তোমাকে | মুন্নি আক্তার প্রিয়া | পর্ব – ১৪

প্রিয়ম আর শাদাফ ফ্রেশ হয়ে খেতে বসেছে। সাথে বাবাও খেতে বসেছে। মা সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে। এদিকে পরীর মনটা আনচান করছে দেখার জন্য ভাইয়া কী গিফ্ট নিয়ে এসেছে! ধৈর্য ধরে রাখতে না পেরে ড্রয়িংরুমে রাখা লাগেজটা খুলে একে একে সব বের করতে থাকে। গিফ্ট দেখে পরী অবাক! ছোট মেয়ে বাচ্চার কাপড়। সাথে অনেকগুলো চকোলেট,  খেলনা, কিছু কসমেটিক্স ও পাঁচটা শাড়ি আছে। পরীর ছোট্ট মাথায় বিষয়টা খোলাসা হচ্ছে না। ভাই কি গোপনে বিয়ে করল? মেয়েও আছে নাকি একটা! নিজেকে আর প্রশ্ন না করে পরী গোটা দুয়েক জামা নিয়ে ডাইনিংরুমে যায়। কাপড়গুলো দেখিয়ে ভাইয়ের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করে,

“ভাইয়া এগুলো কী? বাচ্চাদের কাপড় কেন নিয়ে এসেছ তুমি?”
উপস্থিত সকলেই পরীর দিকে তাকায়। শাদাফ হেসে বলে,
“তুমি বোধ হয় ভুল করে প্রিয়মের লাগেজ খুলতে গিয়ে আমার লাগেজ খুলে ফেলেছ। এগুলো আমার মেয়ের কাপড়।“ 
পরী লজ্জায় মুখটা নিচু করে ফেলে। আমতা আমতা করে বলে,
“স্যরি! আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি।“
শাদাফ হেসেই উত্তর দেয়,
“আরে সমস্যা নেই।“
পরী কাপড়গুলো নিয়ে আবার ড্রয়িংরুমে চলে যায়। কাপড়গুলো ভাঁজ করে শাদাফের লাগেজে রেখে দেয়। আর মনে মনে ভাবে, 
“লোকটা বিবাহিত! আবার একটা মেয়েও আছে! বোঝাই যায় না দেখলে। আজকালকার ছেলেরা এত ইয়ং কীভাবে থাকে আল্লাহ্ মালুম।“
শাদাফের লাগেজটা সাইডে রেখে পরী প্রিয়মের লাগেজ খুলে। পরীর জন্য অনেকগুলো ড্রেস, চকোলেট, বাবা-মায়ের জন্য জামা-কাপড় এনেছে। সবগুলো দেখতে দেখতে সবার খাওয়া শেষ হয়ে যায়। শাদাফ আর প্রিয়ম ড্রয়িংরুমে এসে সোফায় বসে। পরী ফ্লোরে বসে সব দেখছিল। ভাইকে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
“ভাইয়া তোমারে এত্তগুলা হামি”
বলে, একটা ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দেয় প্রিয়মের দিকে। উপস্থিত প্রিয়ম আর শাদাফ দুজনই হাসে। শাদাফের উচ্চ হাসিতে পরী বেশ লজ্জাও পায়। শাদাফ হাসতে হাসতেই বলে,
“তুমি একদম আমার পরীর মতোন।“
‘তুমি একদম আমার পরীর মতোন’ কথাটা শুনেই চকিতে তাকায় শাদাফের দিকে। পরী চোখগুলো বড় বড় করে তাকিয়ে আছে তা দেখে প্রিয়ম বলে,
“শুধু তাই নয়। ওর বউয়ের নামও পরী।“
পরী অবাক হয়ে বলে,
“সত্যিই?”
উত্তরে শাদাফ বলে,
“হ্যাঁ। অনেক মিলও আছে চেহারায়। তবে তুমি স্লিম। আর ও এখন একটু মোটা হয়ে গেছে। আগে তোমার মতোই স্লিম ছিল।“
পরী উৎসাহিত হয়ে বলে,
“কই? কই? ছবি নেই? প্লিজ ছবি দেখান।“
“এক মিনিট!”
