একদন্ড সূর্যের কিরণে ঘুম ভেঙে আসে ঘুমন্ত পরীর। নিজেকে কম্বল মুড়ানো অবস্থায় দেখে ভ্রু কুটি করে নেয় সে। নিজের পায়ে ভারি কিছু অনুভব করতে পারে। মাথা উঁচিয়ে দেখতেই দেখে এনোন তার পা জোড়া জড়িয়ে ধরে সেখানেই মাথা রেখে নিচে পাশ হেলান দিয়ে বসে ঘুমোচ্ছে। নিনি হতবাক হলো এভাবে ঘুমোনোর মানে কি!
নিনি নড়লো না চুপচাপ শুয়ে থাকলো। নিনি ঘাড় বেঁকিয়ে এনোনের মুখমন্ডলের দিকে তাকায় নিষ্পাপ মুখশ্রী, মাথার সিল্কি চুল গুলো কপালে উপছে পড়ে আছে, গালে চাপ দাঁড়ি যেন তার ব্যক্তিত্ব জানান দিচ্ছে। বারান্দা হতে মৃদু হাওয়া এনোনের কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো হালকা নাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এক রমণী তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নিনি চোখ সরিয়ে নিল পাশে টেবিলে তাকাতেই দেখে জল ও পট্টি। নিনি ভ্রু কুঁচকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করলো। গতরাতে তার জ্বর এসেছে এর মানে এনোন সারারাত তার খেয়াল রেখেছে!
নিনি মৃদু মুচকি হাসলো। ঘুমন্ত অবস্থায় বেশ দারুণ সুন্দর লাগছে এনোন কে। নিনি নড়ছে না যদি এনোনের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এক ঘন্টা কেটে যায় কিন্তু এনোনের উঠার নাম নেই। এদিকে নিনির কোমড় থেকে শুরু করে পা অব্দি ব্যাথা ও অবশ হয়ে গেছে।
তার গরমও লাগছে প্রচুর কিন্তু কম্বল সরাতে পারবে না সরালে এনোনের হাতের সাথে টান খেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাবে। সে অপেক্ষা করতে লাগল কখন সে উঠবে। হঠাৎ ই এনোনের ফোন বেজে উঠলো নিনি চমকে ফোনের দিকে তাকায় এনোন নড়েচড়ে উঠে চোখ খুলে তাকালো নিনির দিকে দুজনের চোখাচোখি হয়ে যায় নিনি চোখ সরিয়ে নেয়। ততক্ষণে ফোনে রিং বাজতে বাজতে কেটে যায়। এনোন বুঝতে পেরে সাথে সাথে সরে বসে আর তাড়াতাড়ি মোবাইল হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। ঢাকা থেকে কল আসছিল রিসিভ করতে না পেরে বিরক্ত সূচক শব্দ বের করে সে। হয়ত জরুরি কল ছিল!
নিনি কম্বল সরিয়ে বসে এনোন হাত এগিয়ে নিনির কপালে রাখে জ্বর নেই আপাতত। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সে কিন্তু কলের জন্য বিরক্ত হচ্ছে সে, বিজি দেখাচ্ছে নাম্বারটি সে বা হাত দিয়ে কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দেয় জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়। নিনি আস্তে ধীরে উঠে তোয়াল নিয়ে বাথরুমে যেতেই তা খেয়াল করে এনোন সে চট করে এসে তোয়াল ধরে নেয়। নিনি চমকে পিছে ফিরে তাকায় এনোনের মুখোভাব গম্ভীর। সে বলে,, আজকে গোসল করার প্রয়োজন নেই তোমার।”
কথাটি শুনেই চেহারা বানিয়ে ফেলল নিনি বলে,, কি বলেন পাগল হয়ে গেলেন নাকি? গোসল করা ছাড়া কেউ থাকতে পারে? ছাড়ুন আমাকে যেতে দেন।”
এনোন ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে বলে,, কি বললে?”
নিনি খেয়াল হলো যে সে এনোন কে পাগল বলে ফেলল সে পিটপিট চোখে তাকায় তার দিকে এখন তার আবার ভয় করছে যদি ওইদিনের মতো আবার বাথটাবে ফেলে দেয়?
