লাভার নাকি ভিলেন | সিজন – ২ | পর্ব – ৩

আকাশ মেঘলাকে বাইকের পিছনে বসতে বলল মেঘলা তাই করল। মেঘলা আকাশের ঘাড়ে হাত রেখে বসেছে আকাশের তাতে মন ভরে নি।

আকাশঃ মেঘলা ধরে বস…

মেঘলাঃ ধরেছি তো..

আকাশঃ এভাবে না ভাল করে ধর তানাহলে পরে যাবি আমি স্পীডে ড্রাইভ করব।

মেঘলা আকাশকে ২ হাতে জড়িয়ে ধরে বলল এভাবে…??

আকাশঃ হুম

মেঘলাঃ পড়ে যাওয়ার দোহাই দিতে হয় কেন আদর খেতে ইচ্ছা করছে বল্লেই তো হয়।

আকাশ আর কিছু না বলে ড্রাইভ শুরু করল।

মেঘলাঃ আচ্ছা আকাশ ভাইয়া কি ভুলে গেল আমি উনার ফোন ধরে নি(মনে মনে)

মোটামুটি সারা শহর চক্কর দেওয়া শেষ।

মাঝরাত হওয়ায় রাস্তাঘাট পুরো ফাঁকা। মনের মানুষের সাথে এভাবে সময় কাটাতে কে না চায়? আকাশকে এত কাছে পেয়ে মেঘলার খুব ভাল লাগছে।
তবে আকাশের ভাল লাগছে নাকি খারাপ লাগছে দেখে বুঝা যাচ্ছে না কারন সে এতক্ষনে কোন কথা বলে নি।

কিছুক্ষন এভাবে ঘুরাঘুরি করার পর অবশেষে আকাশ রেল স্টেশনের সামনে গিয়ে মেঘলাকে নামতে বলল।

মেঘলা আমরা স্টেশনে কি করছি?আমাদের তো বাইক আছে তাহলে ওখানে গিয়ে কি করব?

আকাশঃ তোকে বিক্রি করে দিব আর ট্রেনে করে পাচার করে দিব।

মেঘলাঃ কি বলছেন এসব। আমি চেঁচাব…

আকাশঃ চেঁচা… এখানে কে আছে তোর চেঁচানো শুনার জন্য…??

মেঘলা উল্টো ঘুরে দৌড় দিতে চাইল কিন্তু আকাশ তার আগেই হাত ধরে ফেলল।

আকাশঃ পালানোর কোন রাস্তা নেই চল।

মেঘলাঃ ভাইয়া ভুল হয়ে গেছে আর কখনো এমন হবে না এবারের মত মাফ করে দিন না প্লিজ আমি তো সবসময় আপনার ফোন ধরি তাই না?শুধু আজকেই তো এমন হল।

আকাশঃ কিসের ফোন…??? আবল তাবল বলা বাদ দে চল ভিতরে চল।

মেঘলার কান্না পাচ্ছে কিন্তু আকাশের তাতে কি? সে মেঘলা কে নিয়ে স্টেশনে যাচ্ছে।

মেঘলাঃ খোদা এবারের মত বাঁচিয়ে দাও আর কখনো ওই ওষধ খাওয়া তো দূর হাতেও নিব না।(মনে মনে)

আকাশ স্টেশনের ভিতরের একটা দোকানে গেল।

আকাশঃ চাচা খাবার কি পাওয়া যাবে?

চাচা দোকানের বিস্কুট/ কেক দেখিয়ে বলল এগুলি আছে…

আকাশঃ না আমি এসব চাচ্ছিনা ক্ষুদা মিটে এমন কিছু হবে? মানে হাতে রান্না করা…??

চাচাঃ হ্যা আছে হোটেলে বিরিয়ানি আছে বললে আনিয়ে দেই.