বলে শাদাফ পকেট থেকে ফোন বের করে। পরী ফ্লোর থেকে উঠে প্রিয়মের পাশে গিয়ে বসে। শাদাফ গ্যালারী থেকে ছবি বের করে পরীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“এটা আমার মেয়ে আয়েত্রী। সামনে পরীর ছবি আছে দেখো।“
পরী ফোনটা হাতে নিয়ে আয়েত্রীর ছবি দেখে বলে,
“মাশআল্লাহ্! খুব সুন্দর। ওকে দেখতে আমার মতো লাগছে।“
বলে ফিক করে হেসে দেয় পরী। শাদাফ হেসে বলে,
“কারণ ওর মা আর তুমি দেখতে অনেকটা এক রকম। আয়েত্রী ওর মায়ের মতোই হয়েছে। যেমন দুষ্টু তেমনি ভালোবাসার ডিব্বা।“
পরী এক এক করে ছবি পাল্টায়। আয়েত্রীর ছবির পর পরীর ছবি আসে। ছবিটা দেখে পরী হা করে তাকিয়ে থাকে। একদম অবিকল চেহারা। বয়সটা সেম হলে আর ঐ পরী স্লিম হলেই দুজনকে পাল্টানো যেত। পরী ছবি দেখতে দেখতে বলে,
“কী ভাগ্য আমার! আমার টুইন দেখতে পেলাম। আবার নামও এক। আমার তো ইচ্ছে করছে সামনে থেকে দেখতে।“
“ইনশাআল্লাহ্‌ একদিন দেখা করিয়ে দেবো।“
“আচ্ছা পরী আপু এখন কোথায়?”
বলে পরী ফিক করে হেসে দিয়ে বলে,
“কখনো ভাবিনি নিজের নামের কাউকেই আপু বলে ডাকতে হবে।“
পরীর হাসির সাথে প্রিয়ম আর শাদাফ দুজনই হাসে। শাদাফ বলে,
“পরী আয়েত্রীকে নিয়ে ওর বাবার বাসায় এসেছে রাগ করে। তাই তো কুমিল্লায় না গিয়ে ঢাকায় এসেছি।“
“রাগ করেছে কেন?”
“আরো দু’মাস আগে আসার কথা থাকলেও আসতে পারিনি তাই।“
“ওহহ আচ্ছা।“
ছবি দেখা শেষ করে পরী ফোনটা শাদাফের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“অবশ্যই একদিন পরী আপুর সাথে দেখা করিয়ে দেবেন প্লিজ।“
“ঠিকাছে দেবো।“
তারপর পরী চকোলেটগুলো আর নিজের ফোনটা নিয়ে রুমে চলে যায়। পরী চলে যাওয়ার পর শাদাফ বলে,
“বিকেলে আমি বের হব একটু।“
“কোথায় যাবি?”
“পরীর বাসায়।“
“আচ্ছা ঠিকাছে। এখন একটু রেষ্ট নিবি চল।“
“চল।“
.
পরী রুমে গিয়ে চকোলেট খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হুট করেই মনে পড়ে তুর্যর কথা। সাথে সাথে ফেসবুকে গিয়ে তুর্যর রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে। মিনিট দুয়েক পরই তুর্যর ম্যাসেজ আসে।
“আমাকে কি তোমার খাটো মনে হয়?”
পরী ম্যাসেজটা দেখে চোখ পিটপিট করে বিড়বিড় করে বলে,
“এইটা কেমন ম্যাসেজ!”
পরী ম্যাসেজ পাঠালো,
“মানে?”
তুর্যর রিপ্লাই,
“মানে কী আবার? সেই যে রাতে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। আর তুমি এখন এক্সেপ্ট করলে। ঝুলিয়ে রেখে লম্বা বানাতে চেয়েছিলে?”
“তাতে কী হয়েছে?”
“অনেককিছু হয়েছে।“
“অনেককিছু কী?”
“এত প্রশ্ন করো কেন তুমি?”
“আচ্ছা করলাম না।“
“তোমার ফোন নাম্বার দাও।“
আনন্দে পরীর মন পুলকিত হয়ে ওঠে। ব্যাটায় মনে হয় প্রেমে পড়ছে! আনন্দ লুকিয়ে পরী ভাব নিয়ে ম্যাসেজ দিল,
“কেন? নাম্বার দিয়ে কী করবেন?”
তুর্য রাগি ইমোজি দিয়ে ম্যাসেজ পাঠালো,
“কাগজে লিখে পানিতে ভিজিয়ে তারপর খাব।“
ম্যাসেজ দেখে পরী হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খায়। ঐদিকে তুর্য আবারও ম্যাসেজ পাঠায়,
“কী হলো? দাও।“
পরী আর দুষ্টুমি না করে নাম্বারটা টেক্সট করে দিয়ে দেয়। তুর্য ম্যাসেজটা সীন করে তখনই পরীকে কল দেয়। আননোন নাম্বার হলেও পরীর বুঝতে অসুবিধা হয় না এটা তুর্যরই নাম্বার। পরী গলাটা খ্যাঁক করে পরিষ্কার করে ফোন রিসিভ করে সালাম দেয়। ওপাশ থেকে তুর্য সালামের উত্তর নিয়ে বলে,
“নাম্বার চাইছি বলে এত ভাব দেখাও কেন?”
