পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৯

ওয়াসেনাত বিরক্তি মার্কা মুখ করে গভীর চিন্তায় মগ্ন। তার এই মগ্ন হওয়ার পিছনে একটা বিশেষ কারন আছে।আর কারনটা হচ্ছে রিমি।আজ সকাল থেকেই ওয়াসেনাতের মাথায় একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে।কথাটা হচ্ছে রিমিত অরিএান বলতে পাগল আর সে যে অরিএানের সম্পর্কে এবং অরিএানকে ভাল করে চিনে এটাতে কোন সন্দেহ নেই।তবে কেনো ওয়াসেনাতকে সে জানায় নি।এই কেনোর উওর ওয়াসেনাত খুঁজে বেড়াচ্ছে।ঠাসস করে আওয়াজে ওয়াসেনাত পাশে তাকিয়ে দেখে তার মা আইসক্রিমের বাটি আর কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।ওয়াসেনাত বিস্মত চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।মহিলাটা চোখে না দেখলেও মনের কথা কত গভীর ভাবে বুঝে।এটাই তো মা।এদের আল্লাহ স্পেশাল পাওয়ার দিয়ে তৈরি করেছে।মা নামের স্পেশাল পাওয়ার।কথাটা ভাবতেই ওয়াসেনাত ঠোঁট জোড়া প্রসারিত করে হালকা হাসে।তার মা বলে উঠে……..
__আজ অনেক দিন পরে আমার মেয়ের মুখে হাসি ফুটেছে। কারন কি?হুম
__তুমি কিভাবে এত কিছু বুঝ মা??(অবাক হয়ে)
__মারা সব বুঝে। নে এগুলো খেয়ে আমাকে উদ্ধার কর।আমি যাই অনেক কাজ আছে।তোমার ফুফুর মেয়ে লামিয়াকে দেখতে আসবে আজকে।
__কে দেখতে আসবে?
__কে আর পাএ পক্ষ।
__ what
__এই তোকে আগেও বলেছি এখনও বলছি কথায় কথায় চিৎকার করে what বলবি না।কেমন যেনো হয়ে যায় তোর মুখ আমি না দেখলেও বুঝি।তখন আদর দিতে মন চায়।

বলে তিনি হাটা শুরু করে ওয়াসেনাতো নিজের মায়ের উপড় প্রচণ্ড বিরক্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে। যেন তিনি না চাইতেও বড় ভুল করেছে।ওয়াসেনাত আবার নিজের দৃষ্টি সামনে ফেলে কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ভাবতে থাকে।হঠাৎ কি যেন ভেবে নিজের কফির মগ রেখে রুমের দিকে পা বারায়।ওয়াসেনাত আজ সাতদিন নিজের মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে।তাই এখন মোবাইল অন করছে।তার একটা মহান উদ্যেশ আছে আর তা হল রিমি।ওয়াসেনাত রিমিকে কল করে তার বাসায় আসতে বলবে। তাই রিমির মোবাইলে কল করে………..
__দেখ রিমি আমি তোর সাথে চপরচপর করার জন্যে কল করিনি।সো আগেই বলছি তোর চপচপানি বন্ধ রাখবি।আমি তোকে শুধু ফিপ্টিন মিনিট টাইম দিচ্ছি এর মধ্যে আমি তোকে আমার বাসায় দেখতে চাই।এট এনি কস্ট। আমি তোকে বাসায় দেখতে চাই। এক মিনিটও যদি দেরি হয় তবে আমি কি করতে পারি তোর ধারনা আছে।সো হাড়িআপ।

এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে ওয়াসেনাত গট করে মোবাইল কেটে দিল।ওই দিকে রিমি বারান্দায় ছিল। অরুপ তার রুমে এসে ছিল ওয়াসেনাতের কথা জিগ্যেস করতে এত দিন ভাল ভাবে তেমন কথা হয় নি।অরুপ ওয়াসেনাতকে কল করেও পাছিলনা তাই রিমির কাছে আশা। আশতেই রিমি মোবাইলে ওয়াসু নাম দেখে সে খুশিতে গদগদ হয়ে মোবাইল কানে দেয়।কিন্তু ওয়াসেনাতের এমন ঝাঁজালো কথা শুনে সে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।রিমি রুমে এসে তার ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে বেস আবাক হয় তাই জিগ্যেস করে…..
__ভাইয়া কি হয়েছে??
__ওয়াসেনাত কল দিয়েছে।
__ত কই দেখি??
__দেখার উপায় নাই। তোকে ১৫ মিনিট সময় দিয়েছে। এর মধ্যে ও তোকে ওর বাসায় যেতে বলেছে।
__আর তুমি হাবার মত দাড়িয়ে আছ।এটা শুনার পরেও কিভাবে??আল্লাহ টাইমে পৌঁছাতে না পারলে তো ও আমাকে গিলে খাবে।আল্লাহ বাচাও (কথাগুলো বলেই এক দৌড়ে গাড়ির কাছে চলে যায়)

অরিএানের রুমের উপড়ে একটা মিনি ছাদ আছে।রুমের ভিতরেই এর সিঁড়ি। অরিএান সেই ছাদের রেলিং ঘেষে দাড়িয়ে আছে।আর খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।সে ভাবছে…….
__ভালইত ছিলাম।কেনো এলে আমার এলোমেলো জীবনে??কেনইবা আবার চলে যেতে চাও।তুমি কি যানো তোমাকে না দেখলে আমার কেমন দম বন্ধ দম বন্ধ লাগে??না যানো না।কিভাবে জানবে কখনো ত যানতে চাও নি।তুমি কি যান আমি এই সাতদিন ঘুমোই নি??না তাও যানোনা। শুনলে হয় তো ভাববে আমি কিভাবে না ঘুমিয়ে ছিলাম??তুমি কেন বুঝতে পারছনা তোমাকে না দেখে আমার রাতে শান্তিতে ঘুম হয় না।সব ঘুম এক হয় না? যানো কি??কিছু ঘুম প্রয়োজনের, কিছু ঘুম আরামের,কিছু ঘুম শান্তির, আর কিছু ঘুম ঘুম না চোখ বুজে থাকা। তোমার কারনে তো আমার আগেই ঘুম হারাম হয়েছে আর এবার শান্তির ঘুমও তুমি নিয়ে গেলে।কেন বুঝনা তোমার বিরহ বেদনা আমাকে পাগল করে দিচ্ছে। আমি তো বড্ড উম্মাদে পরিনত হচ্ছি। তুমি কবে বুঝবে তুমি আমার নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে প্রবাহ মান।

অরিএান এমন হাজারো কথা বলে চলেছে।কিন্তু যাকে উদ্যেশ করে বলা সে নেই।রিমন এখনই এসেছে।সে দেওয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে দাড়ি দাড়ি অরিএানের বিরহ বেদনার সাক্ষী হচ্ছে। রিমন ভাবছে এই সাতদিনে অরিএানের চেহারার কতটা পরিবর্ত হয়েছে এটা সে ভাবতেই হতবাগ হচ্ছে। সবুজ চোখ জোড়া সারাক্ষণ লাল হয়ে থাকে।তুর্কি স্টাইলের চুল গুলো এখন সব সময় কেমন যেন এলোমেলো থাকে। লাল টুকটুকে ঠোঁটা জোড়া ফেকাসে হয়ে গেছে।আর শরীরের কথা তো বলাই দায়।কেমন যেন নেতিয়ে গেছে।ভাবা যায় একটা নারী কিনা করতে পারে।নারীর ভুমিকা আসলেই কি তা রিমন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে।একটি নারী যেমন সভ্যতা ধ্বংস করতে পারে ঠিক একুই ভাবে গড়তেও পারে।তেমনই ভাবে কোন কোন নারী মানুষকে পাথরে রূপ দিতে পারে আবার কোন নারী এই পাথরে ফুলও ফুটাতে পারে।অরিএান যে ওয়াসেনাতকে পাগলের মত না পাগলের চাইতেও ডেন্জারাস ভাবে ভালোবাসে তা রিমন খুব করে বুঝতে পেরেছে।একটা বিষয় দেখে রিমন অবাক হয় অরিএান চাইলেই ওয়াসেনাতকে নিজের কাছে রাখতে পারে।কিন্তু সে এমন কিছুই করছে না।তার কারন সে চায় ওয়াসেনাত মন থেকে তার কাছে থাকুক।এই ব্যাপারটা রিমনের কাছে অতিব ফালতু মনে হয়। তার ধারনা মতে অরিএানের উচিত ওয়াসেনাতকে তুলে এনে নিজের কাছে রাখা।তার এই ধারনার কথা অরিএানকে বলে ছিল। আর জবাবে অরিএান হু হা করে হেসে ছিল।আর বলে ছিল…………
.
ও ওয়াসেনাত। আমার ভালোবাসা। যানি ভালোবাসায় সব জায়েজ কিন্তু অন্যায় না।আর যদিও অন্যায় করে ফেলি তবে তা হবে ওয়াসেনাতের মন টা পেতে চাই।ওটাই অধিক মুল্যবান তার দেহ থেকেও।সো স্টুপিডের মত বকা বন্ধ কর।