আকাশঃ না লাগবে না আচ্ছা চাচা আমাকে একটা নুডলস এর প্যাকেট ডিম আর যা যা লাগে দিন আমি নিজেই বানিয়ে নিচ্ছি।

আকাশকে এই চাচা অনেক আগে থেকেই চিনে।তাই তিনি বল্লেন, আরে কি বলছো বাবা তুমি রান্না করবে কেন আমি করে দিচ্ছি।

আকাশঃ আমিই করব চাচা আমাকে কিচেন টা দেখিয়ে দিন।

চাচা আকাশ আর মেঘলাকে রান্না ঘরে নিয়ে গেল।

মেঘলা অবাক হয়ে বলল আপনি রান্না পাড়েন?

আকাশঃ আকাশ পাড়িনা এমন কাজ খুব কম আছে৷

মেঘলাঃ বাসায় কখনো তো এক গ্লাস পানিও নিয়ে খান না।

আকাশঃ বেশি কথা বলছিস কাজ করতে দে..

মেঘলাঃ আপনি সরুন আমি করে দিচ্ছি

আকাশঃ থাপ্পড় খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক।

মেঘলাঃ….

আকাশ বেশ মনোযোগ দিয়ে রান্না শেষ করল।

প্লেটে করে খাবার নিয়ে দোকেনের ছাদে গেল সেখানে বসার ব্যবস্থা করা আছে মুলত যাত্রীদের যা যা দরকার সব ব্যবস্থায় এই দোকেনে আছে কিন্তু রাত হওয়ার এখন তেমন কেউ নেই।

আকাশঃ মেঘলা হা কর….

মেঘলাঃ আমাকে নাকি বিক্রি করে দিবেন তাহলে আপনার হাতে খাব কেন?

আকাশ উপড় থেকে চেঁচিয়ে বলল চাচা ট্রেন কয়টায় আসবে…??

চাচাঃ ২.৩০ এ

আকাশের জিজ্ঞাস করার ধরন দেখে মেঘলার শিক্ষা হয়ে গেছে।

মেঘলাঃ খাচ্ছি খাচ্ছি তবুও আমাকে বিক্রি করে দিবেন না প্লিজ।দেখুন আমি আপনার কত আদরের বোন তাই না আমাকে ছাড়া থাকবেন কি করে?

আকাশঃ আবার নিজের ভাংগা রেকর্ডার চালু করে দিয়েছিস…???সারাদিন এত বকবক করিস কি করে মুখ ব্যাথা করে না?

মেঘলা এবার চুপচাপ খাচ্ছে আর আকাশ মেঘলার মুখে খাবার তুলে দিয়ে খাওয়াচ্ছে।

কিছুক্ষন চুপ থাকার পর
মেঘলাঃ আপনি খাবেন না…??

আকাশঃ না… এটা তোর জন্য।

মেঘলাঃ ও আমাকে তো দূরে পাঠিয়ে দিবে তাই খাওয়াচ্ছে তাই না? আচ্ছে শেষ চেস্টা করে দেখি(মনে মনে)

মেঘলাঃ বেশ ভাল রান্না করতে পারেন… ভাইয়া আপনি না খুব ভাল।

আকাশ মেঘলাকে থামিয়ে দিয়ে বলল থাম আর না.. এসব ফরমুলা অন্য জায়গায় কাজে লাগাস আকাশ কে ভুলানো তোর কর্ম নয়।

মেঘলাঃ উফফ কি করে বুঝে ফেলল?(মনে মনে)

আকাশঃ যে তোর মনের কথাও বুঝতে পারে সে মুখের কথা বুঝবে না?চুপচাল খা…

মেঘলা এবার খেয়ে নিল খেতে খেতে বারবার ফোনে ঘড়ি দেখছিল কয়টা বাজে।

খাওয়া শেষ…

আকাশঃ আর কিছু খাবি?

মেঘলা ভাংছি কেটে বলল না।

আকাশঃ পেট ভরেছে?