নিনি জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে আমতা আমতা করে বলে,, না মানে ছাড়েন আমি গোসল করব।”
এনোন এবার তোয়াল শক্ত করে ধরে শক্ত গলায় বলে,, মানা করলাম না গোসল করতে, এখন জ্বর নেই যদি গোসল করো আবার চলে আসবে আর তুমি তো বাথরুমে ঢুকলে হয়ছে আর বের হওয়ার নামও নাও না।” নিনি তোয়াল ছাড়াতে চেষ্টা করে বলল,, আমার গরম লাগছে গোসল না করলে মাথা ঘুরে পড়ে যাব আর আপনি এমন করছেন কেন? ছাড়েন।” এনোন হুট করে ছেড়ে দিয়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে বলে,, Just for 2 minutes, ২ মিনিটের মধ্যে গোসল করে বের হবা যাও।” নিনি হা করে বলল,, ২মিনিটে কে গোসল করে? যেতে যেতেই তো ২মিনিট চলে যাবে।” এনোন কিছু বলার আগেই কল আসলো সেই আগের নাম্বার থেকে রিসিভ করে কথা বলতে বলতে দুই আঙুল দিয়ে ইশারা করে বাথরুমে ঢুকতে বলল নিনি কে। নিনি বাধ্য মেয়ের মত ঢুকে যায়।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা শেষ করলো এনোন রুমের দিকে তাকাতেই দেখে সে এখনো বের হয়নি এদিকে তার অফিসের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে। সে বাথরুমের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে টোকা দিয়ে বলল,, হয়ছে? বের হও।” নিনি ব্যস্ত স্বরে বলল,, আমার এখনো হয়নি আরো সময় লাগবে।” এনোন অবাক হয়ে বলল,, তাড়াতাড়ি বের হও বলছি তোমার জন্য আমার অফিসের দেরি হচ্ছে।” নিনি কোন সাড়াশব্দ পেল না সে, সে আবার টোকা দিয়ে বলল,, এই মেয়ে তোমাকে বের হতে বলছি।” নিনি ভেতর থেকে কোন কথা বলল না এনোন ঘাবড়ে যায় না জানি কি করছে সে ভেতর থেকে সে মোবাইল টেবিলে রেখে জোরে জোরে টোকা দিতে দিতে অস্তির কন্ঠে বলে,, কি হলো কথা বলছো না কেন? বধির হয়ে গেছ? এই মেয়ে, ধ্যাত উচিত হয়নি তোমাকে গোসল করতে পাঠানোর।” নিনি ভেতর থেকে মজা নিচ্ছে তার, সে দেখতে চাইছে তার রিয়েকশন কি হয়। তাকে এখনো চুপ থাকতে দেখে বেশ ঘাবড়ে যায় এনোন তার বিভিন্ন খারাপ চিন্তা আসছে সে অত্যন্ত রেগে দরজায় জোরে বারি দিয়ে কঠিন গলায় বলে,, যদি এখন না বের হও তবে দরজা ভেঙ্গে ফেলব, পরে তোমার কি অবস্থা করবো কখনো কল্পনাও করতে পারবে না।” ভেতর থেকে নিনি ভয় পেয়ে এমন টা আশা করিনি সে চট করে দরজা খুলে হালকা ফাঁক করে উঁকি দেয় সাথে সাথে এনোন তাকে দরজা থেকে টান মেরে দরজার পাশে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে নিনি হচকচিয়ে ভয় পেয়ে যায় চোখ দুটো বড়সর করে আছে সে বুক একনাগাড়ে লাফালাফি করছে এনোন চোখ গরম করে চোয়াল শক্ত করে বলে,, মজা করছিলা আমার সাথে?” নিনি দু-তিন বার ঢোক গিলে জোর গলায় বলে,, স..সরি সরি, প্লিজ আমার সাথে কিছু করবেন না ভুলে দেরি হয়ে গেছে আ..আর কখনো হবে না।” সে ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে আছে। এনোন জানে সে মিথ্যায় বলছে তাও তাকে ছেড়ে দিয়ে বাথরুমে চলে যায়। নিনি হাফ ছেড়ে বাঁচে বুকে দুহাত দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টেনে বলল,, পুরো এক নিরামিষ লোক এটার সাথে জীবনে মজাও করা যাবে না ফালতু!”
_____________________
নাস্তা করতে বসে সবাই এনোন কিছু বলে না বারবার মোবাইলের দিকে তাকাচ্ছে। সিনান সর্ণালি কে বলে,, আব্বু কবে আসবে?” সর্ণালি বলে,, সপ্তাহ খানেক পর।” সিনান ওহ্ বলে আর কিছু বলল না। এনোন ও নিনির দিকে তাকায় দুজন দুই প্রান্তে বসেছে। এনোন সর্ণালি কে বলে,, কালকে ঢাকায় ফিরবো।” সবাই অবাক হয় সর্ণালি বলে,, মাত্র ৪ দিন ই তো থাকলি এতো তাড়াতাড়ি ঢাকায় যাচ্ছিস কেন?” সিনান হুম বলে প্রশ্নাত্তুর দৃষ্টিতে তাকালো এনোনের দিকে। এনোন বলে,, অনেক মিটিং রেখে এখানে আসতে হয়ছে তাই যেতে হবে।” সিনান বলে,, তাহলে ভাবী কেও নিয়ে যাবা তাই না?”