রিমি ওয়াসেনাতের সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।কারন সে পাচঁ মিনিট লেইট করে এসেছে।কি ভায়াবহ ব্যাপার।ভাবা যায়।ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে রিমির দিকে তাকিয়ে বলে উঠে………
__দেড়ি কেন করেছিস।
__ভাই যানোস তো ঢাকা শহরে কি পরিমান জ্যাম।তার উপড় মোবাইলটা ভাইয়া ধরেছে আর ওই আবুল আমাকে বলতে বলতেই দুই মিনিট লেইট করেছে।তারপর সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দুই মিনিট লেইট আর এক মিনিট জ্যামের কারনে।বুঝতেই তো পারছিস।কি ভায়াবহ ব্যাপার।(দাতঁ কেলিয়ে ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে)
__তুই অরিএানকে আগে থেকেই চিনতি। তবে আমাকে কেন বললি না?ওই দিন তো তুইও ওনাকে দেখেছিলি।তবে কেন বললি না যে ওইটাই তোর জান অরিএান। (চোখমুখ লাল করে বলে উঠে)
__আসতাগফিরুল্লা।ছি ওয়াসু ওনি আমার জান ছিল এখন আর না ok.ওনি তো এখন আমার দু না না মানে শুধু ভাই যাকে বলে পিয়োর ভাই।নো ডাউট।

ওয়াসেনাত ভ্রু কুঁচকে রাগি ভাব নিয়ে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে।এই মেয়েটা কালকে পর্যন্ততো যাকে জান, কলিজা বলে বেড়াত আর এখন কিনা বলছে শুধু ভাই। ব্যাপারটায় যে অনেক বড় গোল মাল আছে এটা ওয়াসেনাত বুঝতে পেরেছে তাই বলে উঠে……..
__ভাই..তোর..তাও আবার ওই অরিএান খান।কিন্তু ওই দিনো তো জান জান বলে বেড়াচ্ছিলি। আর আজকে কি হল??হুম বল??তুই আবার ওই অরিএানের সাথে মিলি……..
__ছি ছি ছি ওয়াসু তুই কেমন সন্দেহ বাজ মেয়েতে রূপ নিচ্ছিস ভাবা যায়।কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার রে।