মেঘলাঃ আজব…

আকাশ বুঝল মেঘলার খাওয়া হয়ে গেছে তাই ভাব দেখাচ্ছে।

আকাশ আচ্ছা নিচে চল।

মেঘলাঃ আমাকে না বেচলে হয় না?

আকাশঃ আবার…. (চোখ রাংগিয়ে)

মেঘলা চুপচাপ নিচে নামল,
আকাশঃ এখানে দাঁড়া আমি টাকাটা দিয়ে আসি।

আকাশ চলে গেল এর মধ্যেই ট্রেন আসল।

এবার মেঘলা কেঁদে ফেলেছে।

আকাশ দোকানদারকে টাকা দিতে ব্যাস্ত ছিল তাই লক্ষ্য করে নি।

ফিরে এসে দেখল মেঘলা কাঁদছে।

আকাশ মেঘলার কান্না দেখতে একদম পছন্দ করে না।

আকাশঃ ফাউল টা আবার মরা কান্না জুড়েছে কেন?
ওই কাঁদছিস কেন?

মেঘলাঃ……

আকাশ মেঘলাকে একটানে নিজের সাথে মিশিয়ে দিয়ে বলল তুই কাঁদলে আমি সহ্য করতে পারিনা জানিস না?কাঁদছিস কেন বল।

মেঘলাঃ ট্রেন চলে এসেছে

আকাশঃ তো কি হয়েছে?

মেঘলাঃ এখন নিশ্চুই আপনি আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।

এবার আকাশ হা হা করে হেসে দিল
মেঘলাঃ হাসছেন কেন?

আকাশঃ মাথা মোটা এটাও বিশ্বাস করেছে (মনে মনে) আকাশ হাসি থামিয়ে বলল আচ্ছা তোকে বেঁঁচব না তবে একটা শর্ত আছে।

মেঘলাঃআমি সব শর্ত মানব কি শর্ত বলুন।

আকাশঃ আমাকে তুমি করে বলতে হবে আর নাম ধরে ডাকতে হবে।

মেঘলাঃ এ আর এমন কি আমি শর্তে রাজি।

আকাশঃ চল তাহলে যাই…

আকাশ মেঘলাকে নিয়ে বাসার সামনে এসে নামিয়ে দিয়ে কতগুলি চকলেট দিয়ে বলল চল তোকে দিয়ে আসি।

মেঘলাঃ যাক বাসায় চলে এসেছি।এবার মজা দেখাচ্ছি,এই যে শুনুন এতক্ষন অনেক ভয় দেখিয়েছেন এবার আর কি করবেন হুম?
আমি আপনার কোন শর্তই মানব না আগে তো আকাশ ভাইয়া বলতাম এখন শুধু ভাইয়া বলব আর সবাইকে বলব আমি আপনার ছোট বোন হই।

আকাশঃ তাই নাকি সাহস বেড়ে গেল দেখছি।

মেঘলাঃ বাড়িতে চলে এসেছি হুম….

আকাশঃ গুড তাহলে আমি চলে যাই….

মেঘলাঃ হুম যান যান।

আকাশঃ সত্যিই যাব?

মেঘলাঃ হুম ভাইয়া সাবধানে যাবেন কেমন ভাইয়া?

আকাশ বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।

মেঘলা আকাশ কে বিদায় দিয়ে চকলেট খেতে খেতে আসছে কিন্তু এবার তার মনে হল সে তো লাফ দিয়ে নিচে এসেছিল এখন এত উপরে কি করে উঠবে মেইন দরজা তো লাগানো দরজায় নক করলে সবাই জেগে যাবে।এত রাতে কোথায় গিয়েছিলাম কি জবাব দিব?

