাপারটা ভেবেই তৈরি হয়েছে আমার মনে হয়।😂🤣🤣

রাত ১১.৪৫ বাজে। অরিএান দেওয়াল টোপকে ওয়াসেনাতদের বাউন্ডারির ভিতরে ডুকে পরে।কারন আর কি হতে পারে ওয়াসেনাত বাদে।সে একনজর ওয়াসেনাতকে দেখতে এসেছে।ভালোবাসা নামের সুপ্ত অনুভূতির ফিলিংস যখন থেকে ফিল হয়েছে তবে থেকে হারানোর ভয় তাকে জেকে ধরেছে।অরিএানের প্রচণ্ড ভয় করছে।তার মস্তিষ্ক, মন সব জুড়ে ভালোবাসার শেষ আশ্রয় হারানোর ভয় দৌড়ে বেড়াছে।তার এখন ইচ্ছে করছে ইস্পাত দিয়ে খাঁচা তৈরি করে তাতে ওয়াসেনাতকে লুকিয়ে রাখতে তবে কি করার ওয়াসেনাতো পাখি না।অরিএান ভিতরে ডুকেই ওয়াসেনাতদের বিল্ডিং এর দিকে তাকিয়ে দেখে ওয়াসেনাত বারান্দায় কফির মগ হাতে দাড়িয়ে আছে।অরিএান অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। এখানেও ফেড়ি লাইট।আসলেই তার ফেড়িপরী এই লাইটেই বেশি সুন্দর লাগে।ফেড়িপরী বলে কথা।অরিএান ধিরে কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশে ডেলাম দিয়ে দাড়ায়।আর এক দৃষ্টিতে ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে আছে।মন থেকে চাইলে আল্লাহ সব দেয়।এই মহান উক্তিটি অরিএানের বেলায় খাপেখাপে মিলে গেছে।অরিএান মনে মনে ওয়াসেনাতকে বারান্দায় দেখতে চেয়েছিল।আল্লাহকেও অনেক করে বলেছে।আর আল্লাহও শুনেছে।

বারান্দা আসলেও মাথায় কাপড় দেওয়া লাগে।ব্যাপারটা ভাবতেই অরিএান নিজের কপালে ভাজ ফেলে ভ্রু গুলো কিন্চিত উচা করে।তার অনেক ইচ্ছা জাগে ওয়াসেনাতের চুল দেখার তবে তা মেয়েটা কখনই দেখতে দেয় না।আবার মনে মনে কি ভেবে অরিএান হাসে।আসলেই মেয়েটা সাধারন না। অরিএান ফুল অসাধারণ হবে এটাই কি সাভাবিক নয়…………….

🍁চলবে…

ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।🍁

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।