“কই ভাব দেখালাম?”
“দেখাইছ। প্রেমের আলাপ করার জন্য নাম্বার নিইনি আমি বুঝেছ।“
পরী বিড়বিড় করে বলে,
“তুই যে শালা আনরোমান্টিক সেটা আমি জানি!”
তুর্য ধমক দিয়ে বলে,
“বিড়বিড় করে বলো কেন? জোরে বলো।“
“আপনার কানে সমস্যা।“
“কী বললে? আমার কানে সমস্যা?”
“আপনি কি আমায় ধমকা-ধমকি করার জন্য ফোন দিয়েছেন? ঝগড়া করার আর কেউ নেই?”
“তোমার কি ধারণা আমি শুধু ঝগড়াই করি?”
“ঠিক তাই।“
“ভুল। যে কারণে ফোন দিয়েছি শোনো।“
“শুনছি।“
“সম্ভবত প্রান্ত ওর পরিবার নিয়ে আজ তোমায় বাসায় যাবে।“
পরী অবাক হয়ে বলে,
“কেন?”
“কেন আবার কী? পরিবার নিয়ে কোনো ছেলে কোনো মেয়ের বাসায় কেন যায়? বোঝো না তুমি?”
“না বুঝি না। আপনি যখন এত বোঝেন তো ভনিতা না করে পরিষ্কার করে বললেই তো পারেন।“
“আমি কী ভনিতা করেছি?”
“করেন না নাকি?”
“ধুর! আমার হাতে এত সময় নেই। তাড়াতাড়ি কথা শেষ করতে হবে।“
“তো করুন। পাশ থেকে গার্লফ্রেন্ড কি খোঁচাচ্ছে?”
“শাট আপ!”
“আরে এটা তো আমার ডায়লগ।“
“উফ! একটু চুপ করো তো তুমি।আর সিরিয়াস হয়ে আমার কথা শোনো।“
“আচ্ছা।“
“প্রান্ত বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে।“
“বলেন কী!”
“হ্যাঁ।“
“আসুক! আসলেই কি আমি নাচতে নাচতে রাজি হয়ে যাব নাকি?”
“যদি তোমার পরিবার রাজি হয়?”
“আমার মত ও ইচ্ছের বিরুদ্ধে তো আর বিয়ে দিতে পারবে না।“
তুর্য করুণস্বরে বলে,
“প্লিজ তুমি প্রান্তকে বিয়ে কোরো না।“
করুণস্বরে বলা কথাটা পরীর বুকে গিয়ে লাগল। কতটা ভালোবাসা, আবেগমিশ্রিত কথাটা তা ভাবতেই মনটা চঞ্চল হয়ে ওঠে। ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুঁটে ওঠে। লজ্জানুভূতি নিয়ে শুয়ে একটা বালিশ নিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। ঠোঁট কামড়ে মিটিমিটি হাসতে থাকে। ওপাশ থেকে তুর্য বলে,
“পরী শুনতে পাচ্ছ আমার কথা? প্লিজ প্রান্তকে বিয়ে কোরো না। তাহলে তিথি মারাই যাবে।“
শেষের বাক্য শুনে পরীর হাসিমাখা মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। বালিশটা দেয়ালে ছুঁড়ে মেরে ওঠে বসে। নিজের প্রতিই রাগ হচ্ছে এখন। আগেই বোঝা উচিত ছিল যে আনরোমান্টিক মানুষটা এত ভালোবাসামিশ্রিত কথাটা যখন বলেছে তখন নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। বোনের কষ্টকে রোধ করার জন্যই যে তার এত প্রচেষ্টা সেটা বোঝা আর বাকি নেই! আরে গাধা, আমি কি নাচতেছি নাকি প্রান্তকে বিয়ে করার জন্য? আমি তো প্রান্তকে নিয়ে ভাবিই না। কিন্তু তুই তো শালা আমার ভালোবাসাটা দেখিস না। তা দেখবি কেন? যে কষ্ট দেয় তার ভালোবাসা দেখিস। দেখিস না শুধু এই অবলা পরীর ভালোবাসা! তোর কপালে বউ নাই দেখিস ব্যাটা বজ্জাত!