এনোন বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকালো। সর্ণালি দুজনের দিকে তাকায় নিনি সর্ণালির দিকেই তাকিয়ে ছিল সে চোখ সরিয়ে নেয়। এনোন দাঁড়িয়ে বলে,, সিনান নাস্তা খেয়ে রুমে আসিস।” বলেই সে রুমের দিকে চলে যায়।
#১৬_পৃষ্ঠায়
পর্ব – ৬ #আমরা (বাকি অংশ)
লেখিকা – Zaira insaan
এনোন বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকালো। সর্ণালি দুজনের দিকে তাকায় নিনি সর্ণালির দিকেই তাকিয়ে ছিল সে চোখ সরিয়ে নেয়। এনোন দাঁড়িয়ে বলে,, সিনান নাস্তা খেয়ে রুমে আসিস।” বলেই সে রুমের দিকে চলে যায়। সিনান বাকিটুকু খাবার দ্রুত মুখে ঢুকিয়ে এনোনের রুমে চলে যায়। সিনান দরজায় টোকা দিয়ে রুমে ঢুকে বলে,, বলো কি বলবা।” এনোন বলে,, ওর জ্বর শুধু এটায় বলার ছিল।” সিনান ভ্রু কুঁচকে বলে,, ভাবীর জ্বর?” এনোন তার সাথে কিছু মেডিসিন দিয়ে বলে,, হুম, এগুলো নে প্রেসক্রিপশন দেখে খাওয়ায় দিস।” সিনান সেগুলো হাতে নিল বলল,, ওকে ঢাকায় নিয়ে যাবা না?” এনোন চুল ঠিক করতে করতে বলল,, না।” সোজাসাপ্টা উত্তর দেয় সে। সিনান আবারো বলে,, কেন?” এনোন আলমারি খুলে কাপড় বের করতে করতে বলে,, ওই মুসিবত কে আমার সাথে রাখতে পারবো না।” সিনান ভ্রু জোড়া পুরো কুঁচকে সন্দেহ কন্ঠে বলে,, তোমাদের মধ্যে মিল নেই?” এনোন আড়চোখে তাকালো বলল,, জোর করে বিয়ে করিয়েছে তোর মা আমাকে, এ বিয়ে আমি মানি না।” সিনান দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো একটু ভেবে বলল,, জানি, কিন্তু ও এখন তোমার বউ দুজনেই একসাথে থাকতে হবে।”
‘পারবো না’ মুখের উপর বলে দিল এনোন। সিনান এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু একটা চিন্তা করে বাঁকা হেঁসে বলল,, তাহলে তুমি ওকে তোমার সাথে রাখবা না, রাইট?” এনোন শুধু এক পলক তাকালো ওর দিকে। সিনান ভ্রু নাচিয়ে বলল,, তাহলে ওর টিকিট আমি রাতে করিয়ে দিব তুমি না করলেও।” এনোন না বুঝে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কপাল কুঁচকে বলে,, মানে কি তোর?” সিনান হেঁসে বলে,, মানে আমি ওকে তোমার সাথেই পাঠাবো, ঢাকা~~।” শেষ কথাটি সুর টেনে বলল সিনান। এনোন এবার রেগে বলে,, আচ্ছা? তাহলে আমি ওকে স্টেশনে রেখেই চলে যাবো ওকে আমি আমার সাথে রাখবোই না পুরো একটা জ্বালাতন মেয়ে।” সিনান নিজের কাঁধ হালকা উঁচু করে নামিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে বলে,, ঠিক আছে, তুমি যদি ওকে নিয়েই না যাও তাহলে এর এক সপ্তাহের পর আমি ঢাকায় আসবো ওকে সঙ্গে নিয়ে তারপর তোমার ঘরে উঠবো।” এনোনের মাথা গরম হয়ে যায় অনেক রেগে বলে,, বের হও আমার রুম থেকে।” সিনান দাঁত কেলিয়ে হাসছে, এনোন নিনিকে নিতে না চাইলেও সিনান যেকোন একটা ব্যবস্থা করবে সেটা ভালো জানে এনোন। তার হাসি দেখে আরো রাগে ফুসে উঠে এনোন সে এসে সিনানের এক বাহু ধরে রুম থেকে বের করিয়ে দিয়ে ঠাসস করে দরজা বন্ধ করে দেয়। সিনান এখনো হাসছে তাকে রাগাতে বেশ ভালো লাগে তার। সে হাসতে হাসতে নিচে নেমে যায়।
______________________
রাতে,,,,,,,,
রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলো এনোন। রুমে যেতেই দেখে এক্সট্রা একটা ল্যাগেজ প্যাক করা। ভ্রুদ্বয় কুঁচকে আসে তার। হঠাৎ নিনি রুমে ঢুকে এনোন ফিরে তাকিয়ে গমগমে কন্ঠে বলে উঠে,, ফকিন্নি মার্কা এটা কার ব্যাগ?” সাথে সাথে ভয়ে লাফ মেরে উঠল নিনি সে জানতোই না যে এনোন বাসায় ফিরেছে। সে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে উত্তর দেয়,, আমার।” এনোন আবার ব্যাগের দিকে তাকালো তারপর ওর দিকে তাকিয়ে বলে,, ব্যাগ প্যাক করলা কেন? গ্ৰামে পাঠিয়ে দিচ্ছে তোমাকে?”