মেঘলাঃ হারামি টা আমাকে ফাঁসিয়ে দিল????
যাক এত ভয় পাচ্ছি কেন নাবিল ভাইয়া তো আছেই জিজ্ঞাস করলে বলব আকাশ নিয়ে গেছিল।

এদিকে আকাশ এবার বুঝবি মনা কত ধানে কত চাল।নাবিল কি জিনিস তো জানিস না।রুমে দিয়ে আসতে চেয়েছিলাম ভাল লাগল না এখন দেখ কেমন লাগে।

মেঘলা দরজায় নক করল কয়েকবার নক করার পর নাবিল এসে দরজা খুলল।

নাবিল মেঘলাকে বাইরে দেখে রেগে গেল।

নাবিলঃ তুই বাইরে কি করছিস? আর আমি তো তোর ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়েছিলাম তাহলে বাইরে গেলি কি করে?

মেঘলা কি বলবে বুঝতে পারছে না তার মুখে চকলেট লেগে আছে হাত ভর্তিও চকলেট।

নাবিলঃ ও আচ্ছা চকলেট ডে পালন করতে গেছিলি।তাও এত রাতে বাহ কি সাহস তোর…
নাবিল এবা চেঁচাচ্ছে… মা… মা এদিকে এসো একবার…

মেঘলাঃ ভাইয়া মা বাবাকে ডাকিস না প্লিজ। আজ বাসায় এসেছি আর আজকেই এমন করলাম খুব বকবে…কস্টও পাবে।

নাবিলঃ সেটা কাজ টা করার আগে ভাবা উচিত ছিল আর একটা কথা আমি তোর বড় ভাই বন্ধু নই আমার সাথে বুঝে শুনে কথা বলবি এবার বল কার সাথে গিছিলি।

মেঘলাঃ আবার কার সাথে আকাশ ভাইয়ার সাথে।

নাবিলঃ আমাকে কি পাগল পেয়েছিস? আকাশ এত রাতে কোন মেয়েকে বাইরে নিয়ে যাবে এটা আর যেই বিশ্বাস করুক আমি করব না আকাশ কে আমি হারে হারে চিনি। কেউ আংগুল তুলতে পারে এমন কাজ আকাশ কখনো করে না তারউপর তুই নাবিলের বোন।তোকে নিয়ে যাওয়ার হলে ও আমাকে বলতো।

মেঘলাঃ দাঁড়া আমি কল দিয়ে দেখাচ্ছি।

এবার নাবিলে বাবা মাও এসেছে

মেঘলা আকাশকে ফোন দিয়ে লাউড স্পিকার অন করল….

আকাশঃ হ্যা মেঘলা এত রাতে ফোন দিয়েছিস কোন সমস্যা?

মেঘলাঃ আরে কি বলছেন? আমরা তো এতক্ষন একসাথে ছিলাম

আকাশঃ মানে কি?

মেঘলাঃ আরে ভুলে গেলেন আমরা স্টেশনে গেলাম আপনি আমাকে খাওয়ালেন চকলেট কিনে দিলেন।

আকাশঃ এমন কিছুই হউ নি মেঘলা।তুই স্বপ্ন দেখেছিস আমি তো বাসায় ঘুমাচ্ছি।আমি স্টেশনে যাব কি করে। আচ্ছা তুই মন খারাপ করিস না আমি সকালে তোর জন্য চকলেট পাঠিয়ে দিব।

মেঘলাঃ আপনি মিথ্যা কেন বলছেন?