ওয়াসেনাত ঝাঁজালো গলায় কিছু বলতে নিবে তার আগেই তারঁ মোবাইলটা বেজে উঠে। ওয়াসেনাতের এখন প্রচণ্ড বিরক্তি লাগছে।তার এখন ইচ্ছা করছে যে ব্যক্তি তাকে এমন অসময়ে কল করেছে তাকে সামনে এনে একপাতারে কিছু কিল দিতে।তারপর বলতে..অসময়ে আর কল দিবি??লোকটা তখন বার বার মাথা ঝাঁকিয়ে বলে উঠবে…. না না।
ওয়াসেনাত নিজের ভাবনার জগৎ থেকে বাহিরে এসে মোবাইলের দিকে তাকায়। অনোন নাম্বার দেখে তার মেঝাজ আরো গরম হয়ে যায়।সে ভেবে নেয় আজ এই লোকে এমন এমন কথা শুনাবে যাতে এই লোক জীবনেও কল নামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা অসময়ে করবেতো দূর সময়ে করতেও ভুলে যাবে।ওয়াসেনাত মোবাইলটা রিসিভ করে কানে ধরতেই যে কথা শুনে তাতে তার মাথা ঘুড়বে ঘুড়বে ভাব…………
__আমার কলিজাটা কেমন আছে??এই ভুলেও ফোন ডিসকানেক্ট করবা না।তা না হলে আমি এবার কিন্তু দরজা দিয়ে সজা জামায় বরণ বাদেই শ্বশুর বাড়ি ডুকে যাব।তখন কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও ভাল দেখাবে না তাই না জানেমান😘। সো কুল ডাউন।তুমি যানো??তোমাকে না দেখে আমার কেমন অবস্থা হয়েছে??যান না আমি বলি। আমাকে এখন পাগলের মত লাগছে।যে ছেলে সব মেয়েকে পাগল করতো তার এখন পাগলের মত অবস্থা। ভাবা যায় কি ভায়াবহ ব্যাপার।যা তুমি করেছ।
__ what(চিৎকার করে)
__এই এই এভাবে বলবে না।তুমি আমার সামনে নাই তাই বলে এমন করবে এটা হবে না..আমি কিন্তু শ্বশুর বাড়ি এসে..কামড়টা বসিয়ে দিবো।মনে থাকে যাতে।তুমি কি মনে করেছ তুমি বাসা থেকে না বাহিরে এলেই আমি আমার জানটুসকে ভুলে যাব??বোকা মেয়ে।এমন টা কখনো হবে না জানেমান। তুমি এই হৃদয়ের ফুল আর এখানেই তোমার বসবাস। সো এত আজাইরা চিন্তা ছাড়ো।
__এই অনেক টাইম থেকে আপনার ফালতু বকবক শুনছি। আপনার সাহস হয় কি করে আমাকে কল করার। আর আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন??বলেন??
__কুল বেবী কুল। এত হাইপার হলে চলে বল..তুমি আমার জানপাখি.. তোমার নাম্বার যদি আমার মোবাইলে না থাকে তবে এই Iphone এর মুল্যই তো থাকবে না।আর আমি কে তাতো তুমি যান জানেমান। অরিএান খানের কাছে কোনো কিছুই তেমন ব্যাপার না ওই মহান আল্লাহর দানে সবই সম্ভব। আর এটা তো আমার কলিজার নাম্বার। যাই হোক তুমি কি আমার দেওয়া জামাটা সম্পূর্ণ কুচি কুচি করেছ না কি পুড়িয়েও দিয়েছ?

