সিরিজ এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৪৮

ধূসর ঠান্ডা চোখে তাকিয়ে আছে। না কিছু বলছে,না কিছু বোঝাচ্ছে। হয়না,বরফের মত কিছু শীতল দৃষ্টি, যা দেখলে হাত বা বিবশ হয়ে আসে! পিউয়ের বুক ধড়ফড় করছে। তানহা কখন উঠে গেল পাশ থেকে? উনিই বা এসে বসলেন কখন? কোন পর্যায়ের বেয়াক্কেল হলে একটা মানুষ কিচ্ছু টের পায়না!
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৪৮ (অঘোষিত সারপ্রাইজ পর্ব)

সব বুকের সাথে চে*পে রুদ্ধশ্বাস সমেত, ছু*ড়ে ফেলল বিছানায়। ফ্লোরের গুলো তুলে, সোজা হয়ে, কোমড়ে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টানল। অথচ,ওষ্ঠপুটের সবদিকে জ্বলজ্বল করছে হাসি। ধূসর ভাইয়ের সাথে প্রথম বার ঘুরতে যাচ্ছে সে। এই একটি কথাই তাকে পৃথিবী সমান সুখ পাইয়ে দিতে যথেষ্ট।
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৪৯

পিউ ঘা*বড়ে গেল। বুকের কম্পন জোড়াল। জ্বিভে ঠোঁট ভিজিয়ে কাঁ*পা- কাঁপা পল্লবে তাকায়। ধূসরের পূর্ন দৃষ্টি তার ওপর। পরপর ঠোঁট এসে ভেড়ে ওর কানের পাশে। কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলে, 'একটু কাছে এলেই তো হাঁপানি রোগীর মত ছ*টফট করিস। রোমান্টিক হলে সুস্থ থাকবি?'
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫০

মেয়েটা দুচোখ ছাপানো বিস্ময় সমেত তার শক্ত চিবুকটা একযোগে দেখে যায় । বাকরুদ্ধ সে,হতবিহ্বল। পেছনে হাঁটতে হাঁটতে ইকবাল, পুষ্পকে হা হুতাশ ভঙিতে বলল, ' সাহস দেখেছো? ব্যাটা আস্ত একটা জল্লা*দ! ভয়ড*র নেই।'
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫১

প্রখর তাপের মধ্য দুপুর। ঘড়ির কাঁটায় টিকটিক করছে দেড়টা। অফিসের সবাই লাঞ্চ করতে ঝটপট উঠল। মারিয়া মনিটর বন্ধ করে ব্যাগের চেইন খুলল। মা টিফিন দিয়েছেন ওকে। পরোটা আর ডিম পোচ হয়ত। খিদেও পেয়েছে বেশ। সে বাটি বের করতে গেল,এর মধ্যে সাদিফ এসে পাশে দাঁড়ায়। ' এই ম্যালেরিয়া,লাঞ্চ করবেন না?'
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫২

'পৃথিবীটা কী অদ্ভূত পিউ ! আমরা একই বাড়িতে থাকব,একই ছাদের নীচে। সামনাসামনি, কাছাকাছি, মুখোমুখি আবার। অথচ আমাদের মধ্য থাকবে আকাশ সমান দূরত্ব। যে আকাশের প্রতিটি মেঘ অসিত , কুচকুচে, শ্রী- হীন হবে। যেই তোকে এত গুলো বছর স্বযত্নে,নিজের হিসেবে কল্পনা করে এলাম, সেই তুই হবি এখন আমার বড় ভাইয়ের বউ।'
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫৩

আমজাদ সিকদারের চকচকে গাড়িটা লম্বা জ্যামের কবলে । বারবার তিনি হাত ঘড়ি দেখছেন। এই নিয়ে বিশ মিনিট হতে চলল,জট ছোটার নাম নেই। এই জ্যামের মুখাপেক্ষী হবেন না বলেই প্রতিদিন ভোরে বের হন। কিন্তু আজ,আজ আর রক্ষে পাওয়া গেল না।
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫৪

ধূসর ঝড়ের গতিতে বাইরে এলো। বিধ্বস্ত লাগছে ওকে। সারা শরীর ঘামে জবজবে। বুকের মধ্যে দা-মামা বাজছে আ*তঙ্কের। উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে গেটের কাছে এলো সে। মনে পড়ল বাইক ফেলে যাচ্ছে। আবার পার্কিং লটের দিক পিছু দৌড়াল । ওর এত তাড়াহুড়ো দেখে দারোয়ান তটস্থ ভাবে গেট সরিয়ে দিলেন দুদিক।
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫৫

নিশির তৃতীয় প্রহর। সাদিফ চিৎ হয়ে শুয়ে আছে ছাদের খোলা মেঝেতে। চতুর্দিকে নির্মল প্রভঞ্জনের ছোঁয়ায়, চোখ মুঁদে আসতে চাইছে। মাথার নীচে আড়া-আড়ি বাম হাত রেখে, উন্মুক্ত আকাশের দিক চেয়ে ও। একটা তারা নেই,না আছে চাঁদ হতে ছুটে আসা জ্যোৎস্নার কোনও অংশ। বরং গভীর অমানিশার তোপে সব কিছু অন্ধকার
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫৬

বাইক চলতে চলতে পিউ জিজ্ঞেস করল, ' বাড়ি থেকে আমার সাথে এলেই তো পারতেন ধূসর ভাই।' ' তখন এলে,তুই এত অবাক হতি?' পিউয়ের কণ্ঠ ছল্কে উঠল, 'আপনি কি আমাকে সারপ্রাইজ দিলেন?' ধূসর আর জবাব দিলো না। কিন্তু পিউ একা একা হাসল।