নাবিলঃ মেঘলা ফোন টা দে আমার কাছে বলে ফোন নিয়ে নিল।
আকাশ ভিডিও অন করতো…

আকাশঃ ওকে ওয়েট এ মিনিট লাইট অন করি।

আকাশ ভিডিও অন করল আর আকাশ কে দেখে মেঘলা অবাক হয়ে গেল কারন সে বিছানায় শুয়ে আছে চোখে ঘুম ঘুম ভাব।

মেঘলাঃ আপনি আমার সাথে গেম খেলছেন…

আকাশঃ নাবিল ওর মাথায় গন্ডোগোল দেখা দিয়েছে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দে… গুড নাইট দোস্ত ঘুমাই।

নাবিলঃ হুম বাই…. ফোন রেখে নাবিল ধমক দিয়ে বলল এবার বল কি বলবি..???
আকাশ যদি জানতে পারে তুই এত রাতে বাইরে গেছিলি কি ভাব্বে? যাক সেসব কথা বাসা থেকে বের হ এ বাসায় তোর আর জায়গা হবে না।

মেঘলাঃ এসব কি বলছিস ভাইয়া?

নাবিলঃ বড় ভাই হিসেবে যা বলা উচিত।

নাবিলের বাবাঃ নাবিল শান্ত হ বাবা মানছি মেঘলা ভুল করেছে তাই বলে এত বড় শাস্তি দিস না।

নাবিলঃ বাবা আমার সিধান্তের উপড়ে কথা বলাটা আমি পছন্দ করি না জানই তো…মেঘলা আর এই বাসায় থাকবে না মানে থাকবে না এটাই ফাইনাল।

নাবিল প্রচন্ড জেদি এটা তার বাবা মার জানা।তাই তারা নাবিল কে বুঝানোর চেস্টা করছে কিন্তু নাবিল কারো কথা না শুনে মেঘলাকে টেনে নিয়ে গিয়ে গেইটের বাইরে বের করে দিয়ে গেইট লাগিয়ে দিল তারপর ঘরে দরজাও লাগিয়ে দিল।

নাবিলের মাঃ তুই বাড়াবাড়ি করছিস নাবিল।

নাবিলঃ ভুলে যেও না মেঘলা আমার বোন ওর জন্য তোমাদের যতটা টান আছে আমারও আছে যা করলাম ওর ভালর জন্যই করলাম।
একটা কথা বলো কার জন্য ওকে ফিরে পেয়েছো…??আকাশের জন্যই তো নাকি?
এখন ও সেই আকাশ কেই ঠকাতে চাচ্ছে রাতের বেলা অন্য কারো সাথে বাইরে গেছে আকাশ যদি জানতে পারে আর এত বড় অন্যায় জেনেও আমি ওকে কোন শাস্তি দেই নি আকাশ কতটা কষ্ট পাবে জানো?আমি মেঘলাকে ভালবাসি তাই গায়ে হাত তুলতে পারব না তাই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকুক এটাই ওর শাস্তি চিন্তা করো না নাবিলের বাসার সামনে এসে ওর দিকে তাকানোর সাহসও কেউ পাবে না।তাই একদম দরদ দেখিও না যাও ঘুমাও গিয়ে বলে নাবিল রুমে চলে গেল।

নাবিলের ধারনা ছিল মেঘলা বাসার সামনেই থাকবে কিন্তু মেঘলা নাবিলের উপর রাগ করেছে তাই সে রাগে রাস্তায় হাঁটছে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একমনে আকাশ আর নাবিল কে গালি দিয়ে যাচ্ছে….২ টাই বদ হাড্ডি,বেয়াদব,মেয়েদের সম্মান করতে জানে না। নস্ট হয়ে গেছে ২ টাই।
বেশ কিছুক্ষন কেটে গেছে।মেঘলা বাসা থেকে অনেকটাই দূরে চলে এসেছে।
নির্জন আর অপরিচিত জায়গা তার উপর অন্ধকার মেঘলার এবার ভয় করছে…

মেঘলা হটাৎ করেই লক্ষ্য করল কয়েকটা ছায়া ওকে ফলো করছে। মেঘলা পিছন ফিরে তাকাল আর দেখলো কয়েকটা বখাটে ছেলে তাকে ফলো করছে…
ছেলেগুলি মেঘলাকে যাতা বলছে
মেঘলাঃ আরে এই ছেলেগুলি তো আকাশের চেয়েও খারাপ।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।