১৬ পৃষ্ঠায় | পর্ব – ১২

অর্সা যাওয়ার আগে নিনির দিকে রক্তু চোখে তাকালো নিনি চোখ সরিয়ে এনোনের দিকে তাকালো। এনোন আর তাকালো না নিনির দিকে মেঝেতে তাকিয়ে রইল।
উজ্জল সাহেব নিনির দিকে গম্ভীর হয়ে বলেন,, কোন কিছু হলে আমাকে জানিও চুপ করে না থেকে।” বলেই তিনি নিজের রুমের দিকে পা বাড়ান। সবাই একে একে নিজের রুমে চলে যায়। নিনি মাথা নিচু করে থাকলো। নিনি হালকা মাথা উঠিয়ে এনোনের দিকে তাকালো এগোনো ওর দিকেই আড়চোখে তাকিয়ে ছিলো চোখাচোখি হতেই এনোন চোখ সরিয়ে উপরে চলে যায়। নিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো।
___________
রাতে সবাই চুপচাপ হয়েই খাবার হচ্ছে। শুধু চামচের টুং টাং আওয়াজ হচ্ছে। সিনান সবার দিকে এক পলক তাকালো সবাই যে যার চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছে। শুধু ও নিজেই ছাড়া সে আর আশেপাশে না দেখে নিজের খাবারে মনোযোগ দিল।
সবার শেষে নিনিই রুমে ঢুকলো দেখল এনোন আগে ভাগে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। হয়ত ঘুমিয়ে গেছে। নিনি ও আর কোন শব্দ না করে আস্তে করে শুয়ে পড়ল তার পাশে মাঝখানে আগের মত বালিশ দেওয়া। ঘুম আসছে না নিনির বিভিন্ন জিনিস চিন্তা করছে এনোন কি নিজের মন থেকে তাকে বউ হিসেবে মানলো নাকি এমনি-ই মুখে বলল। এর আগের বারও মিলিফুর ক্ষেত্রে সে এমন করেছিল। তার মাথায় কি চলে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না নিনি। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো সে।
_____________
নিজের মধ্যে কিছু একটা অনুভব করতে পারছে নিনি। চোখ খুলল সে সামনে অন্ধকার আবছা অন্ধকার। ভালোভাবে দেখতে লাগল সামনের দিকে সেসময় কোমড়ে কারো স্পর্শ টের পেল। শিউরে কেঁপে উঠলো। মাথা নাড়িয়ে ভালোভাবে সবকিছু খেয়াল করলো সে এনোনের আলিঙ্গনে আবদ্ধ। জড়িয়ে আছে সে এনোনের বুকে। এনোন তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। চোখ চড়কগাছ হয়ে গেল নিনির। মাঝখানে বালিশ ছিল সেটা আবার কই গেল? মাথা হালকা পিছনে নিচের দিকে তাকালো, সেখানে বালিশ নেই! মাথা টা উঁচু করতেই দেখে বালিশ টি এনোনের ঠিক পেছনে পড়ে আছে। ভ্রু কুটি করল নিনি। তারমানে রাতেই সরিয়ে ছিল এনোন। তাকে জড়িয়ে ধরে রেখেই হালকা নড়েচড়ে তার গায়ে পা তুলে দিলো এনোন। নিনি চোখ বড়বড় করলো কোলবালিশ নাকি!
সে চিকন ছোটখাটো বলে আরাম করে জড়িয়ে ধরতে পারলো এনোন। নিনি নেই বললেও চলে কেননা তাকে দেখাই যাচ্ছে না। জড়িয়ে ধরে আছে তার উপর চাদর গায়ে দেয়া দম বন্ধ হয়ে আসছে নিনির গরমে। নড়তে চেয়েও নড়তে পারবে না সে কেননা এনোন বেশ গভীর ঘুমেই আছে। নিনি মাথা উঠি এনোনের মুখের দিকে তাকালো মুখে দায়িত্বশীল পুরুষের ছাপ। মুখের চাপ দাঁড়ি সেটাই জানান দিচ্ছে। চুল গুলো অগোছালো তাও সুন্দর। মুখশ্রী দেখে লাগছে কত দিন পর সে এক প্রশান্তির ঘুম দিচ্ছে। হঠাৎ নিনি কি মনে হলো সে এনোনের গালে হাত রাখলো‌। ঘুমের মাঝেই টের পেল এনোন তাও ঘুমের ভান ধরে আছে দেখছে নিনি কি করতে চলছে।
হাতের স্পর্শ গাঢ় করলো নিনি তারপর আস্তে করে বলল,, কত সুন্দর এই পুরুষ!”
মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল এই কথাটি। তাও কোন ভাবনার নড়চড় হলো না তার। এনোন বোধহয় আন্দাজ করতে পারলো এর মানে। নিরবতা ছেয়ে গেল নিনি তাকে দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে আজ বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে সে এনোন কে। হঠাৎ-ই এনোন কোমড়ের স্পর্শ গাঢ় করে তাকে নিজের মধ্যে মিশিয়ে নিল তারপর হাঁসফাঁস কন্ঠে বলল,, মাফ করে দিও আমাকে!”

চলবে…

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।