পরীকে আবারও চুপ থাকতে দেখে তুর্য মেজাজ দেখিয়ে বলে,
“আরে মেয়ে বোবা হয়ে গেলে নাকি তুমি?”
পরী লম্বা শ্বাস নিয়ে বলে,
“ঠিকাছে। এখন রাখছি।“
আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করেই পরী কল কেটে দেয়। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আধখাওয়া চকোলেটটা টেবিলের ওপর রেখে ছাদে চলে যায় পরী। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো এমন কেন? শুধু কষ্ট আর কষ্ট!
সন্ধ্যার দিকে পরী প্রিয়মকে নিয়ে ফুচকা খেতে যায়। শাদাফ বিকেলের দিকেই পরীর বাসায় চলে গেছে। পরী ও প্রিয়ম দুই ভাই-বোন পাশাপাশি হাঁটছে। বাইরে বের হয়েছে ভাইয়ের জোড়াজুড়িতেই। দীর্ঘ সময় পর ভাই দেশে ফিরল অথচ মনে কোনো আনন্দ লাগছে না। মন পড়ে আছে সেই একটা মানুষের কাছেই। সে কি কখনো বুঝবে না পরীর ভালোবাসা?
পরীকে অন্যমনস্ক দেখে প্রিয়ম জিজ্ঞেস করে,
“তোর মন খারাপ নাকি?”
পরী মেকি হেসে বলে,
“কই না তো!”
“ভাইয়ের কাছে কী লুকাস বল তো?”
“কিছুই লুকাচ্ছি না।“
“সত্যিই?”
“একদম।“
দুই ভাই-বোনের কথার মধ্যে কোথা থেকে যেন প্রান্তর উদয় হয়। সামনে এসেই প্রিয়মকে জড়িয়ে ধরে বলে,
“কী খবর ভাই?”
বিস্ময়ে পরী কিংকর্তব্যবিমূঢ়! ভাইয়ের সাথে প্রান্তর এত ভাব কীভাবে? 
প্রিয়ম হেসে বলে,
“আলহামদুলিল্লাহ্‌।“
“কোথায় যাচ্ছেন?”
“এইতো ছোট বোনকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাচ্ছি। যাবে নাকি?”
“হুম যাওয়া যায়।“
এখন কথা হচ্ছে প্রান্ত ও প্রিয়মের মধ্যে। এত অল্প সময়ে এত ভাব কীভাবে সম্ভব? আর ভাইয়াই বা কীভাবে চেনে প্রান্তকে? দুজনের বকবকানির মধ্যে পরী এখন নিরব শ্রোতা। ফুচকার স্টলে গিয়ে পরী ফিসফিস করে প্রিয়মকে বলে,
“ভাইয়া তুমি উনাকে চেনো কীভাবে?”
“আরে বিকেলে শাদাফকে এগিয়ে দিতে এসে পরিচয় হয়েছিল। খুব ভালো ছেলে। তুই চিনিস নাকি?”
“না।“
পরী মনে মনে বলে,
“এই পাজি তো দেখি ভাইয়াকে হাত করার ধান্দায় আছে। যতই হাত করো চান্দু! লাভ হবে না কোনো।
আহারে! যারে আমার দুচোখ খুঁজে বেড়ায় সে যে কোথায়! নিশ্চয়ই গার্লফ্রেন্ডের রাগ ভাঙাতে ব্যস্ত।“
পরী হাতের ফোনটা নাচাতে নাচাতে অন্যমনস্ক হয়ে তুর্যর কথা ভাবতে থাকে। তখনই ফোনের ম্যাসেজ টোন বেজে ওঠে। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে তুর্যর নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এসেছে। পরী বিড়বিড় করে আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বলে,
“শালা! বাঁচবি অনেকদিন।“
 ম্যাসেজটা ওপেন করে।
“তোমাকে বলেছি প্রান্তকে ইগনোর করতে। আর তুমি তো দেখি ফুচকা খেতে চলে এসেছ ওর সাথে।“
ম্যাসেজের রিপ্লাইতে পরী লিখে,
“তাতে তোর কী? তোর কেন জ্বলে এত? তোর ইচ্ছা হলে তুইও খা। তোর কথা কেন শুনব আমি? আমি কি তোর ঘরের বউ নাকি? আর তুই কোথায় দেখলি আমায়? ভূত হয়ে ঘুরিস আমার পিছনে!”
ম্যাসেজটা লিখলেও আর সেন্ড করল না। ব্যাক স্পেসে চেপে ধরে লেখাগুলো মুছে জাস্ট এতটুকুই লিখল,
“ভাইয়ার সাথে এসেছি।“

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।