ওয়াসেনাত প্রচণ্ড ভাবে অবাক এটা সে কার সাথে কথা বলছে।এত শান্ত আর গম্ভীর লোকটা কি ভয়ংকর ভাষায় কথা বলছে।ছি ভাবতেই ওয়াসেনাত সেন্সলেস হবে হবে ভাব তার উপড় অরিএান কিভাবে যানলো ওয়াসেনাত তার দেওয়া জামাটা কুচি কুচি করেছে? কিভাবে?এই লোকের এত এত পরিবর্ত ওয়াসেনাতের মাথা ব্যথা উঠিয়ে দিচ্ছে। লোকটা কি পাগল হয়ে গেছে??হতে পারে। তা না হলে এমন আজে বাজে কথা বলতো না।তাহলে কি লোকটাকে পাগলাগারদে নিতে হবে। ব্যাপারটা ভাবতেই ওয়াসেনাত কেঁপে উঠছে।আল্লাহ বাঁচাও।ওয়াসেনাত মোবাইলটা নিজের মুখের সামনে এনে একবার দেখছে তো রিমির দিকে একবার তাকাছে।রিমি আরাম করে ওয়াসেনাতের বিছানায় বসে পরে।সে আরামে আরামে পা দুলাছে আর মিটি মিটি হাসছে তবে তা ওয়াসেনাতের চোখের আড়ালে।অরিএানের কথার সাউন্ড আবার ভেসে আসে ওয়াসেনাতের কানে…….
__কি হল জানু এত কি ভাবছ।ভাবা ভাবি বাদ।তুমি কি যান?? তুমি একটা হার্ড দিলের অধিকারি।যাকে বলে কঠিন মন।এক প্রকার ভয়ঙ্কর পাষাণ মেয়ে তুমি।
__আমি??(অবাক হয়ে)
__হুম তুমি..তুমি… তুমি..যে কিনা বিনা কারনে আমার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে ক্রমাগত ছুড়ি চালিয়ে চলেছে।কেন বলতো??আমি কি খুব ক্ষতি করেছি তোমার??হুম?বল..হ্যাঁ আমি খারাপ।কিন্তু তোমার সাথে কি কোন খারাপ কিছু করেছি??নাত।আমি তো তোমাকে গহিন হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি।কিন্তু তুমি কি করলে আমার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়কে আরো ক্ষতবিক্ষত করে দিলে।যেখানে তোমার মলম দেওয়ার কথা সেখানে তুমি ছুড়ির আঘাত দিলে।যে আঘাতের নাম বিরহ আঘান।তবে চিন্তা করো না জানেমান আমি সব মিটিয়ে নিবো।তো কলিজাটা কি ভাল আছে??নাকি আমার কথা তার মনে পরে??(বলে হেসে উঠে)

অরিএানের এই হাসিতে ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে……
__আশ্চর্যতো আপনি এভাবে ভয়ংকর হাসি হাসার মানে কি?? আর আমি পাষাণ?? আপনার সাহসত বেরেই চলেছে।আপনি জানেন সবাই আমাকে নরম মনের মানুষ বলে আর আপনি কি না আমাকে হার্ড দিলের মেয়ে বলছেন??(রাগি গলায় বলে উঠে)
__বারে কলিজা তো চেতে যাচ্ছে। সাবার জন্যে না তো।শুধু আমার জন্যে তুমি হার্ড দিলের অধিকারি।কারন কি যান তুমি আমার প্রতি নির্দয়ের মত আচরণ করেছ এবং করছ।অনেক তো হল জ্বালানো এবার আমি জ্বালাবো।যাকে বলে ভালোবাসার জ্বালা। বুঝলে জান?আর না বুঝলেও সমস্যা নেই আমি বুঝিয়ে দিব।আমি ত আছি সো নো টেনশন।জানু একটা কিসি দেও তো??(ভাবলেশহীন ভাবে বলে উঠে)
__what😡😡আপনি পাগল হয়ে গেছেন। পাবনা নিতে হবে। পাগলাগারদে।ফালতু ফাউল লোক।

বলেই কলটা কেটে দেয় সাথে মোবাইলটাও বন্ধ করে দেয়।রাগে ফস ফস করতে করতে ওয়াসরুমে গিয়ে মাথায় পানি দেওয়া শুরু করে তা না হলে রাগের চোটে নতুন ড্রেসিন টেবিলটাও ভেঙ্গে ফেলেবে।

মোবাইলটা বিছানায় ছুড়ে মেরে হু হা করে হেসে উঠে অরিএান। আর মনে মনে বলে… এবার কি করবে জানেমান😉?? 🤣🤣
অরিএান ভাবছে ওয়াসেনাত যখন রেগেছিল কেমন লেগেছিল। ইসসস যদি দেখতে পারতো।তাহলে আরো রোম্যান্টিক ভাবে গাল টেনে রাগিয়ে দেওয়া যেত।অরিএানের এমন ভাবনার ব্যাপার গুলো অরিএানকে প্রচণ্ড হাসায়।
চলবে…………🍁

ভুল গুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।