নিনি মাথা নেড়ে বলল,, না, সিনান আপু বলল ব্যাগ গোছাতে কালকে নাকি ঢাকায় যেতে হবে।” তারপর হাতে থাকা টিকিট টা তার সামনে ধরল এনোন একটানে নিয়ে নেয় রাগে মাথা খারাপ হয়ে যায় তার। দাঁতে দাঁত চেপে নিনি কে বলে,, তুমি ঢাকায় যাবা না।” নিনি আঁতকে উঠে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। এনোন টিকিট টা নিচে ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। নিনি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে টিকিট টা হাতে নিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল।
সিনান রুমে বসে গান শুনছিল এনোন এসে জোরে জোরে দরজায় টোকা দেয় সিনান বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলে। এনোন রেগে রুমে ঢুকে বলে,, তোকে বললাম না পন্ডিত গিরি না করতে! তুই ওর টিকিট করলি কেন? আমি সত্যি বলছি সিনান মাঝ রাস্তায় ওকে ফেলে চলে যাব।” সিনান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কান থেকে ইয়ারফোন খুলে বলল,, হেভ এ রিলেক্স, আমিও যাবো তোমাদের সাথে।” বলেই ড্রয়ার থেকে টিকিট বের করে দেখালো। এনোন কড়া নজরে তাকিয়ে বলল,, ঢাকায় আসলে আমার বাড়িতে ঢুকবি না ওই মেয়েটা কে নিয়ে।” সিনান মুচকি হাসলো এনোন বেরিয়ে যায়। সিনান মনে মনে ভাবে তোমাদের আমি মিল করিয়েই ছাড়বো।’
______________________
আকাশ টা আজ ছাই রাঙা। আকাশে জমেছে ধূসর রঙের পাল্লা পাল্লা মেঘ। দক্ষিণ দিক দিয়ে বইছে মন মাতানো নিঝঁঝাট হাওয়া। এনোন ও নিনি আগের থেকেই রেডি হয়ে বসে আছে শুধু অপেক্ষা সিনানের। এনোনের নিনি কে দেখতেও অসহ্য লাগছে। বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে সোফায় বসে মোবাইল টিপছে সে। নিনি নিজেকে গুটিয়ে বসে সেসময় ডাকল অর্সা নিনি কে। নিনি উঠে যেতেই অর্সা তার এক বাহু চেপে এমন কিছু কথা বলল যার কারণে কান্না কান্না ভাব ধরে এলো নিনির। সে পুনরায় নিচে নেমে সোফায় বসল। সিনান নিচে নেমে এলো হাসি মাখা মুখ নিয়ে। তিনজনেই বের হয়ে গেল। নিনি যাওয়ার আগে তার মাসি অর্সার দিকে এক পলক তাকায় অর্সা রক্তু চোখে তাকালো। নিনি চোখ সরিয়ে বের হয়ে যায়। সর্ণালি কিছু একটা বলতে চেয়েও বলল না। হয়ত সবার মুড খারাপ হয়ে যাবে যাওয়ার আগে। এনোন গাড়িতে বসতেই দেখে….
চলবে…
[ গল্পের রেসপন্স নেই কেন? গল্প কি বেশি খারাপ হচ্ছে? ]